পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাত্তন প্ৰণ্ডার নাম দিয়া একটি মুদীখানা খুলেন। তিনি ১৯২৯ সাল হইতে বাড়ি বাড়ি গিয়া জিনিষ ফেরি করিতেন বলিয়৷ লোকদের সহানুভূতির পাত্র ছিলেন এবং দোকান খুলিবার অল্প দিন পরেই কারবার বাড়াইতে সমর্থ হন। অল্পদিনের মধ্যেই গ্রেট ঈষ্টাৰ্ণ ষ্টোস নাম দিয়া অমরনাথ দত্ত একটি মণিহারী ও অয়েলম্যান ষ্টোসের দোকান স্থাপন করেন। তাহার দোকানও বেশ চলিতে থাকে। ক্রমশ: বাইসিক্ল মেরামতের, অলঙ্কারের, পুস্তকের, খাবারের, মুদীখানার, ও মণিহারী দ্রব্যের আরও দোকান খুলিতে থাকে। বহির দোকানটির নাম সরস্বর্তী বুক ডিপো । নগেন্দ্রনাথ দাস উহার প্রতিষ্ঠাতা। এখন নয় দিল্লীতে, গোল বাজারে, বাঙালীদের দোকান উনিশ খানি আছে। তথাকার ব্যবসা বলিলে এখন বাঙালীদের দোকানগুলিই বুঝায় শুনিয়াছি। দোকানের মালিকদের স্বাৰ্থ অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য, ব্যবসার উন্নতির জন্য, এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সখ্যকৃদ্ধির জন্য গত বংসর মে মাস হঠতে তাহারা নিউ দিল্লী ট্রেডাস এসোসিয়েশুন নাম দিয়া একটি সমিতি গঠন করিয়াছেন। উনিশখানি বাঙালীর দোকানই এই সমিতির অন্তভুক্ত। পাচুগোপাল মুখোপাধ্যায় ইহার প্রেসিডেণ্ট এবং রাসবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় সেক্রেটরী। সমিতি গঠনের পর এই সব বাঙালী বণিকের মধ্যে সখ্য ধুর বাড়িয়াছে। এখন সমস্ত বাঙালীর দোকানই প্রত্যেকের নিজের দোকান বলিয়া মনে হয়। ইহাতে র্তাহাদের সকলেরই ব্যবসার উন্নতি আশা করা যায়। গত পৌষ মাসে নয় দিল্লাতে প্রবাসী বঙ্গাসাহিত্য নয়া দিল্লীতে বাঙালীদের ব্যবসা ግove নিউ দিল্লীর ট্রেডাস এসোসিয়েগুনের সেক্রেটরী - গ্রীরাসবিহারী বন্দে}}*ায় সম্মেলনের অধিবেশন উপলক্ষ্যে তাহার সভাপতি অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ ও কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহিত আমি এই দোকানগুলি দেখিয়া তৃপ্ত হইয়াছিলাম। বঙ্গের বাহিরে অন্যত্রও বাঙালী যুবকেরা কেহ কেহ এইরূপ ব্যবসাবাণিজ্য করিলে কৃতিত্বলাভ করিতে পরিবেন আশা করি । এই প্রবন্ধের ছবি ৪টি সেীরেন্দ্রকুমার মজুমদার সৌজষ্ঠপূৰ্ব্বক তুলিয় দিয়াছেন। S:2