পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ow সহকারী ভারতসচিব মিঃ বাটলার বলেন, যে, এ-বিষয়ে রিপোর্ট করিবার জন্য বাংলা-গবন্মেণ্টকে বলা হইয়াছে। এইরূপ চাপ পড়ায় বাংলা-গবন্মেণট একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়াছেন। তাহার শেষ কথা এই, যে, বাংলগবন্মেণ পণ্ডিত জৱাহরলালের এই নিন্দার জন্য দুঃখিত এবং তাহা প্রত্যাহার করিতেছেন এবং ১৯৩৩-৩৪ সালের শাসনবিবরণের বহি এখনও গবন্মেণ্টের হাতে যতগুলি আছে, সবগুলি হইতে ঐ নিন্দাস্বচক অংশ বাদ দেওয়৷ হইবে। বিজ্ঞপ্তিটিতে অপ্রকাশিতনাম শাসনবিবরণলেখকের যে কৈফিয়ং দেওয়া হইয়াছে, তাহা না দিলেই ভাল হঠত। উহা মোটেই বিশ্বাস-উৎপাদক নহে—বস্তুত: উহা হাস্যকর। ঐ প্রকার কৈফিয়ৎ দেওয়াটাই আর একটা মৃত্তন দোষ । বিজ্ঞপিটিতে গবন্মেণ্টের পণ্ডিত জৱাহরলালের নিকট ক্ষম চাওয়া উচিত ছিল । কিন্তু গবন্মেণ তাহার নিকট ক্ষমা চান নাই । এক জন ( বেসরকারী ) ভদ্রলোক অন্ত এক জন ভদ্রলোকের অযথা নিন্দ করিলে ক্ষমা চাহিবার স্বরীতি প্রচলিত আছে । সরকারী কোন লোক এইরূপ অপরাধ করিলে কেন ক্ষমা চাহিবেন না, তাহার কোন সন্তোষজনক কারণ নাই । ক্ষম ন চাওয়াতে বিলাতী দৈনিক ভেলী হেরাল্ডও অসন্তোষ প্রকাশ করিয়ছেন । ১৯৩৩-৩৪ সালের বঙ্গীয় শাসনবিবরণীতে উপক্রমণিকার শেষে লেখা আছে :– “The Report is published under the authority and with the approval of the (tovernment of Bengal, but this approval does not necessarily extend to every particular expression of opinion.” অর্থাৎ কিনা, রিপোর্টটি বাংল-গবন্মেণ্টের সাধারণ অমুমোদন অনুসারে প্রকাশিত, কিন্তু তার মানে এ নয়, যে, ইহাতে প্রকাশিত প্রত্যেক মতেরই অমুমোদন সরকার বাহাদুর নিশ্চয়ই করেন। এই ইংরেজী বাক্যটি গত ডিসেম্বর মাসের ‘মডার্ণ রিভিয়ুতে উদ্ধৃত করিয়া আমরা লিখিয়াছিলাম, “nobody appears to be responsible for the opinions expressed therein”, “{*so প্রকাশিত মতগুলির জন্য দায়ী কেহই নহে মনে হইতেছে!” বস্তুত, যাহার জন্য গবয়েন্ট.নিশ্চয় দায়ী নহেন, এরূপ বেনামী প্রবাসী ゞいこの8、 জিনিষ প্রকাশ করা অনুচিত। সংবাদপত্র-সম্পাদকেরা যখন লেখকের নাম না ছাপিয়া কোন লেখা ছাপেন, তখনও তাহার এরূপ লেখা ছাপার জন্য আইনের কাছে দায়ী থাকেন। স্বতরাং বাংলা-গবন্মেণ্ট আবশ্বকমত দায়িত্ব এড়াইবার উপায়স্বরূপ ঐ বাকাটা ছাপিয়া থাকিলেও, যাহা কিছু ছাপিয়াছেন তাহার জন্য দায়ী। পৌষের প্রবাসীতে ঐ ইংরেজী বাক্যটা উদ্ধৃত করিয়া আমরা “পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরুর সরকারী নিন্দা” প্রসঙ্গে প্রশ্ন করিয়াছিলাম, “বাংল-গবন্মেটি নেহরু মহাশয়ের এই কল্পিত নিন্দার অনুমোদন করেন না বলিবেন কি ?” সেইরূপ, জাহুয়ারি মাসের ‘মডার্ণ রিভিয়ুতে আমরা প্রশ্ন করিয়াছিলাম :– “Taking advantage of the latter part of this sentence (i.e., this approval does not necessarily extend to every particular expression of opinion'), the Government of Bengal may say that their approval does not extend to the illegation made against the Pandit. But will they lo it? ()r will they stand up for the prestige of the nameless writer or writers .# the Report o" তাৎপৰ্য্য। বাংল-গবর্ণমেণ্ট ঐ বাক্যের শেষ অংশের ( অর্থাং রিপোর্টে প্রকাশিত প্রত্যেক মতের সরকার অনুমোদন নিশ্চয়ই করেন এরূপ নহে, এই অংশের ) গুযোগ লইয়া বলিলেন কি যে পণ্ডিতজীব বিরুদ্ধে প্রকাশিত এই মতের অনুমোদন করেন না ? না, ষ্টাঙ্গার রিপোর্ট-লেখকের মুখ রক্ষার চেষ্টাই করিলেন ? আমরা দেখিতেছি, বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা-গবন্মেণ্ট শাসনবিবরণের উপক্রমণিকার ঐ বাক্যটার সুযোগ গ্রহণ করিয়ছেন ; কিন্তু নিজ দায়িত্ব যে অস্বীকার করেন নাই তাহা ভাল । ংলা-গবন্মেণ্ট উচিত কাজ, পূর্ণমাত্রায় না করিলেও, যতটুকু করিয়াছেন, তাহাতে দেশী ও বিলাতী অনেক কাগজে সন্তোষ প্রকাশ করা হইয়াছে ; আমরাও তজ্জন্য গবন্মেণ্টের তারিফ করি । অরাজনৈতিক প্রচেষ্টার আবরণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসাধন শাসনবিবরণে পণ্ডিত জৱাহরলালের অমূলক নিন্দ সম্বন্ধে কৈফিয়ং দিতে গিয়া বাংলা-গবন্মেণ আর একটা ব্যাপক নিন্দ করিয়াছেন। বলা হইয়াছে, যে, গবন্মে ণ্ট জানেন, অরাজনৈতিক বলিয়া ঘোষিত বহু প্রচেষ্ট রাজনৈতিক