পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন প্রবাসী ৰঙ্গসাহিত্য সম্মেলন לאסA এবং সম্মেলনের পরিচালক-সমিতির নিকট আর একটি কথা নিবেদন করিতেছি। অনেকগুলি দেশী রাজ্যে বাঙালীর বাস আছে। কেহ কেহ আগে তথায় খুব উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, এখনও হয়ত কেহ কেহ অপেক্ষাকৃত উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন। দেশী রাজ্যের বাঙালীদের মধ্যে কৃতবিদ্য ও চিন্তাশীল লোকও আছেন। তাহদের মধ্য হইতে মূল ব| বিভাগীয় সভাপতি পাইবার চেষ্টা প্রতি বৎসরই হওয়া উচিত, এবং দেশী পাঞ্জাসমূহ হইতে মহিলা ও পুরুষ প্রতিনিধি যাহাতে অধিকতর সংথ্যায় সম্মেলনে উপস্থিত হন, তাহারও চেষ্টা স্ক ওয়া আবশ্যক । উদ্যান-সম্মেলনে প্রবাসীর সম্পাদক প্রভৃতি - খ্ৰীযুক্ত সন্তোষকুমার বন্ধ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্তে ভবিষ্যৎ সম্মেলনের উদ্যোক্তাদিগের নিকট আরও একটি নিবেদন আছে। সম্মেলনে সাহিত্য, মুকুমার শিল্প ও সংগীত, nস্থতির এই তিনটি বাহ্য রূপ বা অঙ্গের আলোচনা হইয়া থাকে। এই তিন দিকেই বঙ্গের বিশিষ্টতা আছে । সাহিত্যের আলোচনা ভালই হইয় থাকে-অন্ততঃ বাংলা সাহিত্যের প্রতি সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে তাচ্ছিল্য প্রকাশিত হয় না । কুরুচি, অশ্লীলতা প্রভৃতি সম্বন্ধীয় আলোচনা হয় বটে ; কিন্তু তদ্বারা বিশেষ করিয়া বাংলা সাহিত্যের কোন প্রতিকূল সমালোচনা করা হয় না । কারণ, কুরুচি ও অশ্লীলতা কেবল সে কোন কোন বাঙালী লেখকদেরই দোষ, এমন নয়। স্বকুমার {শল্পের আলোচনাও উত্তম রূপে হয়, কোন কোন অধিবেশনে চিত্রপ্রদর্শনীর ব্যবস্থাও থাকে। সঙ্গীত সম্বন্ধে বঙ্গের প্রতি শবিচার, অন্ততঃ যথেষ্ট ন্যায্য বিচারের অভাব, আমি লক্ষ্য পরিয়া থাকি—যদিও কোনও অধিবেশনের উদ্যোক্তারা তাহ। ঃ ছাপূর্বক করিয়া থাকেন, এরূপ কথা বলা আমার অভিপ্রেত • হে । আমি সংগীতজ্ঞ নহি । সংগীত ভালবাসি বটে । ং দ্য কোন সাধারণ আনাড়ী লোকের এ বিষয়ে মতের যে মূল্য, খমার মতের মূল্য তাহা অপেক্ষা বেশী না হওয়াই সম্ভবপর। থাপি দু-কথা আমাকে বলিতে হইতেছে। আমাদের দেশের প্রাচীন কবিতার বিষয়, ছন্দ, অলঙ্কার প্রভৃতির, এবং নাটক এবং ছোট ও বড় গল্পের ও তাহার রচনার রীতির অনাদর আমরা বাঙালীর করি না । কিন্তু বাংলা কবিতা, নাটক, গল্প সব দিক দিয়া প্রাচীন কবিতা আদির ঠিক্‌ অনুসরণ করে না বলিয়া বাঙালীর ও অন্যেরা বাংলা সাহিত্যকেও উপেক্ষা করেন না । কিন্তু সংগীতের বেলায় দেখিতে পাই, এমন বাঙালী ও অবাঙালী আছেন, যাহারা বঙ্গের নিজস্ব সংগীতকে হয় আমলই দিতে চান না, নয়ত খুব নিম্নস্থান দিতে চান। যেমন সংস্কৃত সাহিত্যের আদর করিয়াও বাংলা সাহিত্যের আদর করা যায়, তেমনি চিরাগত প্রাচীন হিন্দুস্থানী সংগীতের বিন্দুমাত্রও অনাদর না করিয়া বঙ্গের নিজস্ব সংগীতের আদর করা যাইতে পারে এবং করা উচিত। প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের প্রত্যেক অধিবেশনে এরূপ ব্যবস্থা থাকা উচিত যাহাতে সমবেত শ্রোতৃবর্গ বঙ্গের উৎকৃষ্ট সংগীত শুনিতে পান। বালিকার বা বালকবালিকার যে গীতনুত্যাদির দ্বারা অভ্যাগতদের চিত্তবিনোদন করেন,— এবারও করিয়াছিলেন, সে ব্যবস্থা ভালই। কিন্তু তার চেয়ে অধিক নিপুণ লোকদের সংগীতেরও প্রয়োজন। বঙ্গের নিজস্ব সঙ্গীত ভাল করিয়া বুঝাইয় দিতে পারেন, এরূপ লোক পাওয়া গেলে আরও ভাল। ওস্তাদ বা ওস্তাদ বলিয়া বিবেচিত