পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

نیایی) প্রৰণসী さN?8ミ লইয়াই তাহারা বাড়ি হইতে বাহির হইয়াছিল। শিক্ষিতা প্রভুপত্নীর সম্মুখে অনাবশুক বাচালত যাহাতে প্রকাশ না পায়, সে-বিষয়ে সকলেই পতিদেবতাদের নিকট হইতে হুকুম শুনিয়াছে। কিন্তু যামিনীকে এমন অ-বনিয়াদী ব্যাপার করিতে দেখিয়া তাহারা সে-সব তালিম দেওয়া ভুলিয়া গেল । যামিনী একটু হাসিয়া বলিলেন, “না নীচেই বসি। আপনার পাঁচ জন এসেছেন, একসঙ্গে বসাই ভাল। মুখী যা ত রে, খুকী কোথায় আছে দেখ। তাকে ডেকে দে এখানে ৷” - যামিনী নীচেই বসিলেন । অভ্যাগতারা জড়সড় হইয় এক কোণে ঘেষিয়া বসিল, যাহাতে যামিনীর মর্য্যাদার কোন হানি না হয় । কেহই আর কথা বলে না, খালি ই করিয়া তাকাইয়াই আছে । শিশুরা দুষ্টামি করিবার চেষ্টা করিলে, বয়োজ্যেষ্ঠারা অন্তরটিপুনি দিয়া তাহাদেরও ধীরস্থির করিয়া রাখিবার চেষ্টা করিতেছে। যামিনীর বসিয়া বসিয়া অতিশয় অস্বস্তি লাগিতে লাগিল। অবশেষে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার সব সামনের ঐ পাড়া থেকেই আসছেন, না ?” দুই-এক জন মাথা হেলাইয়া জানাইয়া দিল যে তাঁহাই বটে। একটি মুখরা বধূ আর থাকিতে না পারিয়া এক জন প্রৌঢ়ার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল, “ইনি নায়েবমশায়ের ভাজ।" স্ত্রীলোক হইয়া কত ক্ষণ স্ত্রীলোকের সামনে মুখ বুজিয়া বসিয়া থাকা যায় ? এমন সময় মুখীর সঙ্গে মমতা আসিয়া ঘরে ঢুকিল। তৎক্ষণাৎ সবাইকার দৃষ্টি একযোগে গিয়া পড়িল তাহার উপর, যামিনীর সম্বন্ধে কাহারও আর কোন কৌতুহল রহিল না। অতগুলি চোখের দৃষ্টির আঘাতে বিত্রত হইয়৷ মমতা মায়ের কাছ ঘেষিয়া তাড়াতাড়ি বসিয়া পড়িল । নায়েব-মশায়ের ভাজ একটু গুরুগম্ভীরভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এইটি মেয়ে বুঝি " যামিনী বলিলেন, “হ্য।” যে বউটি প্রথম কথা বলিয়ছিল সে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করিল, “বিয়ে হয় নি মা ? কই সিদ্ধর ত নেই মাথায় ?” भशडाङ्ग भ्रूष दिब्रङिउ लाल श्या ऊँटैग । ७३ शक হইল উৎপাত। বিয়ে ছাড়া এই মেয়েগুলির কি বলিবার কোন কথাই নাই ? যামিনী মেয়ের পিঠের উপর হাত রাখিয়া বলিলেন, “না, ও এখনও কলেজে পড়ছে। পড়াশুনো শেষ হ’লে তবে বিয়ে হবে।" আর এক জন শীর্ণকায়া মহিলা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আর ছেলেপিলে কি মা ?” যামিনী বলিলেন, “ছেলে একটি আছে।” একটি বছর তিন-চারের অত্যন্ত রোগা মেয়ে ক্রমাগত কাশিয়া চলিয়াছে। তাহার এমন চেহারা যে তাহার দিকে তাকাইলে কষ্ট বোধ হয়, কণ্ঠার হাড়গুলি দুই ইঞ্চি উচু হইয়া উঠিয়াছে, পাজরগুলি গুণিতে পারা যায়। গায়ে পাতলা আধছেড়া একটা জামা, আর কোন পরিচ্ছদের বালাই নাই। মমতা জিজ্ঞাসা করিল, “এর কি হয়েছে, এত কাশছে যে ?” নায়েব-মশায়ের ভাজ বলিলেন, “ওর জন্মাবধি এই রকম সর্দির ধাত। শীতকাল বর্ষাকাল এই রকমই থাকে, গরম পড়লে সামলায়।” যামিনী বলিলেন, “ওষুধপত্র থায় না কিছু " সেই শীর্ণ মহিলাটি বলিলেন, “ওষুধ খেয়ে কি হবে মা ? ওষুধে কি আর ধাত বদলায়। তা ছাড়া অবস্থা ভাল না, ওসব কোথা থেকে করবে। মা-টাও বারো মাস স্থতিকায় ভোগে, দেখতে শুনতে পারে না । বছর বছর হচ্ছে, এর পরেও দুটো আছে । আমি আসছিলাম, তা আমার সঙ্গে দিয়ে দিলে, আমি ভাবলাম তা চলুক, ম-টার হাড় দু-দণ্ড জিরোক ৷” যামিনী জিজ্ঞাসা করিলেন, “গায়ে এখন জরঞ্জাড়ি খুব হচ্ছে বুঝি ?” নায়েব-মশায়ের ভাঁজই দলের নেত্রী হইয়া আসিয়াছেন, তিনি বলিলেন, “এখনও ততটা নয়, তবে বর্ষা শেষ হ’তে-না-হতে ঘরে ঘরে সব শয্য; নেবে। যা ম্যালেরিয়ার ঘটা ! কোন ঘরে আর বিকেলে হাড়ি চড়াতে হয় না । এখনও হচ্ছে, তা সে-সব সন্দি-জর। কলকেতার সব ছেলেং এসেছে, ঘরে ঘরে ঘুরে ওষুধ দিচ্ছে, তাতেই ততট বাড়াবাড়ি হয় নি।” সেই বটি বলিল, “আর যা রাগ আমাদের পাঁচকড়ি কবিরাজের, বলে আমার ভাত মারবার জন্যে শহর থেকে