পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র থাকে যন্ত্রপাতি যা দিয়ে আপনা হতেই উচ্চাকাশের তাপ ও চাপ রেখাঙ্কিত হয়ে যায়। তার পর কিছু দূর উঠে যখন বেলুন ফেটে যায় তখন প্যারাস্কটের সাহায্যে যন্ত্রপাতি নীচে নেমে আসে আর তাই দেখে লোকে উপরকার খবর সব জেনে নেয়। আজকাল বেলুনে চড়ে মানুষও যাচ্ছে হিমমণ্ডলে । হিমমণ্ডল ও তাপমণ্ডলের মধ্যে যেখানে তাপক্ষয় হঠাৎ থেমে গেছে তার নাম তাপস্থির (Tropopause ) । এখানকার আকাশ চিরনিৰ্ম্মল, মেঘমুক্ত। তাপ প্রায় ৪৫ ডিগ্রী সেণ্টিগ্রেড। ১ মাইল থেকে ১ মাইল পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত এই স্থানটি । হিমমণ্ডলের যে অংশে অক্সিজেন আছে তার উপর স্বর্ষ্যের অতিবেগুনী রশ্মি পড়ে ওজোনে পরিণত হয় । এইরূপে সঞ্চিত যে ওজোনের স্তর তাকে বলে ওজোনমণ্ডল ( Ozonosphere) i ofist costs solo e fotosfērā উচ্চে এই মণ্ডল বিদ্যমান। এই ওজোনমণ্ডল উপরে থেকে আমাদের বিশেষ উপকার করছে । কারণ এই স্তর যদি না থাকত তবে স্বৰ্য্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে আমরা পৃথিবীমৃদ্ধ সবাই অন্ধ হয়ে যেতাম। তাই যেটুকু আমাদের না হ’লে নয় সেইটুকু এসে পৌঁছয়, বাকীটা ওজোনদ্বারা শোষিত হয় । বর্ণবিশ্লেষণ-যন্ত্রদ্বারা সূৰ্য্যালোক পরীক্ষা ক'রে দেখা যায় যে সুৰ্য্যকিরণের বর্ণছত্র অতিবেগুনীর দিকে হঠাৎ এক জায়গায় বেশী ক’মে গিয়েছে। বৈজ্ঞানিকদের ধারণা যে ওজোনমণ্ডলের ওজোনদ্বারা স্বধ্যকিরণ শোষিত হয় বলেই বর্ণছত্রের তেজ অতিবেগুনীর দিকে হঠাৎ কমে যায়। এরও উপরে পৃথিবীর পিঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার উচ্চ থেকে আরম্ভ হয়েছে বিদ্যুৎমণ্ডল । এই বিদ্যুৎ-মণ্ডলে আছে অসংখ্য বিদ্যুতাত্রিত জড়কণা ও বিদ্যুতিন এবং তারই জন্ত এই স্তর পেয়েছে বিদ্যুৎ-পরিচালকত্ব ধৰ্ম্ম । এই মণ্ডল প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত। নীচের স্তরের নাম কেনেলী-হেভিসাইড বা ই-স্তর—পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উচ্চাকাশে ৮-১০০ কিলোমিটার থেকে স্বরু হয়েছে এই স্তর। দ্বিতীয় স্তরটি প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উচ্চে স্বরু হয়েছে। এর নাম এ্যাপলটন বা এফ-স্তর । বিদ্যুৎ-মণ্ডলের fಾ, কারণ কি এইবার দেখা আকাশের কথা Nయో যাকু। স্বর্ধ্যের অতিবেগুনী রশ্মির ক্রিয়া ষে বিদ্যুৎ-মগুলের উৎপত্তির একটা প্রধান কারণ তা একরকম নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। অতিবেগুনী রশ্মি বায়ুরাশির উপর পড়লে তার অণু-পরমাণু থেকে বিদ্যুতিন বিচ্ছুরিত হয়। একে বলে বিচ্ছুরণ ( lonization ) । এর ফলে বায়ুতে বিদ্যুতিন ও বিদ্যুতাত্রিত অণু-পরমাণুর উদ্ভব হয় এবং এর জন্যই বিদ্যুৎ-মণ্ডলের বায়ু বিদ্যুৎ-পরিচালক হয়। উচ্চস্তরের বিদ্যুৎ-পরিচালকত্ব ধর্মের জন্য দায়ী স্বর্ষ্যের অতিবেগুনী রশ্মি । নিম্ন স্তরের বিচ্ছুরণ সম্বন্ধে যথেষ্ট মতভেদ আছে। স্বৰ্য হতে উৎক্ষিপ্ত বিদ্যুতাত্রিত অণু •sanid e soil corpuscles), fore (cosmic ) #so, otolič (meteoric showers , উদীচ্যালোক ( Aurora Borcalis ) e <g^tivè প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি নিম্ন স্তরের বিচ্ছুরণের কারণ। এইবার আমরা এই সব বিভিন্ন মতবাদ আলোচনা করব। এই যে স্থৰ্য্য—যাকে দিনের দেবতা ব'লে আবহমান কাল আমরা পূজা করে এসেছি, আমাদের সকলের থেকে সব সময়েই উপাস্য বলে দূরে রেখে এসেছি—কোনদিন জানতে চাই নি, বুঝতে চাই নি, সত্যি এ জিনিষটা কি, বা এর মধ্যেই বা আছে কি সব—আজ বৈজ্ঞানিকরা তাকে বিশ্লেষণ ক'রে দেখেছেন যে তার মধ্যে আছে উত্তপ্ত বায়ুরাশির চারটি মাত্র স্তর—Photosphere বা আলোক-মণ্ডল, Reversing layer বা প্রতিফলক স্তর, Chromosphere on of Uso (or Corona & ছটামুকুট | আগ্নেয়গিরির ভিতর যখন গলিত ধাতু ও বাম্পের চাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় তখন যেমন কোন একটা ফাটলকে আশ্রয় করে সেই সব ধাতু অসাধারণ বেগে উৎক্ষিপ্ত হতে থাকে ঠিকৃ তেমনি ক’রে স্বর্ষ্যের ভিতরকার প্রচণ্ড তাপে প্ৰজলিত বাম্পরাশি যখন অসম্ভব বেগে উপরকার স্তরে আসতে থাকে এবং উপরকার স্তরের বায়ুরাশি ভিতরে প্রবেশ করে তখনই এক ঘূর্ণির স্বষ্টি হয়। তার ফলে সেইখানে একটি বিরাট ফাটল হয় এবং তার ভিতর থেকে প্রবল বেগে অসংখ্য অণু-পরমাণু ও বিদ্যুতিন উৎক্ষিপ্ত হয় । অধ্যাপক ডক্টর মেঘনাদ সাহা এই সুৰ্য্য সম্বন্ধে অনেক