পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Upoo প্রবাসী S\లి8R ঋণ, গোধন—বলদ, ষাড়, গাভী, বাছুর ; চরখ, ঢেকী, তালগাছ, তুলাগাছ, ইত্যাদির সংখ্যার বিষয় অনুসন্ধান করিয়া প্রত্যেক পরিবারের ঘর পূরণ করা হয়। তাহার পর গ্রামের সমষ্টি বাহির করা হয়। এই সকল বিবরণ হইতে যে তথ্য পাওয়া গিয়াছে সে-সম্বন্ধে না-আমাদের না ঐ গ্রামবাসী কৰ্ম্মীদের কোনও ধারণ ছিল। ঐ সকল তথ্য হইতে বিচাৰ্য্য বিষয় যাহা পাওয়া গিয়াছে তাহা একটি মাত্র গ্রাম লইয়া আলোচনা করিতেছি । বঁাশবেড়িয়া গ্রামপানি আত্রাক্ট ( রাজশাহী ) হইতে ৫ মাইল উত্তরে ও রঘুরামপুর ই. বি. আর রেল ষ্টেশন হইতে ১ মাইল পূর্বে। দেউল গ্রামের এই কাপাস গাছটি ঘরের ছাউনী নষ্ট করিয়া ফেলে জনসংখ্যা :—বঁাশবেড়িয়ায় ৭০ ঘর লোকের বাস, ৩৪ ঘর মুসলমান, ৩৬ ঘর হিন্দু, মাহিষ্য । মোট জনসংখ্যা ৩৫৯ । ইহাদের মধ্যে ১০ বৎসরের কমবয়স্ক বালকবালিকা ৯৬ জন । জমি —গ্রামের লোকেদের ১১২১ বিঘা চাষের জমি আছে। ইহার মধ্যে তিনটি বদ্ধিষ্ণু হিন্দু পরিবারের, ২২ জন লোকের মধ্যেই জমি আছে ২৮০ বিঘা। মুসলমানদের মাথাপ্রতি জমি পড়ে পৌনে দুই বিধা ; আর তিন ঘর বাদে অবশিষ্ট হিন্দুদের পড়ে আড়াই বিঘা ৷ অয়ি -জমি হইতে ও অন্ত বৃত্তি হইতে গ্রামের মোট জায় ৯১৪৪ টাকা। মুসলমান বাসিন্দাদের জন-প্রতি বার্ষিক আয় ১৫ টাকা, আর হিন্দুদের জন-প্রতি বাকি আয় ২৮ টাকা। এই আয় হইতেই খাজনা ও চাধের খরচা দিতে হয়। স্বতাকাটা –৩৪টি মুসলমান পরিবারের মধ্যে ১৩টি পরিবারের ১৩ খান চরখা আছে। ৩৬টি হিন্দু পরিবারের মধ্যে ৩১টি পরিবারে ৫২ খান চরখা আছে। অর্থাৎ ৭০টি পরিবারের ভিতর ৪৪টি পরিবার বস্ত্রে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে আছে । - তুলা :–এই বঁশবেড়িয়া গ্রামে কয়েক বৎসর পূর্কে কিছু দেবকাপাস গাছ লাগান হইয়াছিল। বৰ্ত্তমানে ১১২ট গাছ আছে । দেবকাপাস হইতে প্রচুর তুলা পাওয়ার উত্তম সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে । ওয়ার্দ্ধা, কাম্বোডিয়া প্রভৃতি নানা জাতের তুলা এই অঞ্চলে চাষ করা হইয়াছিল, কিন্তু এই স্থানে অতিশয় বৃষ্টি হয় বলিয়া গাছগুলি পাতায় ভরিয়া যায়. ফল খুব কমই হয়। দেবকাপাস বিশেষ ভাবে ভাল ফল দিতেছে। কয়েকটি গাছের যত্নসহকারে হিসাব লওয়া হয়। একটি ৯ ফুট ব্যাসের গাছে এই অগ্রহায়ণ মাসে ৪০০০ ফল গুণিয়া পাওয়া যায় । উহার ৪০টা ফল হইতে ৩ তোলা বীজ-সমেত কাপাস ও উহা হইতে ১ তোলা তুলা পাওয়া যায়। ৪ হাজার ফল হইতে এই হিসাবে ১০০ তোলা অথবা সওয়া-সের তুলা পাওয় যায়। বৎসরে দুইবার এই প্রকার ফল হওয়ায় এক বৎসরে ২ সের তুলা পাওয়ার কথা। যাহার গাছ সেও বলে যে বৎসরে আড়াই-তিন সের তুলা পাইয়া থাকে। অন্য গ্রামের তুলার গাছ হইতেও এই প্রকার ফলনেরই হিসাব পাওয়া গিয়াছে : বর্তমানে যদিও তুলার ফল পাকিতেছে তথাপি আবার নূতন ফুলও দেখা দিতেছে। বৎসরে প্রায় আট মাস কাল কিছু কিছু ফল পাওয়া যায়। এই প্রকার গাছ এক কাঠায় ৭টা ও বিঘায় ১৪০টা হইতে পারে। তাহা হইলে বিষাপ্রতি ১৪০২ টাকা আয় হইতে পারে। যদি বিঘাপ্রতি ইহার এক-তৃতীয়াংশ তুলাও পাওয়া যায় তথাপি প্রতিবিধায় ৫০ টাক আয় হইতে পারে। এই অঞ্চলে কোন জমি হইতে এত আয় করা সম্ভব নয়। তুলা চাষ করিয়া বস্ত্রে স্বাবলম্বী ত হওয়াই যায়, অধিকন্তু উদৃত্ত তুলা বিক্রয় করা যাইতে পারে। তুলার জন্য অন্ত প্রদেশের মুখাপেক্ষী হওয়া বাংলার