পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

乌曼° প্রবাসী ১৯৪৪ই প্রবল হইয়া উঠিয়াছিলেন র্তাহার দেওপাড়া-লিপিই তাহার প্রমাণ । তাহার নামাঙ্কিত লিপি বীরভূম জেলাতেও আবিষ্কৃত হইয়াছে। কিন্তু তিনি ষে ক্রমে পূৰ্ব্ববঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করেন ইহাও ঠিক। তখন সম্ভবতঃ তাহার পূর্ববর্তী চন্দ্র ও বর্শ্ব-বংশীয় রাজাদিগের অনুকরণে বিক্রমপুরজয়ম্বন্ধাবার হইতে তাহার তাম্রশাসন প্রচারিত হয়। লক্ষ্মণসেনের নামাঙ্কিত এক লিপি ঢাকায় এক বিগ্রহের পাদপীঠে বর্তমান, কিন্তু তাহার তাম্রলিপি সমস্তই উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে আবিষ্কৃত হইয়াছে। লক্ষ্মণসেনের ভাগ্যবিপর্যায়ের পর তাহার বংশধরেরা পূর্ববঙ্গে আশ্রয় লন কিন্তু কেশবসেন ও বিশ্বরূপ সেনের তাম্রশাসনে আমরা বিক্রমপুরজয়স্কন্ধাবারের পরিবর্তে “ফন্তু গ্রামপরিসরসমাবাসিত শ্ৰীমজয়স্কন্ধাবার"এর উল্লেখ দেখিতে পাই। এই ফন্তগ্রাম কোথায় ছিল তাহার সম্যক্ আলোচনা হয় নাই, তবে মনে হয় এই রাজারা পূৰ্ব্ববঙ্গে আশ্রয় লওয়ার পর “সগগর্ষবনাম্বয়প্রলয়কালরুদ্র” ইত্যাদি আড়ম্বরপূর্ণ উপাধিতে আপনাদিগকে ভূষিত করিলেও এবং বিক্রমপুর-ভাগে ভূমিদান করিলেও প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ বিক্রমপুর নগরকে রাজধানীরূপে ব্যবহার করিতে সাহসী इन नहेि । এই সব কারণে বিজয়সেন, বল্লালসেন ও লক্ষ্মণসেনের “বিক্রমপুর"এর অবস্থান সম্বন্ধে কেহ কেহ সন্দিহান হইয়াছেন। ঐযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বন্ধ প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব মহাশয় নদীয়া জেলায় দেবগ্রামের নিকট অপর এক বিক্রমপুরের সদ্ধান পাইয়া অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন যে বিজয়ুসেন, বল্লালসেন প্রভৃতি এই স্থানেই রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন এবং তাহদের তাম্রফলকে উল্লিখিত জয়স্কন্ধাবার এই স্থান । এই মতে অভিনবত্ব আছে সন্দেহ নাই, কিন্তু প্রমাণ এতই দুৰ্ব্বল যে জাস্বাস্থাপনের অযোগ্য। পূর্ববঙ্গের স্বপ্রসিদ্ধ বিক্রমপুর হইতে যে চন্দ্র ও বর্শ্ব-বংশীয় রাজগণ র্তাহাদের দানপত্র বাহির কৃরিয়াছিলেন তাহা অবিসংবাদিত । পরে জাৰার দক্ষজমাধব দশরথকে এই বিক্রমপুর জয়স্কন্ধাবার হইতে জানপত্র বাহির করিতে দেখা যায় ৫ মধ্যে ষে সেন-বংশীয়

  • बैबूङ मनिबौकोड उडेनाजी कछुक नरशृशैठ जात्रावाक्लिद्र wroto-Inscriptions of Bengal by N. G. Majumdar अहॊदा ॥

রাজাদিগের সহিত বিক্রমপুরের নাম এত ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত, র্তাহারা যে একই রূপ শব্দবিন্যাস করিয়া তাহাঁদের অধিকৃত অন্ত এক অপরিচিত বিক্রমপুরকে গৌরবমণ্ডিত করিয়া তুলিয়াছিলেন এই অভিনব মতে কেহ সহজে আস্থাবান হইতে পারে না । বল্লালচরিতম্ নামে দুইখানি সংস্কৃত পদ্যগ্রন্থ প্রচারিত হইয়াছে। ইহার একখানি আনন্দভট্ট কর্তৃক খ্ৰীষ্টীয় ষোড়শ শতকের প্রথম ভাগে বিরচিত বলিয়া উক্ত গ্রন্থেই পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। ইহাতে বল্লালসেনের রাজধানী গৌড়, বিক্রমপুর ও স্বর্ণগ্রাম এই তিন স্থানে ছিল বলিয়া লিখিত আছে । বল্লালসেনের চর্শ্বকারকস্তাগ্রহণ, তজ্জন্ত লক্ষ্মণসেন ও প্রজাবৃন্দের সহিত কলহ ইত্যাদি নানা বিষয় এই গ্রন্থে বর্ণিত হইয়াছে। বল্লালসেন ধবলেশ্বরীর তীরে বিচরণকালে নাকি এই কন্যার দর্শন পান। এই ধবলেশ্বরী বা ধলেশ্বরী রামপালের অনতিদূরে একটি প্রসিদ্ধ নদী। নদীয়া জেলার বিক্রমপুরের সহিত ইহার কোনই সংস্রব নাই। আর একখানি বল্লালচরিতম্ গ্রন্থে উহা গোপালভট্ট কর্তৃক বিরচিত এবং তাহার বংশধর আনন্দভট্ট লিখিত পরিশিষ্ট-সংবলিত এইরূপ পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে। আননভট্টের বল্লালচরিতে বল্লালের প্রকৃত বংশপরিচয় আছে। এই গ্রন্থে তাহা নাই, আছে ব্রাহ্মণ-কায়স্থাদির গতানুগতিক ভাবে কিছু বিবরণ, নানা প্রকার তথাকথিত সক্ষরবর্ণের উৎপত্তির আজগুবি কাহিনী, স্ববর্ণবণিকৃ ও যোগী জাতির নির্বাতনের বিবরণ ইত্যাদি। পরিশিষ্টে বল্লালের চরিত্র ও তাহার জন্ম অতি হেয়ভাবে চিত্রিত হইয়াছে। এই অংশ আনন্দভট্ট কর্তৃক বিরচিত বলিয়া গ্রন্থে লিপিবদ্ধ থাকিলেও অপর বল্লালচরিত গ্রন্থের সহিত নানা বিষয়ে অনৈক্য দেখিতে পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, শেষোক্ত গ্রন্থের মতে বল্লালসেনের রাজধানী ছিল গৌড়, বিক্রমপুর ও স্ববর্ণগ্রামে, কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত পরিশিষ্টের মতে তিনি রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন স্ববর্ণগ্রাম, গৌড় ও নবদ্বীপে। ংে বিক্রমপুরের সহিত চৰ্শ্বকারকস্তার এতটা সংস্রব তাঁহাকে এখানে উড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে। উভয় বল্লালচরিতেই বল্লালসেনের সহিত ৰণিৰু বান্নভানদের বিরোধ ও স্ববর্ণবণিক निtनब्र जोडिनांख्रनब्र फेरन्नषं चांटइ ।