পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংগ্ৰেস-জয়ন্তী ১৮৮৫ সালে বোম্বাই নগরে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন झम्न | এই উপলক্ষ্যে ভারতবর্ষের অগণিত গ্রাম ও নগরে উৎসব হইয়া গেল। কংগ্রেসের সাফল্য কোন কোন দিকে তাহা সংক্ষেপে পৌষের প্রবাসীতে লিখিত হইয়াছে। তাহাতে দেখান হইয়াছে, যে, উৎসব করিবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই উৎসবে যত লোক যোগদান করিয়াছিলেন, সকলেই যে কংগ্রেসনির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন দ্বারা স্বরাজলাভের একাগ্র চেষ্টা করিতে প্রস্তুত, তাহা নহে। উৎসবে যোগ দিলে স্বখ পাওয়া যায়, স্বরাজলাভের আস্তরিক চেষ্টা করিলে অনেক সময় তাহার ফলে দুঃখ আসে। সুখ যত জন পাইতে চায়, দুঃখ বরণ করিতে প্রস্তুত মানুষের সংখ্যা তত বেশী নয়। কিন্তু যে বিশাল জনসমষ্টি গ্রামসমূহে ও নগরসমূহে কংগ্ৰেস-জয়ন্তীতে যোগ দিয়াছিল, তাহা হইতে কংগেসের লোকপ্রিয়তা বুঝিতে পারা যায়। যাহারা কংগ্রেসকে ভালবাসে, তাহারা এখনই হয়ত স্বার্থত্যাগে ও দুঃখবরণে প্রস্তুত না থাকিতে পারে। কিন্তু সংদুষ্টাস্তের প্রভাব অপরিমেয়। যে-সকল কংগ্রেস-কৰ্ম্মী আচরণে দেখাইয়াছেন, যে, তাহারা স্বাৰ্থত্যাগ ও দুঃখবরণ করিতে সমর্থ, তাহারা অবসাদ ঝাড়িয়া ফেলিয়া আবার কাজ করিতে থাকুন। তাহা হইলে যাহারা কংগ্রেসকে ভালবাসেন, অথচ ংগ্রেসের নির্দিষ্ট কাজে প্রবৃত্ত হন নাই, তাহারাও কার্যাক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইবেন । কংগ্রেস-কৰ্ম্মীদের পক্ষে এখন আবার কশ্মিষ্ঠ হওয়া আগেকার চেয়ে সহজ । আগে তাহাদিগকে স্বাৰ্থত্যাগ করিতে হইত, এবং নানাবিধ দুঃখবরণ করিতেও হইত। এখন অহিংস আইনলঙ্ঘন স্থগিত থাকায় দুঃখ বরণ করিতে হইবে না। র্যাহার কৰ্ম্মী নহেন, তাহাদের পক্ষে এখন ক্ষীদের দৃষ্টান্ত ও প্রভাবে উদ্বদ্ধ হইয়া কী হওয়াও ১৯৩৫ সালে তাহার বয়স পঞ্চাশ বৎসর পূর্ণ হওয়ায় . পূৰ্ব্বাপেক্ষ সহজ ; কারণ এখন আগেকার মত দুঃখবরণের প্রয়োজন নাই, অথবা সামান্যই আছে । ইহা অবশ্ব স্বীকার্য্য, যে, বিপদের, দুঃপের, একটা আকর্ষণী শক্তি আছে। সেই জন্য বিপদের মুখে লাফ দিয়া পড়িতে প্রস্তুত যাহারা, তাহারা বিপংসম্ভাবনাবিহীন কাজে অনেক সময় অগ্রসর হন না। জনসমাজের বাস্তবিক বা অনুমিত প্রশংসমান দৃষ্টিও কাহাকেও কাহাকেও বিপৎসস্কুল পথে চলিতে প্রবৃত্ত ও সমর্থ করে। তথাপি, কংগ্রেস-কৰ্ম্মীদের আবার কৰ্ম্মিষ্ঠ হইবার এবং বহুসংখ্যক অন্য লোকের র্তাহাদের দুষ্টাস্তের অনুসরণ করিবার সম্ভাবনা এখন হইয়াছে, অভিজ্ঞ কংগ্রেস-কৰ্ম্মীরা এখন কৰ্ম্মিষ্ঠ হইলে নূতন কৰ্ম্মী অনেক পাওয়া যাইতে পরিবে । কিন্তু বঙ্গের কংগ্রেসী দলাদলি একটি শোচনীয় বাধা হইয়া রহিয়াছে। ংগ্রেস ও অন্য স্বাজাতিক দল উদারনৈতিকদের অন্যতম প্রধান নেতা শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয়ের মুখে কংগ্রেসের প্রশংসা নূতন নয়। তিনি আগে আগেও কংগ্রেসের প্রশংসা করিয়াছিলেন, সম্প্রতি আবার করিয়াছেন। তিনি সতাই বলিয়াছেন, যে, নূতন ভারতশাসন আইন অনুসারে ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত নিৰ্ব্বাচনে যদি কংগ্রেসপক্ষীয় সদস্তদের সংখ্যা কম হয় বা অন্ত কাণে ব্যবস্থাপক সভাসমূহে কংগ্ৰেসপক্ষ দুৰ্ব্বল হয়, তাহা ইসল তাহা দেশের পক্ষে অনিষ্টকর হইবে। স্বরাজ লাভ করি ই হইলে গবন্মেণ্টের উপর চাপ দেওয়া আবশুক । আইনের গণ্ডীর মধ্যে থাকিয়াই হউক বা আইনের গণ্ডী অতি কম করিয়াই হউক, এই চাপ কংগ্রেস যে-ভাবে দিয়াছেন এপং ভবিষ্যতেও দিতে পারেন, ভারতবর্ষের অন্য কোন রাষ্ট্রনৈতিক দল তাহা পারেন নাই ও পারিবেন না । সুতরাং ব্যবস্থাক