পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोक्लन्म পশ্চিমৰাজিকী URS অনেক কষ্টে সেই জাৰ্মান মেয়েটির সাহায্যে বোঝালুম ষে আমরা গরু-বাছুর খাই না, আমাদের একটু আলু ভেজে ও ডিম সিদ্ধ ক'রে দাও । সারাদিন ত গেল। রাত্রে প্রবল মশার উৎপাত, বfাকে বfাকে কানের কাছে এসে গান জুড়ে দিলে। রাত্রে মশা মারতে মারতে প্রতিজ্ঞা করলুম ষে সকাল হ’লেই এখানে থেকে পালাব। জলের কষ্ট ও ঘুমের কষ্ট একসঙ্গে সঙ্ক করা অসম্ভব। সকালে আমরা অন্য হোটেলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লুম। দু-একটি দেখবার পর প্যালেস হোটেলটি স্ববিধার মনে হওয়াতে এর ম্যানেজারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে রাখলুম। শুনলুম রাত্রে মশার উৎপাতের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য এক রকম স্বল্প তারের জালের বন্দোবস্ত আছে । রাত্রে শোবার ঘরের জানালা খুলে রেখে এই জালের পর্দা নামিয়ে দিলে মশা আটকায় কিন্তু হাওয়া বন্ধ হয় না। এখান থেকে ফিরে এসে ম্যানেজারকে বললুম যে আমরা কাছেই প্যালেস হোটেলে উঠে যেতে চাই। এখানে জলের বড় কষ্ট হচ্ছে । ম্যানেজার ব্যস্ত হয়ে ব’লে উঠল,—সে কি, তোমরা গরু খাও না ব’লে আমি অনেক কষ্টে মুরগীর যোগাড় করেছি। তার জন্য আমার বেশী দাম লেগেছে। যাবার আগে মুরগীর দামটা আমায় দিয়ে যেতে হবে। মুরগীর দাম দিয়ে দেবার পর ম্যানেজার খুলী হয়ে গোটাকয়েক খুব বড় বড় পিচ আমাকে দিয়ে দিলে আর বললে,—এগুলি খেয়ে দেখ, প্যালেস হোটেলে এ-রকম পিচ খেতে দেয় না, এখানে একমাত্র আমিই এরকম দিতে পারি। প্যালেস হোটেলে এসে ইফ ছেড়ে বাঁচলুম। এখানে মশার উৎপাত নেই, জলের কলে সব সময় জল পাওয়া যায়। পায়খানার বন্দোবস্তও বেশ ভাল। পোর্টোরসোতে লাল, কালো ও সাদা আঙুর পাওয়া যায় ; পিচও খুব সন্তা। রাস্তায় রাস্তায় রকমারি কষ্টিউম ও-সমুদ্রস্থানের উপযোগী অন্তান্ত জিনিষের দোকান। ফটোগ্রাফেরও দোকান আছে। এয়ারোপ্লেনের আড়তও আছে। এখান থেকে রোজ এয়ারোপ্লেন টিয়েষ্টে যাতায়াত করে । আমরা ঘরের বারান্দায়. ড়িয়ে রোজ এয়ারোপ্লেনের টিয়েষ্ট-যাত্রা দেখতুম। এয়ারে প্লেন প্রথমটা ঢালু জায়গা দিয়ে চলে আড়িয়াটিক সমূত্রের উপর নামৃত, তার পর জলের উপর কয়েক মুহূৰ্ত্ত 08-صص= bre ফোয়ারার মত জল ছিটতে ছিটতে চ'লে ক্রমশঃ আকাশে উড়ত সমূত্রের ধারে লোকে সারাদিন ধরে গুয়ে রোদে ভাজ-ভাজা হয় ও স্নান করে। আমরা এখানকার ট্রামে চড়ে একদিন আরও কিছু দূর গিয়েছিলুম। এ জায়গার নাম পিরানো। অনেক কালের পুরাতন পল্পী। আমাদের সঙ্গে সেই জার্মান মেয়েটি বেড়াতে এসেছিল। তার কাছে শুনলুম এটা আগে জলদস্বাদের আস্তানা ছিল। এখন মৎস্যজীবীদের আড্ডা হয়েছে। সমুদ্রের ধারে বালির চড়াতে অনেক মাছধরা নৌকা ও জেলেদের বড় বড় মাছের জাল শুকতেও দেখতে পেলুম। সমস্ত জায়গাটিতে একটা তীব্র অাসটে গন্ধ বার হচ্ছিল । একটি ছোটখাট পাহাড়ের উপর অনেক কাল ' আগেকার তৈরি একটি দুর্গ আছে। এখান থেকে সমুদ্রের দৃপ্ত অতি সুন্দর। চারি দিকে আড়িয়tাটকের নীল স্থির জল । তখন স্বৰ্য্য অস্ত যাচ্ছিল । চারি দিকে ছোটবড় পাহাড়ওয়ালা দ্বীপ, আঙরের গাছে ভরা। আঙুরের গাছগুলি জলের ধার পর্যন্ত নেমে এসেছে । ইটালীর পুলিসু একটি দেখবার বস্তু। এরা সব সময় জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে বেড়ায় । এদের সাজের পারিপাট্য খুব । জমকাল কালে রঙের পোষাক, তাতে সোনালী রূপালী বোতাম আঁটা । মাথার বাকী টুপিতে নানা রঙের পালক গোজা । সব সময় ঠোঁটে মৃদু মৃদু বাকা হাসি, চোখের চাহনিও চোরা চোরা। চলন একটু “গদাই লস্করী"গোছের । মোট কথা, এদের চেহারা ও ধরণ দেখলে পুলিস বলে মানতে ইচ্ছা করে না । মনে হয় কাচের আলমারীতে রাখলেই ভাল দেখাবে। হোটেলের সামনে রাস্ত, এর অপর পারে হোটেলেরই বাগান, বাগানে সুন্দর পাথরের রেলিং দিয়ে বাধানো ঘাট। আমরা রোজ বিকালে এই ঘাটে গিয়ে সমুদ্রস্নান করতুম। পোর্টোরসোতে থাকবার সময় এক জন ফরাসী বৃদ্ধ ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়। ইনি কষ্টেস্বষ্টে ইংরেজী বলতে পারতেন। আমাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে গল্প করতেন। তার স্ত্রীর সম্বন্ধে কিছু বলতে হ’লে আমাদের কাছে My woman বলে স্ত্রীৰে উল্লেখ করতে শুনেছি। . . . আমরা পোটোরসোতে মোট ন-দিন ছিলুম। তার পর