পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo: প্রবাসী SN28。 গোঁসাই বলিল—একটা টেলিফোন ক'রে দেবেন। টেলিফোনের নম্বরটা জানেন ত ? ফন্ধী—শুন্ত-শূন্ত-শূন্ত— তিন শূন্ত আর কি। পোষ্টমাষ্টার হাসিয়া আকুল হইয়া বেশ । - গোসাই রাস্তায় নামিয়া আবার যেন অন্যমনস্ক হইয়া পড়িল। মন যেন তাহার সহসা বিষণ্ণ হইয়া পড়িয়াছে। পদক্ষেপে তাহার সে ক্ষিপ্ৰতা নাই, দৃষ্টিতে সে চঞ্চলত নাই, জাত খুঁটিতে খুঁটিতে সে চলিয়াছিল। কে তাহাকে ডাকিল— প্ৰণাম গোঁসাইজী । আমুন তামাক খেয়ে যান। গোসাই দেখিল, ঘনশ্বামের কৰ্ম্মচারী শিবু তাহার আপন দাওয়ায় বসিয়া তামাক খাইতেছে। গোসাই হাসিয়া উত্তর দিল— কল্যাণ হোক—বৎসরে বৎসরে সস্তান লাভ কর। বলিয়া সে শিবুর দাওয়ায় চাপিয়া বসিল । ব্রাহ্মণের হকাটা তাহার হাতে দিয়া শিবু হাসিতে লাগিল। গোঁসাই বলিল—কই কাজে যাও নি যে ? শিবু বলিল—আর বলেন কেন-ভাইটাকে দিয়েছি একটা বেগুনী-ফুলুরীর দোকান করে—মাঠে সে বেচতে যায়, তাই সকালে একবার দেখতে মাঠে গিয়েছিলাম--তার পর বাড়ি ফিরে দেখি ছেলেটার বিষম জর, তাই আর আজ যেতে পারলাম না । গোসাই বলিল—স্থ ।--তার পর মাইনে-টাইনে সব পেলে, না, খেটেই যাচ্ছ শুধু ? শিবু বলিল—মাইনে আমি ত নিই নি এখনও। আমার একটা দেনা আছে—তা ওই মাইনের টাকা থেকে শোধ করব ভেবেছি। ঘনশ্যাম অবস্থাপন্ন লোক—এক-মন্তেই নোব ওর কাছে । গোঁসাই হকাটা শিবুর হাতে দিয়া বলিল—রাখ।--বেশ তবে উঠি বৎস। প্রচুর ধন হোক তোমার—ডাকাতের ভয়ে নিদ্রাহীন হয়ে বেঁচে থাক। স্বদ কষতে কষতে মস্তিষ্ক বিষ্কৃত হোক তোমার । শিবু ও কথায় কান দিল না, প্রশ্ন করিল—কিন্তু ও কৰা হঠাৎ আপনি জিজ্ঞাল করলেন কেন ? —এই দেখ ছেলেমাচুৰী দেখ ! ও—তোমাকে ধর डांणबांनि, गव क्षी फूभि चांधांरक दण-ञांभिहे या उषन বলিল—বেশ তোমার সম্বন্ধে ভালমন কিছু শুনলে, সে কথা জিজ্ঞেস না ক'রে থাকি কি ক’রে । —কি, শুনলেন কি আপনি ?--বন্ধন, বক্ষন । না— না-বলতেই হবে আপনাকে । গলা নামাইয়া গোসাই বলিল—যেন তোমাকে রাখবার বেশ ইচ্ছা নেই দেখলাম। বলে, ইদানীং কাজটাজ কিছু করে না—শুধুই ফাকি, শুধুই ফাকি। এ করলে জবাবও দেব, মাইনেও এক পয়সা দেব না আমি । শিবুর মুখখান এক মুহূৰ্ত্তে বিবর্ণ হইয়া গেল। সে কাতর স্বরে বলিল,—ভগবান জানেন, আর আপনারাও ত পাচজনে দেখছেন, আমি— । —সে আমি খুব বলেছি ওকে। বেশ দশ কথা শুনিয়ে, দিয়েছি। বলে দিলাম বুঝেছ কিনা—আচ্ছা করে। সাগ্রহে শিৰু বলিল—কি বললে তাতে ? —কি আর বলবে, বলবার আছেই বা কি ? তবে কি জান ও-সব লোকের স্বভাবই ওই। আবার বলে, তুমি নাকি দোকান খুলবে, খদের ভাঙাচ্ছ। আর ধর মাইনের টাকা এক পয়সা নাও না, অথচ সংসারই বা চলে কি ক’রে তোমার ? এই সব আর কি । আবার বিবর্ণ হইয়া শিবু বলিল—ঈশ্বরের দিব্যি করে বলতে পারি—আপনি ব্রাহ্মণ, আপনার— বাধা দিয়া গোসাই বলিল—আরে তার জন্তে এত ভাবছ কেন তুমি ? বলি, আইন-আদালত ত কারুর বাবার নয়। কান ম'লে টাকা আদায় ক’রে নেবে তুমি। শিবু শুধু একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল—উত্তর দিবার শক্তিও যেন তাহার লুপ্ত হইয়া গেছে। গোসাই বলিল—আচ্ছ, তা হ’লে উঠি বৎস। আমার আবার কত কাজ বাকী । বিপরীত দিক হইতে আগম্ভক এক ভদ্রলোক হাসিয়া বলিল—আপনার কাজ কি দেবতা ? এ যে— সঙ্গে সঙ্গে গোসাই বলিয়া উঠিল—কাজ ? এই ত ধর কোয়েটায় ভূমিকম্পে এত লোকক্ষয় করার জন্তে শিবের সেশনে বিচার হবে—তাতে জুরী আছি। তার পর ধর—ইন্দ্রলোকে । ভদ্রলোক তখন অনেকটা পথ অতিক্রম করিয়া চলিয়া গেছে। গোঁসাইও কার্ধের তালিকা অসম্পূর্ণ রাখিয়া অগ্রসর হইল। আলিয়া উঠিল সে ঘনশুমের দোকানে ।