পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्कांद्धिन्क লজ্জিত না হয়, তাহা হইলে যেন আর র্তাহাকে পিতা বলিয়া পরিচয় না দেয় ।” মং-ব' বুঝিল, পিতা যাহা বলিতেছেন, তাহা অকুমানে । তবে সাকিনা অভিমান করিয়া, রাগ করিয়া তাহাকে বিবাহ করিবে না বলিয়াছে । সাকিনার সহিত তাহার একটা বোঝাপড়া করিতে হইবে। তবে যাকৃ,—মং-ব একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিল—সাকিনা তাহার রাগের কারণ কাহাকেও বলে নাই । সে হিসাবে সে ভাল মেয়ে । তাহার মন সাকিনার প্রতি কৃতজ্ঞ হইয়া উঠিল। স্বযোগ বুঝিয় সরাসরি তাহার কাছে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বল তে সাকী, এ গণ্ডগোল তুমি কেন তুলেছ ?” সাকিনা কথা কহে না । অনেক সাধ্যসাধনার পর উত্তর দিল, “আমি তোমায় মুক্তি দিয়েছি।” —এ আবার কেমন কথা, সাকী ? —কেন, তুমি ত আমায় চাও না ? তাই ভাবলাম নিরর্থক কেন তোমায় বেঁধে রাখি ? তাই তোমায় ছেড়ে দিয়েছি । -—বাঃ, এ সব ধারণা তোমার ঢোকাল কে, আর এ সব আiঞ্জগুবি ভাবনাই বা কেন ? —বেশ ত, তুমি যেন কিছুই জান না ? মং-ব প্রস্তুত হষ্টয়া আসিয়াছিল ; তাই সাকিনার কাছে তাহার প্রশ্নে কোনরূপ অপ্রভিত হইল না, বা অপরাধের ভাব দেখাইল না ; বলিল, “সময় ও অবস্থা বিশেষে লোকের মন ঠিক থাকে না, তা ত তুমি জান। আমার তথনকার অবস্থা একবার ভেবে দেখ দেখি ?" খানিক ক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়৷ উদাস দৃষ্টি মেলিয়া সার্কিন উত্তর দিল, “অনেক ভেবে দেখেছি আমি, তোমাকে ধরে পপ আমার উচিত নয়। আমার কৰ্ত্তব্য তোমায় মুক্তি দেওয়| ” --এত দিন পরে আজ একথা কেন সাকী ? ছেলেবেলায় ইস্বনে একসঙ্গে কত খেলেছি, কত স্বপ্নের ঘর গড়েছি, এত দিনে কি সব ভুলে গেছ ? বড় মধুর, বড় কোমল—শৈশবের রঙীন স্মৃতিতে কে যেন সাধাত করিল ! সাকিনা আর আত্মসঙ্গরণ করিতে পবিল না ; ধীরে ধীরে বলিল—সে-সব কথা ভুলে যাও, ভাই ! সে হবার নয়। তোমার পথ আর আমার পথ ভিন্ন। বঞ্চিত &Nご) তুমি তোমার পথে যাও ; আমি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছি, অভিমানে নয়।” দু-ফোটা অশ্রজল সাকিনার নয়ন বাহিয়া ঝরিয়া পড়িল । “এ কি, তুমি কাদছ, সাকী ?” বলিয় তাহার হাত দুখানি ধরিয়া মং-ব বলিল, “আমায় মার্জনা কর সাকী –এক মুহূর্বের উত্তেজনায় তোমার মনে বড় ব্যথা দিয়েছি--তখনকার অবস্থা ভেবে সে-সব ভুলে যাও ; তখন আমার মাথার ठिंक ছিল না । সাকিন নীরব রহিল। নীরবে নয়নঙ্গল টপ টপ করিয়া ঝরিয়া পড়িতে লাগিল । অনেক সাধ্যসাধনা করিয়াও মং-ব তাহাকে ই বলাইতে পারিল না। সেই একই উত্তর তাহার মুখ দিয়া বাহির হয়, ‘ন, ভাই, সে হয় না। তা হবার নয়।” অশ সে মুছিয়' ফেলিয়াছে—তাহার ভাব স্থির, গম্ভীর। উদাসীন যোগিনীর মত নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে সে যেন শূন্তপানে চাহিয়া আছে –কি তাহার মনে উদয় হইতেছে, কে জানে ? মং-ব হার মানিল । অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় শেষে বলিল, “দেখ, তুমি যা ভাবছ সে সব নিছক তোমার মনগড়া কথা । অন্য সময়ে একটু ভেবে দেখো, কি ছেলেমান্বষী করছ তুমি –আমি এর কোনটাই মেনে নিতে পারি না ।" একটু থামিয়। মং-বা পুনরায় কহিল, “ছেলেবেলা থেকে আমায় অনেক অধিকার দিয়েছ ; সেই জোরে আজ বলছি, তোমায় আমি ছাড়তে পারি না। তোমার কোন কথাই আমি কাউকে বলতে পারি না। বিয়ের আয়োজন যেমন চলছে, তেমনি চলবে । ভেবে-চিষ্ঠে দেখে তোমার প্রাণ চায়, নিজের মুগে এসব কথা কৰ্ত্তাদের ব’লো—আমি পারবে না ।” ং-ব চলিয়া গেল। সার্কিন নির্বাক্ রহিল । নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করিবার শক্তিও বুঝি তাহার নাই—সে কথা বলিতে পারিল না। বুকের মধ্যে কি যেন একটা আসিয়৷ সমস্ত তোলপাড় করিয়া দিল । নিজের অবস্থা সে নিজেই বুঝিতে পারিল না। বুঝি মং-বার অধিকারের দাবি সে অস্বীকার করিতে পারে ন—বুঝি এক মুহূৰ্ত্তের ভুলের জন্য সে তাহার বাল্যসথাকে চিরকালের জন্ত নিরাশ করিতে