পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՃԵ-Ն প্রবাসী মহীশূর রাজ্যে প্রাচ্য কনফারেন্স এবং ত্রিবাঙ্গর রাজ্যে নিখিল ভারত মহিলা কনফারেন্সের অধিবেশন গত মাসে হয়। পুনায় হিন্দু মহাসভার এবং অপর একটি ভারতমহিলাদের কনফারেন্স হইয়াছিল। নাগপুরে জাতীয় উদারনৈতিক সংঘের এবং নিখিল ভারত শিক্ষা কনফারেন্সের অধিবেশন হইয়া গিয়াছে। বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন ইন্দোর শহরে এবং দার্শনিক কংগ্রেসের অধিবেশন কলিকাতায় হয়। এই সকলগুলিতেই বাঙালীদের যোগ ছিল। নিখিল ভারতীয় কোন সভাসমিতিতে যদি বাঙালী না থাকেন, তাহা কুলক্ষণ। সকলগুলিতেই অন্যান্য প্রদেশের লোকদের মত বাঙালীদের ধোগ থাকা একান্ত আবশ্যক । ভারত-মহিলাদের উদ্যোগিতা গত ১৯৩৫ সালে ভারতের নানা প্রদেশে মহিলাদের কনফারেন্স হইয়া গিয়াছে। সর্বশেষে হইয়াছে, ত্রিবাঙ্কড়ে নিখিল ভারতীয় মহিলা কনফারেন্স। আবার শীঘ্রই কলিকাতায় মহিলাদের একটি আস্তর্জাতিক কনফারেন্স হইবে । র্তাহীদের এই কম্মিষ্ঠতা প্রশংসনীয়। ভারতবর্ষে নারীজাতির মধ্যে শিক্ষার বিস্তার অভ্যন্ত কম হইয়াছে। নারীজাতির কল্যাণের জন্য বহু দিকে চেষ্টা করিতে হইবে । কিন্তু শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতি ব্যতিরেকে কোন কল্যাণ-চেষ্টাই সফল হইবে না। এই জন্য, নারীদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতির দিকে সমুদয় নেত্রীর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া একান্ত আবশ্যক। মহারাজা গায়কোয়াড়ের জয়ন্তী মহারাজা সয়াজী রাও গায়কোয়াড়ের ৬০ বৎসর রাজত্বকাল পুর্ণ হওয়ায় তাহার প্রজারা বড়োদা রাজ্যে উৎসব করিয়াছে। তিনি যখন বড়োদার সিংহাসনে আরোহণ করেন, তখন তিনি নাবালক, তখন তাহার বয়স ছিল ১২ ৷ সাবালক হইবার পর যখন ১৮৮১ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি রাজ্যশাসনক্ষমতা প্রাপ্ত হন, তখন হইতেও অৰ্দ্ধ শতাব্দীর উপর গত হইয়াছে। এই দীর্ঘকালে বড়োদা রাজ্য শিক্ষায়, সমাজসংস্কারে, কৃষিশিল্পবাণিজ্যে, শাসন ও বিচার বিভাগের উন্নডিতে, প্রত্নতত্ত্ব ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ রকম প্রগতি দেখাইয়াছে। এই প্রগতির যশ মহারাজার, এবং তাহার পর তাহার মনোনীত উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীদের ও র্তাহার প্রজাদের প্রাপ্য । জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মহারাজা কতকগুলি কয়েদীকে কারাগার হইতে মুক্তি দিয়াছেন এবং চরি লক্ষ টাকা খাজনা রেহাই দিয়াছেন। বড়োদ রাজ্যের গ্রামসমূহের উন্নডির জন্য তিনি এক কোটি টাকা দান করিয়াছেন। রাজেচিত দান বটে। এই এক কোটি টাকা দানের সংবাদ কাগজে পড়িবামাত্র সমগ্র ব্রিটিশ ভারতবর্ষে গ্রামোন্নতির জন্য ভারত-গবন্মেণ্টের এক কোটি টাকা বরাদ্দ স্বভাবতই মনে পড়িয়াছিল। বড়োদা রাজ্যের লোকসংখ্যা ২৪,৪৩,০০৭ ব্ৰহ্মদেশ সমেত সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের লোকসংখ্যা ২৮,৯৪,৯১,২৪১ । হিন্দু মহাসভা ও জাতিভেদ নাগপুর হইতে "হিতবাদ” নামক একটি উংকৃষ্ট ইংরেজী খবরের কাগজ সপ্তাহে তিন বার বাহির হয়। ইহা ২৫ বৎসর পূৰ্ব্বে স্থাপিত হইয়াছিল। ইহার সম্পাদক অহিন্দু নহেন, হিন্দু; ব্রাহ্ম সমাজের ব! আৰ্য সমাজের লোকেরা যে-অর্থে হিন্দু সে-অর্থে হিন্দু নহেন, প্রচলিত অর্থে হিন্দু। এই কাগজে নিম্নলিপিত সংবাদ ও মন্তব্য প্রকাশিত হইয়াছে। In the Subjevls (ommittee of the Ilindu Mahasabha Pantlit Malaviya gave a ruling which will end in restricting the activities of the Sabha and its deliberations to a great “xtent. While ruling that the question of untouchability was in order, l’andit Malaviya held thal inter-caste marriages and the abolition of castes were outside the spliere of the Alahasabha. The Hindu Mahasabha, if it “veluded questions hetween custes, will handicap the growth and popularity of the institution and will hecome an instrument for the use of those who are interested in kerpimg the status quo.... তাৎপর্য । হিন্দু মহাসভার বিষয়-নিৰ্ব্বাচন-সমিতিতে তাঙ্কার সভাপতি পণ্ডিত মদনমোহন মালধীয় বলেন, যে, অস্পগুত সম্বন্ধে আলোচনা করিবার ও প্রস্তাব ধাৰ্য্য করিবার অধিকার মহাসভার আছে, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জাতের মধ্যে বিবাহ চালান এবং জাতিভেদ উঠাইয় দেওয়৷ মহাসভার কার্ধ্যক্ষেত্রের বাহিরে। এই মীমাংসা সভার কৰ্ম্মিষ্ঠত ও আলোচনা বহু পরিমাণে সীমাবদ্ধ করিবে । ভিন্ন ভিন্ন জাতের মধ্যে যে-সব প্রশ্ন উঠে বা বিবাদ ঘটে, তাহ। যদি মহাসভা আলোচনার বাহিরে রাখিয়া দেন, তাহ হইলে ইহার বৰ্দ্ধিষ্ণুতা ও লোকপ্রিয়তাতে বাধ পড়িবে, এবং হিন্দুসমাজকে ইহার বর্তমান অবস্থায় ब्रांथा शांशीएमब्र शांईद्रकांग्न छछ यांदछक, ईश्! उझां८फ़्ब्रहे चांर्थनिकिन्न উপায়স্বরূপ একটি প্রতিষ্ঠান হইয়া দাড়াইবে।