পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙীন চশম ঐতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় হেমন্তের প্রভাত। ধূলিমালিন্তহীন আকাশ। গ্রামের পথে ধানের গাড়ী মৃদু মন্থর গতিতে চলিতে সবে আরম্ভ হইয়াছে। দোকানী ঘনশ্বাম দে সবে দোকানপাট খুলিয়া গীতে ধূপধুনার অর্চনা দিতেছে, এমন সময় রাইকিশোর গোসাই আসিয়া উপস্থিত হইল। সরলরেখার মত সোজা শীর্ণ মানুষটি—পুতুলের মত ছোট মুখ–চোখ দুইটি সৰ্ব্বদাই পিটু পিটু করে—ছোট মাথাটি জুড়িয়া একটি টাক—গোসাঁইজীর গলায় ছকটি তুলসীকাঠের মালা। লোকে গোসাইজীকে ডাকে সরু গোসাই । দোকানেৰ বারান্দায় উঠিয়া গলা খাকারি দিয়া গোসাই বলিল—রাধেগোবিন্দ–রাধেগুীম—বলি শিষ্য রয়েছ না কি? ৰূপানিটা রাখিয়া ঘনাম বাহিরে আসিয়া মৃদ্ধ হাসিয়া বলিল—আম্বন আস্কন, গুরুদেব আসুন, বসতে আজ্ঞা হোক!—বলিয়। সে বারান্দার বেঞ্চটা দেখাইয়া দিল। গোসাই বসিয়া হাত তুলিয়া বলিল—আশীৰ্ব্বাদ—জাজ চার আন লোকসান হোক তোমার ! ঘনখাম জোড়হাত করিয়া বলিল-আমার অপরাধ কি হ’ল প্ৰভু ? গোসাই বলিল—আমি নিরুপায়। চিত্ত আমার রুষ্ট হয়ে আছে। কাউকে ভস্ম করবার প্রবল বাসনা। তোমার গুরুমা সকালবেলাতেই আমাকে যাচ্ছেতাই—অর্থাৎ কটুস্তব করেছেন । মনে মনে ইচ্ছা হ’ল—দিই পাপিষ্ঠাকে ভস্ম ক'রে, কিন্তু সম্মুখে অশুভ-দর্শন করলাম–মানে, তার হাতে দেখলাম ঝাট—ঝাটাকে আবার কি বলে সাধু-ভাষায় ? যাক, সেই জন্ত রোষ মনের মধ্যে চেপে চলে এলাম—সেইটা তোমার ওপর পড়ে গেল । घनश्चांदभद्र छूडा छुझे कां* छ जहब्रां यांनिम्न नैफ़ॉड्रेण । এক কাপ চ গোসাইয়ের হাতে তুলিয়া দিয়া ঘনখাম বলিল— পান করুন প্ৰভু ! কাপ হাতে লইয়া গোঁসাই বলিল— ७ ॐखिन्ब्रज caथमब्रण छूटबब्रहे cर चडांव । चांमब्रां चांदांब्र দেবলোকের ব্যক্তি—ও দুটো না হ’লে আমাদের চলে না। যা রে বেটা নিয়ে আয়—ইয়ে রে ইয়ে! ঘনপ্তাম চাকরটাকে বলিয়া দিল—স্থধ জার চিনির জন্তে বলছেন বোধ হয়—নিয়ে আয়। ভূতাটা চলিয়া গেল। ঘনশুমে বলিল-আন্দাজে বুঝলাম দুধ আর চিনি, কিন্তু কোনটা ভক্তি— বাধা দিয়া গোঁসাই বলিল—মূর্খ। এখন অবধান কর—দুখ হ’ল ভক্তিরস। কংস, দুগ্ধ যেমন দোহন না করলে পাওয়া যায় ন—ভক্তিও ঠিক তাই, দোহন না করলে পাওয়া যায় না! আর প্রেমরস হ’ল চিনি—শৈত্যের স্পর্শেই গলায়মান— একেবারে জল, সঙ্গে সঙ্গে উথলিত। খোকার মার্কাদল— অমনি খোকার বাবা বিগলিত । ভৃত্যটা আসিয়া দুধ ও চিনি আরও খানিকট মিশাইয় দিল। গোঁসাই চুমুক দিল। দে বলিল—কি রকম এখনও যে মুখ কেমন কেমন করছেন—অ্যা? গোঁসাই বলিল—বৎস হে, পারিজাত-কাননের চ, স্বরভির দুধ, বৈকুণ্ঠের ইক্ষুর চিনি, এই সহযোগে জামাদের চা খাওয়া অভ্যাস; আমাদের– । তাড়াতাড়ি হাতজোড় করিয়া ঘনখাম বলিল—প্রস্তু এক দিন অধম শিষ্যকে প্রসাদ এক কাপ—} নিঃশেষে চা-টুকু পান করিয়া কাপটি নামাইয়া দিয়া গোসাই বলিল—সহ হবে না বৎস! উদরাময় হয়ে যাবে। লোড সম্বরণ কর—জান ত ‘লোভাকু পাপ, পাপায় মৃত্যু। ঘমগুম বলিল—প্ৰভু, মৃত্যু আমার সন্নিকট—কোষ্ঠীতে লিখেছে— বাধা দিয়া গোঁসাই বলিল—কিন্তু পাপ—পাপ-হেতু যে যমালয়ে কষ্ট পাবে বৎস! গুরু হয়ে সে কার্ধ্য আমি কি করে করি । এমন সময় এক জন খরিদ্ধার আসিয়া वैiछाहेण ।