পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झोछुञ्म खौषव्पांज्ञब्ष Ꮡa BBBB BBD DDD BB BBB BB BBBBBS DD DBBBB BB BBB BBD DS DD DD আপন মত প্রতিষ্ঠা করিবার চেষ্টা করিতেছে। প্রেমভূষিত । কাহাকেও বলে, বাধা মত, বাধা বুলি ছেড়ে দাও, নিজের বুদ্ধি হচ্ছে মাপকাঠি। চিন্তা কর, বিচার কর। কাহাকেও বলে, কেবল মাত্র সত্যের অনুসন্ধান নয়, সত্যের প্রতিষ্ঠা করতে হবে । শাসন, অনুশাসন কিছু মানব না। বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলা আমাদের দেশে আজ সবচেয়ে বড় দরকার। এক দিন সে শিশির সেনকে ডাকিয়া বলিল, আচ্ছা, লেনিন সম্বন্ধে তোমার মত কি ? শিশির সেন বলিল, লেনিন একটা থার্ড-রেট লোক, তবে কতকগুলি ঐতিহাসিক ঘটনার দুর্ভাগ্যকর সম্মিলনের ফলে সে খুব শক্তিলাভ করে নেতা হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু শেষ-পৰ্য্যস্ত তাল রাখতে পারবে না দেখো । • —আমি বলছি, রাশিয়ার রাষ্ট্রবিপ্লবের পর হতে মানবইতিহাসের এক নবযুগের আরম্ভ হ'ল। লেনিন সে-যুগের দ্বার খুলে দিলেন। তিনি মহাপুরুষ। —চেঙ্গিস খাঁর বংশধর যদি মহাপুরুষ হন। তুমি কি কমুনিজমে বিশ্বাস কর ? —আমি কোন মতবাদে বিশ্বাস করি না । কোন স্থির মত মানা হচ্ছে সত্যকে গণ্ডীবদ্ধ করে রাখা। ভাবী মানবের ধৰ্ম্ম কি হবে, বলতে পার ? —দেখ অরুণ, ভাবী যুগের ধৰ্ম্ম কি হবে তা ভাববার অনেক সময় আছে, কিন্তু পরীক্ষাটা বড় সন্নিকট। বি-এ-তে রেজাল্ট যাতে ভাল হয় সেই চেষ্টা করো। পরীক্ষার পর ওসব বইগুলো পড়ে। —তোমার সারাক্ষণ পরীক্ষার কথা । অরুণ বিপ্লববাদী হইয়া উঠিল। হয়ত ইহা তাহার প্রেমবিদগ্ধ মনের প্রতিক্রিয়া। বর্তমান সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। জনশক্তির কর্তৃত্ব রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করিতে না পারিলে মানবসভ্যতার কল্যাণ নাই। কেবলমাত্র চিন্তা করিয়া, একটা মত ভাঙিয়া নূতন মত প্রতিষ্ঠা করিয়া সে শান্তি পায় না। বাণেশ্বরের মত কেবল কখনও সে হরিসাধনের দলে জুটিয়া সেবার কাজে লাগে। উৎসাহের সহিত নৈশ-বিদ্যালয়ে পড়াইতে যায়। মাঝে মাঝে দুর্ভিক্ষপীড়িত বা বস্তাবিধ্বস্ত গ্রামে গ্রামে গিয়া স্বেচ্ছাসেবকদের দলে কাজ করে। সেবার কাজ বেশী দিন ভাল লাগে না। বর্তমান মানবসভ্যতাকে ভাঙিয়া নূতন করিয়া গড়িতে হইবে। কাল মার্কসের ক্যাপিটল, কমু্যনিষ্ট মেনিফেষ্টে, বাটাও রাসেলের রোডস টু ফ্রিডম্ব, লেনিনের ষ্টেটু এও রেভলুশন, সোসিয়ালিজমের নানা প্রাচীন ও আধুনিক গ্রন্থ ধৰ্মগ্রন্থের মত পাঠ করে, আবার বিচার করিতে বসে। ইহার যা লিখিয়াছেন তাহ কি সত্য ? কোন পথে মানবের কল্যাণ ? এই সংগ্রাম, বিপ্লব ভাল লাগে না । ইচ্ছা করে সমস্ত জীবন প্রেমে সেবায় সৌন্দর্ঘ্যে সুন্দর ফুলের মত, গানের মত বিকশিত করিয়া কোন দেবীর চরণে অর্ঘ্যক্ষপে নিবেদন করিয়া দেয় । কোথায় সে দেবী ? জীবন কি কেবল প্রেমের জন্য ব্যাকুলতা, সত্যের জন্ত শক্তির জন্য সংগ্রাম, অজানা দুর্গম পথে এগিয়ে চলা ? সমস্ত দিন অরুণ অশাস্তভাবে ঘুরিয়া বেড়ায়। কলেজে যায়, সকল ক্লাসে যোগ দেয় না। হোষ্টেলে, নানা বন্ধুর বাড়িতে, নানা আড্ডায় ঘুরিয়া রাত্রে শ্রাস্ত হইয়া বাড়ি ফেরে। তাড়াতাড়ি খাওয়া সারিয়া দক্ষিণমুখী বারান্দায় বা ছাদের ছোট ঘরটিতে আলো জালাইয়া বসে । রাত্রে তাহার আর এক নূতন জীবন আরম্ভ হয়। দিনের অরুণের সহিত রাত্রের অরুণের যেন কোন যোগ নাই। প্রেমস্বপ্নমুগ্ধ কবি যুবকটি জাগিয়া ওঠে। সে তর্ক করে না, সোসিয়ালিজমের গ্রন্থ পড়ে না। ব্রাউনিঙের কাব্যগ্রন্থ, ডষ্টয়ভস্কির উপন্যাস, রাস্কিনের মডার্ণ পেণ্টারস খুলিয়া বসে। শেলী পড়িতে ভাল লাগে না । ব্রাউনিং তাহার প্রিয়তম কবি । রাত্রি গভীর হয়। জীর্ণ পরিত্যক্ত উস্তানের পুঞ্জীভূত অন্ধকারের মায়া চারিদিকে ঘনাইয়া আসে। সূৰ্য্যালোকের যবনিকা সরিয়া গিয়া অনন্তাকাশের নক্ষত্ৰলোক উদ্ভাসিত। এই ক্ষুদ্র পৃথিবী যে অসীম শূন্তে ঘূর্ণমান লক্ষ লক্ষ স্বৰ্য্য