পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोछुन् গোঁসাই বলিল—সেই কথাই ত ভাবি মশায় মাঝে মাঝে—বলি, একা, জানা নেই শোনা নেই, অাধারের মধ্যে যাব কি ক'রে ? দুই জনেই নীরব হইয়া গেল—অকস্মাৎ যেন মনের মধ্যে বৈরাগ্য জাগিয়া উঠিয়াছে। ওদিকে পিওন ডাক বিলি করিতেছিল— —আপনার আজ কিছু নাই গো চাটুয্যে-মশায়। থানার ডাক—থান, এই নাও । —অজ্ঞে—নিউনায়েন বোটের ডাক— । পিওন ধমক দিয়া বলিল—ঘোড়াটা বাধ রে বাপু । —আমার আছে—আমার—মৌলভী ওয়াহেদ হোসেন মেরজা সকিম ঘাটিতোড়— ? পোষ্টমাষ্টারের ঘোরটাই আগে কাটিয়াছিল—টেলিগ্রাফের যন্ত্রট টক্‌ টক্‌ করিয়া উঠিতেই সে চকিত হইয়া জাগিয়া উঠিয়াছিল। যন্ত্রের কাজ শেষ করিয়া সে বলিল—ত ভগবান ভদ্রলোকের ওপর মুখ তুলে চেয়েছেন মনে হচ্ছে। হুগলী জেলার লক্ষ্মীবাটীর জমিদার তারা—তারাই খবরাখবর পেয়ে বিনাপণেই মেয়েটিকে নিতে রাজি হয়েছেন। গোঁসাই অন্তমনস্কভাবে চাহিয়াছিল একটা সাইনবোর্ডের দিকে, সেখানে লেখা ছিল 'এখানে বিনা পারিশ্রমিকে টেলিগ্রাম ও মনিঅৰ্ডার ফৰ্ম্ম লিথিয়া দেওয়া হয় । মাষ্টারের কথায় চমক ভাঙিয়া সে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল—বিনা পণে—? —হঁ্যা । হরিতকী পণ, তবে মেয়েকে যদি এরা কিছু দিতে চান তবে তাতে র্তাদের আপত্তি নেই। তারাও ধুন মন্ত বনিয়াদী ঘর-মানীর মান-অপমান সম্বন্ধে খুব নজর তাদের। ছেলেটিও ভাল—এবারই 'ল' পাস করেছে, হাইকোটেই প্রাকৃটিস করবে। গোঁসাই ঘাড় নাড়িয়া বলিল—উহু—কেমন যেন । বিনা পণে— হুগলী জেলার কোথায় বাড়ি বলুন ত? —লক্ষ্মীবাটীর সিংহবাবুরা পুরোনো ঘর—অতি সঙ্গন। আমি যখন চুচড়ো পোষ্টাপিসে কেরানি ছিলাম, তাদের নামডাক খুব গুনেছি। লক্ষ্মীবাটীর পোষ্টমাষ্টারও খুব প্রশংসা করতেন তার কাছেও শুনেছি। ” গোসাই ঘাড় নাড়িতে নাড়িতে বলিল—ও মশায় बा३त्त्व cथक अश्वनि cस्थान बाच्ने। “हे थक्न न ८कोयूबौ রঙীন চশমণ (Ն6ծ বাবুদের বাড়ির কথা বলছিলেন ত-প্রকাও বাড়ি, এমন কায়দাকরণ অথচ পলেস্তারার ভেতরে সব কাদার গাথনি । পোষ্টমাষ্টার বিস্থিত না হইয়া পারিল না, সে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল—বলেন কি মশায়–অ্যা—বাইরে পঙ্কের কাজ করা, এক টুকরো বালিচু খলে নি আজও, ওই বাড়ি— বাকীটা শেষ করিয়া দিল গোসাইজী—কাদার গাথনি। তবে আর বলছি কি—‘ওপরে চেকন-চকন ভেতরে খড়গোজা', এই মশায় সব জায়গায়, ও দুনিয়াই আপনার কাদার গাঁথনি—ওই লক্ষ্মীবাটীর বাবুরা— । পোষ্টমাষ্টার প্রতিবাদ করিয়া বলিল—না-না-না-মশায়, তারা হ'ল মস্ত ধনী লোক, দেশে জমিদারী, কলকাতায় বাড়ি আট-দশখান, বাসনের ব্যবসা—তাদের অবস্থা খুব ভাল। আমি খুব ভাল ক'রে জানি। আমাদের স্বজাতি – দেশের মধ্যে একটা নামকরা ঘর—ওর মধ্যে কোথাও গলদ নেই। গোসাইয়ের বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হইতেছিল না—সে নীরবে ওই কথাটাই চিন্তা করিতেছিল। পোষ্টমাষ্টারই বলিল—এই কালকেই আসছেন তারা— দেখতে পাবেন কেমন উচুদরের লোক। আজই সেই পত্র এসেছে। কাল মেয়ে দেখতে আসবেন—মেয়ে পছন্দ হ’লে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিবাহ হয়ে যাবে। গোসাই তবুও চিন্তা করিতেছিল। পোষ্টমাষ্টার বলিল—ওঁদের যদি মেয়ে পছন্দ না হয় মশায়—মেয়ে অপছন্দ হতেই পারে না, তবুও ত বলা যায় না–মানুষের চোখের কথা । তা হ’লে আমার ভাইয়ের সঙ্গে ও মেয়ের বিয়ে দেব। ভাইটি আমার এম-এ পড়ছে— —পোষ্টকার্ড দেবেন ত দুখানা । একজন গ্রাহক আসিয়া দাড়াইল । মাষ্টারের কথাটা চাপা পড়িয়া গেল । এবার গোঁসাই বলিল—যাক, তা হ’লে চৌধুরী-মশায়ের অদৃষ্ট ভাল বলতে হবে। —এখন পরে যাই দাড়াক, এখন ত দেখে ভালই মনে হচ্ছে - •• —তা বেশ–তা হ’লে আমি যাই এখন । পোষ্টমাষ্টার হাসিয়া বলিল—আপনার ইনশিওরটা এলে খবর দেব আপনাকে ।