পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র অণকণশের কথা «η ή ο পরিমাণ বিদ্যুতিন থাকে তা নয়। স্বৰ্য্যোদয়, স্বৰ্য্যাস্ত, দিবারাত্র, ঋতুপরিবর্তন, চুম্বক-বাত্যা ইত্যাদির সহিত এর হ্রাস-বৃদ্ধি লক্ষিত হয়। রাত্রি অপেক্ষা দিনে, দুপুর অপেক্ষ স্বর্ধ্যোদয় বা স্বৰ্য্যাস্তের সময়, শীত অপেক্ষা গ্রীষ্মে, শুষ্ক আবহাওয়া অপেক্ষা আৰ্দ্ৰ মৌসুমী বাতাসে এই বিদ্যুতিন সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। বেলুন বা বেতারের সাহায্যে উচ্চাকাশের বিষয় যতটুকু জানা গিয়েছে তা ছাড়া অন্য উপায়ে বাকী যা-কিছু সব জানা যাবে—এ কল্পনা বৈজ্ঞানিকরা করেন। তাদের ধারণা রকেটের সাহায্যে র্তারা এক গ্রহ থেকে অন্ত গ্রহে বা উপগ্রহে অনায়াসে যেতে পারবেন। তার জন্য জাৰ্ম্মেনী, ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকা—এই কয় জাতি মিলে প্রাণপণে চেষ্টা আরম্ভ করেছে। বালিন শহরের উপকণ্ঠে রাইনিকেনড্রফে ( Reinickendrof) ® ®ftattgtfft &g-c*fúiíf I গত মহাযুদ্ধে সব চেয়ে ভীষণ বিস্ফোরক টি. এন. টি. ব্যবহৃত হয়েছিল তা হয়ত সবাই জানেন। তার চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী অর্থাৎ যার একটি গোলা দিয়ে একটি শহরকে একসঙ্গে ভেঙে চুরমার করে পুড়িয়ে দেওয়া যায়) সেই T4-এর সঙ্গে আরও কতকগুলি কি মিশিয়ে নাকি ডক্টর লিয়ন্স, (Dr. Lyons) Hz wystą ery fuel česfă করেছেন, যার জোরে রকেট পাবে সেকেণ্ডে দুই মাইল গতি। তারা বলেন, প্রথম প্রথম রকেটে ক’রে চিঠিপত্র দেশ দেশাস্তরে বিমানডাকের চাইতেও অল্প সময়ের মধ্যে পাঠানো হবে। তার পর হবে যাত্রীর ভিড়। লোকে এরোপ্লেনের মত নিৰ্ভয়ে রকেটে করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবে। তার পর তৈরি হবে এমন রকেট যার সাহায্যে এই পৃথিবী থেকে যে-কোন গ্রহ বা উপগ্রহে লোক চলাচল সহজ ও স্বগম হয়ে উঠবে। কেমন ক’রে তা সম্ভব হবে তার আভাসও বৈজ্ঞানিকর দিয়েছেন। তারা বলেন, পৃথিবী থেকে যদি কোন জিনিষ হিমমগুলের দিকে সেকেণ্ডে ৫ মাইল বেগে উঠতে থাকে এবং ৬০ মাইল যাবার পর সেটা হঠাৎ থেমে যায়, তবে সেটা তার নীচে নেমে আসবে না এবং ঠিক একই গতিতে সেখানে ঘুরতে থাকৃবে। এইরকম আরো কতকগুলো ছুড়ে দেওয়া হবে হিমমগুলের দিকে, বৈদ্যুতিক শক্তির আধার, বেতারের সরঞ্জাম, রকেটের fuel, খাবার ও পানীয় ভৰ্ত্তি বড় বড় পাত্র বোঝাই ক’রে । এইগুলোর ಗ್ದ! EKR meteor Island { door-3 আকাশ-বন্দর। সমুদ্রের উপর দিয়ে স্থদুরগামী জাহাজ যেমন অনবরত চলতে পারে না—তার কয়লা, জল ও লোকজনের বিশ্রামে জন্য স্থানে স্থানে বন্দর থাকে তেমনি এই meteorisland-গুলো হবে আকাশের বন্দর। পৃথিবী থেকে যাত্রীরা এখানে এসে দু-চার দিন বিশ্রাম করবেন, তার পর গাড়ী বদল ক’রে অর্থাৎ নৃতন রকেটে করে আরও উপরে উঠবেন অন্ত গ্রহের উদ্দেশ্যে। সেগুলাও যখন অন্ত কোন গ্রহের আকর্ষণের মধ্যে এসে তার চতুৰ্দ্দিকে ঘুরতে থাকবে তখন আবার সেইগুলোই হবে উচ্চাকাশের বন্দর। এমনি ক’রে আকাশের মাঝে মাঝে ষ্টেশন হবে এবং তাতে লেখা থাকবে বড় বড় অক্ষরে “স্বৰ্য্যে ধাবার পথ” (This way to Sun ), “চন্দ্রে witH ow" (This way to Moon) of cozo co-R. হাউই যাত্রী নিয়ে আকাশ বন্দরে পৌছে দেবে তারাই আবার ওখান থেকে fuel নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এমনি ক’রে পরস্পরের মধ্যে সংযোগের ব্যবস্থা থাকৃবে । আকাশ-বন্দরের কোনটার fuel বা খাবার ফুরিয়ে গেলে বেতারে পৃথিবীতে খবর পাঠাবে আর অমনি হাউই ভৰ্ত্তি fuel কিংবা খাবার উঠবে আকাশে এবং ঠিক সময়ে পৌছে দেবে ওখানে । বৈজ্ঞানিকদের ধারণা যে এই আকাশ-বন্দরগুলো মামুষের পরম উপকারে লাগবে । ওখানে যদি মস্ত বড় এক আয়ন বসানো যায় আর তাই দিয়ে সূর্যের আলো প্রতিফলিত ক’রে পৃথিবীর অন্ধকার যেখানে তার ওপর ফেলা হয়, তবে সেখানটা দিনের মত হয়ে উঠবে। অর্থাৎ বছরের মধ্যে ছ-মাস রাত যেখানে, সেখানে এ দিয়ে মানুষ কত কাজ করতে পারবে। তার পর উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর বরফ গলিয়ে ফেলা যাবে এর সাহায্যে এবং সেই জমীতে চাষবাসের বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। ভাসমান বরফের চাইয়ের ধাক্কা লেগে জাহাজ ভেঙে যাবার আর ভয় থাকবে না—তার আগেই সেই বরফের শুপ গলিয়ে ফেলা যাবে। যুদ্ধে কামান, গোলাগুলির পরিবর্তে এই দিয়ে শহরকে শহর জালিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিংবা এর সাহায্যে শত্ৰু-সৈন্তের চোখে ধাধা লাগিয়ে হটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যে-সমস্ত লোকের দরকার হবে এই বিরাট আয়না তৈরি করতে তাদের বিশ্রামের জন্য সপ্তাহ অস্তর নূতন লোক যাবে পৃথিবী থেকে । তারা ফিরে এলে কত মজার গল্প শুনতে পাব !