পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ob প্রশ্বাসী $N98R বৌদ্ধ দেব দেবী সম্বন্ধে পূজনীয় হরপ্রসাদ-শাস্ত্রী প্রাজ্ঞ ছিলেন । তিনি বাসলীকে বঞ্জেশ্বরী মনে ক’রতেন। বীর। আমরা বীণাপাণি মূতিকেই বিশালাক্ষী ও বাগুলী নামে শুনে আসছি। বাকু ॥ কতদিন হ’তে ? এখনও ৫০ বৎসর হয় নাই । মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে মূতিটি পাওয়া গেছল। তার দু-চারি বছর পরে ১৩৯৯ সালে মন্দির নিমিত হয়েছে। ( ঐযুত করালীকিঙ্কর-সিংহ-প্রণীত “চণ্ডীদাস’, ১৩২৭ ) বীর। লোকে বলে বিশালাক্ষীর পুরাতন মন্দির ভেঙ্গে পড়েছিল। বর্তমান মন্দিরের কাছে একটা বড় টিপিও আছে । বাকু বীরভূমে বিদ্যোৎসাহী সাহিত্য-রসিক ধনবান্‌ জমিদার আছেন। তারা অক্লেশে সেই ঢিপি খুড়িয়ে চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে পারেন। বিশালাক্ষীর প্রতিমাও বেরিয়ে পড়তে পারে। যদি না পাওয়া যায়, নাকুরের অপরিহার্ষ বাশুলী দেবীরও সাক্ষ্যের অভাব ঘটবে। বীরভূম বাসলীর দেশ নয়। বাসলী জার বিশালাক্ষী, দুই পৃথক দেবী। বীর। তরুণীরমণ নামে এক পদকৰ্ত্ত ৩০০ বৎসর পূর্বে ছিলেন । তিনি কি লিখেছেন, শুন । নাদুড় গ্রামেতে বামুলীর ঈশান কোণেতে । চণ্ডীদাসের বাসাঘর আছয়ে সেখাতে ॥ আমরা নাকুর বলি, অশিক্ষিতেরা নাদুড় বা নাদুর বলে । নানুর, নাছড়–লিপিকরপ্রমাদ। বাকু ॥ গ্রামের নামে প্রমাদ কেন ঘটে? যে পুর্থীতে ঐ কথা আছে তার বয়স নাকি ১০০ বৎসর ( ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা) । পুখীর ভাষাও পুরাতন নয়। এই পুখীতে বাস্থলীর উক্তি আছে, আর আছে চণ্ডীদাস এক রাজার প্রিয় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি রামী রজকিনীর সঙ্গে চণ্ডীদাসের প্রীতি দেখে আকুল হয়ে নকুলঠাকুরকে চণ্ডীদাসের কাছে পাঠিয়েছিলেন। অতএব নাজুড়ে বাসলী ছিলেন, সেখানে চণ্ডীদাস এক রাজার প্রিয় পণ্ডিত ছিলেন, আর, নকুল নামে এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। সম্পর্কে চণ্ডীদাসের ভাই , হতেন । নাছড় গ্রামের কোন রাজা চণ্ডীদাসকে জীতে তুলতে বসেছিলেন ? বীর পাচ-ছ শ বৎসরের কথা, এখন কি আর রাজার নাম জানা আছে ? নাহুর গ্রামে রাজা অবশু ছিলেন । বঁধু ; রাজা অবশ্য ছিলেন। কিন্তু চণ্ডীদাস সামান্য কবি ছিলেন না । তার প্রতিপালক রাজার নাম লোকে সহজে ভুলে যেত কি ? বীর । যে জনশ্রুতি আবহমান কাল চলে আসছে, সেটা মিথ্যা ? নান্তরে চণ্ডীদাসের ভিটা আছে, রামীর ভিটা আছে, ধোপাপুকুর আছে। এ সব মিথ্যা ? বাকু ॥ চণ্ডীদাস ও রামী পর্ণকুটীরে থাকতেন। পাকা কোঠাঘরে থাকতেন না। ভিটা কেমনে আসে ? জনশ্রুতি কত বৎসরের ? ছশ বৎসর পূর্বে আর কোথাও কি কোন গ্রামের নাম নানুর বা নাহর ছিল না? যে গ্রামে বিশালাক্ষী নয়, বাসলী ছিলেন ; নিকটে নিত্যার আলয় শালতড়া গ্রাম ছিল ; যে বাসলী-নগরের রাজা চণ্ডীদাসের নিমিত্ত আকুল হয়ে ছিলেন ? যখন এতগুলা বিশেষণ আছে তখন সে গ্রাম বীর করা অসাধ্য নয়। বীর । সে গ্রাম কোথায় ? তোমার ছাতনা বুঝি ? আমরা এ নাম কেউ শুনি নি। বছর দশেক হ’তে শুনছি। ছাতনা দেখেছি। কাকুরে জঙ্গুলে দেশ। সে দেশে বাঘ ভালুক থাকতে পারে, অমর কবি চণ্ডীদাসের জন্ম অসম্ভব।* বাকু ॥ সত্য। সেদেশে বাৰ্ত্তাবহ নাই, চণ্ডীদাসের স্মৃতিমন্দিরও নাই। কিন্তু সেখানে যতকাল বাসলী দেবী অধিষ্ঠিত থাকবেন, ততকাল তার বড়ুর নাম থাকবে, বড়ুর প্রতিপালক রাজার নামও থাকবে। পূর্বকালে ছাতনায় এক নাম বাহুল্য ( বাহুলিয়া ), অর্থাৎ বাসলীনগর ছিল। বাসলী, সামস্তভূমের অধিষ্ঠাত্রী। ছাতনা হতে পাচ ক্রোশ পূর্ব-দক্ষিণে শালতড় গ্রাম আছে। সেখানে বাসলীর সহচরী নিত্যার আলয় আছে। সহচরীর আলয় বিশ ক্রোশ দূরে হয় কি ? কিন্তু এখন ছাতনায় নান্নুর বা নামুর নামে গ্রাম নাই। ২৮২ বৎসর পূর্বে উদয়-সেন লিখেছেন, বর্তমান যুবরাজপুরের পুরাতন নাম নাচুর ছিল। দ্বিজ চণ্ডীদাস ও অন্যান্ত কবিও সে নাম গুনেছিলেন। এরা গ্রামের নাম নাম্বর কি নায়ুর ঠিক জানতেন না। ছাতলা এই

  • আমি বাল্যকালে ( ৯৷১০ বৎসর বয়সে ) বঙ্গবিদ্যালয়ের ছাত্ররূপে বাকুড় জেলা সম্বন্ধে একটি পষ্ঠ রচনা করিয়া পুরস্কার পাইয়াছিলাম । তাহাতে চণ্ডীদাসকে বাকুড়ার গৌরব বলিয়। লিখিয়াছিলাম। ১৪১৪ বৎসর বয়সে স্কুলের ছাত্ররূপে একটি ইংরেজী রচনায় বঙ্গের চসার

(chaaeor ) চণ্ডীদাস বাকুড়া জেলায় জঙ্কিয়াছিলেন লিখিয়াছিলাম। রামাননা চট্টোপাধ্যায়