পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কন বাজলা কাগজ ছিল। পুৰীখানি বাজলা কাগজে লেখা। হয়েছিল । পুখীর সমুদয় পাতা পাকা হাতে লেখা * এক হাতের লেখা বলেই মনে হয়। প্রথম খান কয়েক পাতায় যেন অক্ষরের মুক্তাপাতি সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিপিকর শরের কলম সরু করে” বেড়ে শ্রদ্ধাভক্তিচিত্তে লিখতে আরম্ভ করেছিলেন। পরে কলমের মোচ মোটা হয়েছিল, লেখাও তাড়াতাড়ি হয়েছিল । আর একটা বিষয় লক্ষ্য করবার আছে । প্রথম কয়েক পাতায় যত বর্ণাশুদ্ধি আছে, পরে তত নাই। র-ফলার পরের বর্ণে রেফ-যোগ থেমেছে। বোধ হয় কেহ পুথী পড়ছিলেন, লিপিকর শুনে শুনে লিখছিলেন। পরে কবিই দেখুন, আর কেহ দেখুন, ভুল হ’তে দেখে লিপিকর পুীর শব্দ দেখে দেখে লিখেছিলেন। অক্ষরের আকারে দেখছি, ‘ড়" অক্ষরের তলে বিন্দু নাই। দু, মু, পু অক্ষরের ‘উ-কার ‘ব’ ফলার মতন। ‘যু দেখতে 'হ' র মত। “জ্ঞ’ বিচিত্র। ‘কু’ সেকেলে, আর ‘কৃষ্ণ' শৰ একটি অক্ষরে। পুখীর দূরবর্তী দুই পাতার লিপির ফটো দেওয়া গেছে। লিপি-তত্ত্ববিৎ মিলিয়ে দেখতে পারেন, পুর্থীর বয়সও নির্ণয় করতে পারেন। আমি দেখছি, পুীর ভাষা আগাগোড়া সমান । আর, সে ভাষা ছাতনা অঞ্চলের, তাতে সন্দেহ হচ্ছে না। পদ্যের ভাষা দেখে কালনির্ণয় কঠিন। ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের ভাষা দুই শত বৎসরের পুরাতন মনে হয় না। কারণ সে ভাষা এখনও চলছে। কিন্তু যদি তিনি গদ্য লিখতেন, তা হ’লে সে ভাষা পুরাতন মনে হ’ত । "চণ্ডীদাস-চরিত” পুর্থীর ভাষা রাঢ়ের এক প্রাস্তদেশের, এই কারণে পদ্যেও পুরাতনের চিহ্ন রয়ে গেছে। বিশেষতঃ স্থানে স্থানে যে এক-আধটুকু গদ্য আছে, তার ভাষা শত বৎসরের পুরাতন বলতে সন্দেহ হয় না । পুীতে ‘জাগাত' একটা শব্দ আছে। রাজা হামীর-উত্তর বণিকের নিকট বাসলীর শিলাপট নিয়ে তাকে বলেছেন, তোমাকে আর ‘জাগাত' দিতে হবে না। এর অর্থ গুৰু। বাঁকুড়ার কেহ এই অর্থ বলতে পারে না । শৰাট ছাতনায় এখনও প্রচলিত অাছে। - দোষ এই, শব্দের পরে পরে ফাক নাই, প’ড়তে কষ্ট হয়। সময়ে নানশুনে আমি সবটু শুনে পড়ে ভুল করেছি। “চণ্ডীদণস-চরিত" ۹سیاÚ क्रूि (dहे ८ष चां८छ्, 'cषांब्रांe मांश्य बाँ बहि ছাগ মেষ’–এ যে ডি-এল-রায়ের “বঙ্গদেশ” 1 বহিরিলা বামাকুল –এ যে মাইকেল মধুসূদনের "মেঘনাদবধ" | ‘অন্তরতম মুন্দর এল'-এ ষে রবীন্দ্রনাথ ! "জাগ জাগহ জনমভূমি'–এ যে স্বদেশী গান ! এইরূপ নবভাব আরও আছে । আমিও চমকে উঠেছিলাম। বিশেষতঃ কয়েকটা গীতের ছন্দে কৃষ্ণ-সেনকে আধুনিক মনে হয়। রামীর “অন্তরতম স্বন্দর” গীতটি তুলছি। অন্ধনঅনআলোক আইস এস অন্তরজামী ॥ অন্তরতম মুন্দর এস এসহে জীবনস্বামী । বস হৃদজ-কমলাসনে এ গহন সপন ভাগ, cकांफ्रेंकब्रअभानिनां छांक चिब्रटभ अभ छांनं । রুদ্ধ মরম জাগল খোল, তুমার রূপের আলোক স্বাল, তুমার অনাদি সঙ্গিত ঢাল, পরানে দিবস জামী । কবি গীতটি সঙ্কীর্তন’ বলেছেন। কিন্তু কোন দেবের ? কবি ‘তোমার’ না লিখে তুমার’ লিখেছেন। পুরাতনের এই রূপ অল্পাধিক লক্ষণ সর্বত্র আছে। ইহাও বলি, ইদানীর কবি পূর্বকালে যেতে পারবেন না, লৌকিক অলৌকিক ব্যাপারেপূর্ণ ১•• পাতার এমন পুখী লিখতে পারবেন না। জার, কার বা মাথা ব্যথা পড়েছিল ? যাদের পড়বার কথা, তারা উদাসীন ছিলেন। আমাদের উপদ্রবে পুখী বেরিয়েছে। পুখীখানা আছে, যার ইচ্ছা তিনি দেখতে পারেন। পুখীখানা ছাপালে ৩•• পৃষ্ঠার বই হবে। সাহিত্য-পরিষৎ পুখীখানা ছাপিয়ে চণ্ডীদাসের প্রতি অনুরাগ দেখাতে পারেন। পুখীখানা নানা বিষয়ে মূল্যবান। ( ৩ ) কবি ঐকৃষ্ণপ্রসাদ-গাতাইত পুখীর শেষ তিন পাতায় আত্মপরিচয় দিয়েছেন। যথা, নীলকণ্ঠের জ্যেষ্ঠপুত্র উদঅনারান। আইসেছিল। ছত্রিনাআ ত্যজি রাইগ্রাম* ॥ সৰ্ব্বসান্ত্রে যুনিপুন চিকিতসাকুসল। জানি স্থান দিলা তারে ব্ৰাক্ষনমণ্ডল । বতসরেক ছত্রিনাজ করিজ বসতি। সাস্ত্রজ্ঞানে চিকিতসাজ লভিলেন খ্যাতি ।

  • दर्कमांन ८खलांच्च हिल ।