পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন কলসী রাখিয়া ক্রমাগত তাহা হইতে মাথায় বারিপাত সহ করেন। কেহ হয়ত ব্ৰত লইয়াছেন, যে, দু-পাঁচ বৎসর ব। দু-দশ বৎসর দাড়াইয়াই থাকিবেন ; যখন নিদ্রা আসে বা অত্যন্ত ক্লাস্তি বোধ হয়, তখন গাছের ডালে বাধা দড়ি হইতে ঝুলান একখানা তক্তার উপর হাত রাখিয়া দণ্ডায়মান অবস্থাতেই বিশ্রাম করেন। উৰ্দ্ধবাহু সন্ন্যাসীও মধ্যে মধ্যে দেখা যায়। র্তাহারা একটি হাত উঠাষ্টয়াই রাখেন, তাহার দ্বারা কোন কাজ করেন না । কালক্রমে হাতটি শুকাইয়া শীর্ণ হইয়া যায় এবং তাহা আর নামান চলে না, নখগুলিও भूत छात्र झम्न । মাঘমেলা, অৰ্দ্ধকুম্ভ মেলা ও পূর্ণকুম্ভ মেলার সময় গঙ্গাসৈকতে পর্ণকুটীরে এক মাস বাস ও নিত্য স্নান পুণ্যকৰ্ম্ম বলিয়া বিবেচিত হয়। ইহাকে কল্পবাস বলে । এখানে শীত খুব বেশী। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও বৃদ্ধ বুদ্ধারা কল্পবাস করিয়া থাকেন। আমি এলাহাবাদে থাকিতে আমার মাতৃদেবী কল্পবাস করিয়াছিলেন। আমার জ্যেষ্ঠা ভগিনীও কল্পবাস করিয়াছিলেন । নির্জন বাসের সময় ভগবৎচিন্তায় কালযাপন করিতে পারিলে তাহা আধ্যাত্মিক উন্নতির সহায়ক হইয়া থাকে । মেলার সময় কোন কোন বৎসর সংক্রামক ব্যাধির আবির্ভাব হয়। এবার তাহা হয় নাই । অনেক বৎসর হইতে যাত্রীদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এরূপ স্ববন্দোবস্ত হইয়া আসিতেছে, যে, মেলার সময় পীড়ার প্রাদুর্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমিয়া গিয়াছে। মেলার ছবি চারিখানি এলাহাবাদের ডাক্তার শ্রযুক্ত ললিতমোহন বস্তু সৌজন্যপূৰ্ব্বক তুলিয়া পঠাইয়াছেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাদিবস কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলার *যুক্ত গুামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় গত বৎসর হইতে যে তাহার প্ৰতিষ্ঠাদিবসের উৎসবের ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহ সমীচীন ইয়াছে। এই উৎসবে ছাত্রছাত্রীরা তাহাদের নিজ নিজ কলেজের পতাকা লইয়া দলবদ্ধভাবে গড়ের মাঠে যায়, এবং • না প্রকার ব্যায়াম প্রদর্শন করে। ইহাতে তাহাদের উৎসাহ বিৰিৰ প্রসঙ্গ-কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাদিবস aఇవి বাড়ে এবং সংহতিও বুদ্ধি পায়। শুীমাপ্রসাদ বাবুর বক্তৃতাও বেশ হইয়াছিল। তিনি ছাত্রছাত্রীদিগকে অজেয় হইতে উপদেশ দিয়াছিলেন । প্রতিষ্ঠাদিবসের উৎসব যে-ভাবে সম্পন্ন হয়, তাহা ছাড়া আমরা আরও কিছু দেখিতে চাই । তাহা, এক কথায়, বিদ্বজ্জনসমাগম । কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় জন্মিয়াছে বিদ্যার প্রেসার ও উন্নতিসাধনের জন্য । উৎসবে যাহা করা হয়, তাঙ্গ অবশ্য অনাবশ্যক ত নহেক্ট, বরং তাঁহা না হক্টলে ছাত্রছাত্রীদের জীবনের পূর্ণতা জন্মিতে পারে না । কিন্তু তাহা যথেষ্ট মন্তে । বিদ্যার আদর্শ ও বিদ্যার ক্রমোন্নতির চিত্র প্রতিবৎসর তাঙ্গদের সম্মুখে ধরা আবশ্বক। ভারতবর্ষ আমেরিক নহে। এদেশে আমেরিকার মত ধনশালী লোক নাই, এখানকার ধনশালী লোকদের মধ্যে দাতার একাস্ত অভাব না থাকিলেও তাঁহাদের সংখ্যা কম, আমেরিকার মত বেশী নহে। এই জন্য আমরা এমন কিছু করিতে বলিতেছি না, যাঁহাতে অনেক টাকা সংগ্ৰহ করা আবখ্যক । তাত বাদ দিয়া, আমরা কি চাক্ট, তাহার কতকটা আভাস আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিশতবার্ষিক উৎসবে যাহা করা হইবে, তাহা হইতে অনুমিত ইষ্টতে পারিবে। এ বিষয়ে শিকাগোর "য়ুনিটি কাগজ লিথিয়াছেন :– The President und Fellows of IIarvard University have done un amazing thing. Thev have announced a plan for the celebration of the 300th anniversary of the sounding of the College which has something to do with • direation. No sports, or buildings, or rackets of any kinu!. bui mirabilo- dirru ' i.*: \itv Ivi: is io he exalted in this festival: First of till, in the autumn of 1936, theri" is to be gathered in Cambridge (U. S. A.), from all countries of the world. The greatest assemblage of -cholars this nation and these times have ever known. In meetings large and small, in enormous public confer“nres and little, quirt seminars, the content of modern knowledge is to he restated by the outstanding authorities of mankind. That this will he an event of almost overwhelming significance is certain. Secondly, there is to he established, through gifts from graduates and the general pullie. a 300th Anniversary Fund, for the service of two perpetual purposes, both uinied “to strengthen the inlellvioual and spiritual life and increase the usefulness of the i niversity." On the one hand, the Fund is to create a number of new professorships, “intended to reinforce teaching and research by affording to teachers and scholars of unusual scope and abilitv hroader opporImnities than have heretofore heen available in American universities.” The idea is to get the best men in the field of learning, and to liberate them for the guidance of youth and the search for truth. On the other hand, the Fund is to establish new “Harvard National Scholar