পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র শশী একটু মুচকে হেসে মনে মনে বললে, “ৰ – আমি খেটে এণ্টে ক্ষ, পাস করি, আর উনি কৰ্ত্তামি ক’রে বাহাদুরিটা নিন। এত মুখখু শশী নয়। খাটব আমি, পাস করব আমি, আর নাম কিনবেন উনি। যদিও করতুম,—এই খতম্।” ૨ পিতার মৃত্যুর পর সংসার দেখবার ভার নিলে শশী, জার বড়ভাই জগৎ আগ্র থেকে মাসিক পচিশ টাকা পাঠাতে লাগল। তখন গ্রামে পচিশ টাকায় দু-তিনটি লোকের खांजड़े निर्कॉट् ट्'ङ । কিন্তু জাতি পশুপতি খুড়ে বললেন, “তুমি যে-রকম বুদ্ধিমান হিসিবি-ছেলে, ওই পচিশ টাকাতেই ডাল-ভাত খেয়ে কাটাতে পারবে ; আমাদের সাধ্য কিন্তু ছিল না। জগৎও যদি ওই রকম সমূঝে চলে, তা হলে আর ভাবন কি—যথেষ্ট টাকা হুড়, হুড়, ক’রে জমে যাবে। আমরা ত জানি ও-সব আপিসে পাওনা-গণ্ড বেশ আছে। তা ছাড়া পশ্চিমে সবই সস্ত-গণ্ড । সেখানে ক-টাকাই বা সংসার খরচ লাগে ! কাশী গিয়ে ত দেখে এসেছি।—তবে জগতের ঠিক ঠিক আয়টা তোমার জানা থাকলে---তোমার মনটায় বল থাকে। সে আর কি ক’রে জানবে..." শশী বললে, “আমিও শুভঙ্কর ঘোষালের ছেলে, দেখুন না —এক চালে সব বার করে নিচ্ছি।” খুড়ে সক্ষেহে বললেন—“তোমার ওপর ভালবাসা আর বিশ্বাস আছে বলেই সব কথা কই,—তুমি পারবে। তবে বাবুরা স্ত্রীটিকে নিয়ে পশ্চিমে গিয়ে বাড়ির কথা ভুলে যান। তখন অনাবশুক চাকর দাসী পোলাও-কালিয়া ঘি দুধ রাবড়ী, না হ’লে চলে না। তাই এক-একটি ফুপো বনে যেতে দেরিও হয় না। দয়া করে দেশে আসেন কেবল মেয়ের বিয়ে দিতে। মনে ক'রো না সেরেফ জল-হাওয়ার গুণে আমন শরীর হয়। বাংলা দেশে জল হাওয়ার অভাব নেই, বরং অতিরিক্তই আছে। বাৰু, খ্যাটের আর বিলাসিতার খরচ কি এখান থেকে ধর যায়। এ ত তোমার বাড়ির গাছের ঝিঙে-ভাতে খেয়ে থাকা নয় । ভরসা কেবল, হিছর ছেলের ধর্শ্বজ্ঞান, ছোট ভাইকে কি জার পথে বসাবে..." দণদণর দুরভিসন্ধি צ6רף শশী বাধা দিয়ে বললে, “বাবা বলে গেছেন—খবরদার বিষয়-কর্শ্বের মধ্যে ধৰ্ম্মচিন্তা যেন স্পর্শ না করে,—অতবড় মুখ খুমি আর নেই। ওটা স্ত্রী-আচার বলে জেনে রেখো । গজ-হিসেবে ধারা টিকি রাখেন, আদালতে ধর্শ্বসাক্ষী করে কিছু বলবার সময় মতলবের আর স্ববিধের কথাই তারা ক’ন । ধৰ্ম্ম স্বর্গে নিয়ে যেতে পারে, মর্ত্যে কিন্তু ডোবায় । ওটা নিৰ্ব্বোধের জন্তে —আমার জন্তে দাদার ধৰ্ম্মভাব আসবে ভাবেন ?” খুড়ে ইকো রেখে উঠতে উঠতে বললেন, “যাক, আমি নিশ্চিত হলুম। ঘোষালদা তোমাকে কিছু বলে যেতে বাকি রাখেন নি দেখছি ; ওই সঙ্গে আমারও কর্তব্য কমিয়ে দিয়ে গেছেন। তার কাছে যে মানুষ হয়েছে তার জার মার নেই।” শশী দাদাকে এক দীর্ঘপত্র লিখে, খরচ সম্বন্ধে বহু উপদেশ দিলে। শেষ বললে, “কোন ব্যাঙ্কে কত জমা আছে এবং কোন কোম্পানীতে কত টাকার জীবনবীমা করা হয়েছে,— আমাদের দু-জনেরই সব জেনে রাখা উচিত। কারণ কে ' কখন আছে বা নেই তার স্থিরতা নেই। বাবা একথা সৰ্ব্বদাই বলতেন। আরও বিশেষ ক'রে বলতেন—স্ত্রীবুদ্ধিতে চললে পুরুষ পৌরুষ খোয়ায়, অধঃপতিত হয়,”—ইত্যাদি। 勒 狼 鲁 শশীর যে কথা সেই কাজ। সে ইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করলে। কারণ দরকারী যা-কিছু তা শেখা হয়ে গিয়েছে। বাপ তাকে হিসেবে পাকা ক'রে দিয়ে গিয়েছেন—স্বদ-কষা পৰ্য্যন্ত। ইংরেজী বা শেখা হয়েছে, তাতে চাকরি আটকায় না ; চিঠিপত্র সাহেবেরাই লেখে— বাবুদের কপি করা কাজ । বিধুমাষ্টার সানন্দেই তার সব কথা সমর্থন করলেন। বললেন, “যাঁদের নষ্ট করবার টাকা আছে তারা চিরদিন পড়ুক ন—তা-লা ত আমাদের চাকরি থাকবে কেন । তোমার সঙ্গে ত সে কথা নয়, তুমি আমাদের নমস্ত ঘোষাল-মশায়ের ছেলে। যা শিখেছ তা গেরস্থর ছেলের জন্ত যথেষ্ট । ওর ওপর গেলেই কবিতা লেখা আর কাগজে জ্যেঠামি করা বাড়ে বই ত না । তোমাকে সে কুপরামর্শ দিয়ে আমি পাপ বাড়াতে পারব না। লেখাপড়া যদি জ্ঞানবুদ্ধি বৃদ্ধির জন্তে হয়, আর ঘোষাল-মশাইয়ের বুদ্ধির যদি এক কাচ্চাও পেয়ে থাক ত