পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مساوه এমন হযোগ এল, এই সময় পোড়ারমুকে ভান্টার মাইনের হিসেবের জন্তে মনে এতটুকু স্বস্তি নেই। সকাল-বিকেল এসে দাড়ালে কি কিছু ভাল লাগে?” শশী হেসে বললে, “কি বিপদ, ও আবার একটা কাজ নাকি । শশী শৰ্মা গুনেছে কি হয়ে গেছে। তামাক টানতে টানতে সেরে রাখছি,—সকালেই বেটার নাকের ওপর ধরে দিও।”

  • জাঃ বাঁচালে ঠাকুরপো । ছক্কন তামাক দিক, আমি কাগজ পেলিল বৈঠকখানায় পাঠিয়ে দিচ্ছি--••••”

“এই হিসেবের জন্তে কাগজ পেন্সিল চাই নাকি । .কত পাজাকালি, পুকুরকালি খালি হাতে করলুম—পেন্সিল ছুলম ন,—ঘন্টা নেড়ে দুর্গোৎসব সারলুম, আর এই ইতু-পূজোতে ঢাকের ব্যবস্থা ! দেখলে বাবার স্বাত্মা যে স্বর্গে ছি ছি ক'রে উঠবে ।” শুনে বড়বউ অপরাধীর মত এতটুকু হয়ে গেলেন, বললেন, “আমি কি ক’রে জানব ঠাকুরপো,—উনি যে ধোপার হিসেবটাও কাগজ পেন্সিল না নিয়ে করতে পারেন না—দেখেছি কিনা। তাই•••••• gg হাসিমুখে শশী সোজা হয়ে বললে “সে-কথা বাবাও জানতেন, তাই না আমাকে তার সব বিস্তেটুকু দিয়ে নিশ্চিন্তে দেহ ত্যাগ করতে--"নিশ্চিস্তে' বলতে পারি না বোধ হয়— বঁাশকালিটে বলতে বলতে তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। ও-বিদ্যেটা তিনি ভিন্ন বাংলায় অার কারও জানা ছিল না। কি করি, তার ছেলে হয়ে পারব না, তাই বুদ্ধির জোরে,— যাক, সে কথা । এখন আমাকে কেবল ব'লে দাও—ভান্টার মাইনে ছিল কত, সে ক-দিনের পাবে, গর-হাজরি প্রভৃতি আছে কি না—ব্যস।” বড়বউ এক টুকরো কাগজে সব টুকে রেখেছিলেন,— উঠে গিয়ে এনে শশীর হাতে দিলেন । শশী তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললে, “তোমাদের না লিখে বুঝি কোনো কাজ হয় না। পরে শিস দিতে দিতে, যেন শস্ট করে বাইরে চলে গেল । বড়বউ ছাপ ছেড়ে চলেন। (t ছক্কন তামাক সেজে নিয়ে এল। শশী চেয়ারে ঠেস প্রবাসী SN98్చ দিয়ে হিন্দীতে প্রশ্ন করলে, “তাওয়া দিয়েছিস ত झांब्र !" ছকন “স্থা হুজুর” বলে সর্টকার নলটি শশীবাবুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে কাজ করতে গেল । চক্ষু বুজে সটকায় মৃদ্ধ যুদ্ধ টান দিতে দিতে শশীর মসীকৃষ্ণ মুখমণ্ডল সহসা আরামের হাসিতে মেঘ-রাতের জ্যোৎস্নার মত আভা দিলে,—“এই এক হিসেবেই বউঠাকরুশকে দাদার বিস্তেটার বহর বুঝিয়ে দিয়ে যাব ।” আত্মপ্রসাদ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে টানটাও দ্রুত দাড়িয়ে গেল। টানের প্রথম ঝোকটা মিটিয়ে,—“বেটার বেশ মিষ্টি হাত ত—সেজেছে খাসা !—টানতে টানতেই কাজটা সেরে রাখা যাকৃ।" বউঠাকরুণের লেখা কাগজখানা হাতেই ছিল।— *সেকেলে সংসারের মেয়ে, সবিস্তার সব লিখে রেখেছেন – কি আবশুক কি অনাবশ্বক—সে জ্ঞান নেই! পড়েই দেখা "ساعةtiة

  • আজ মাসের ১৯শে, বেস্থপতিবার সন্ধ্যে পউনে ছয়টার সময় ভাণ্টাকে বলে দেওয়া হ’ল-কাল থেকে তাকে আর দরকার নেই। এর মধ্যে আর তিন বেলা কামাই আছে। একদিন সওয়া দশটা বেলায় এসেও ছিল । তা হোক বেচারাকে যখন ছাড়িয়েই দেওয়া হ’ল, সে সব আর ধরে কাজ নেই, কতই বা পাবে 1 পায় ত মাসে স-পাচ টাকা আর সাত আনা জলপানি ।”

বড়বউ নিজের মস্তব্য সহ ওই সব লিখে রেখেছিলেন। স্বামী তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতেন না। কিন্তু ভাণ্টার ভাগ্যে হিসেবের ভারটা, অভাবনীয় ভাবে পড়ল পাকা লোকের হাতে । পাঠাম্ভে শশী নিজে নিজেই বললে—“তা ত বটেই। কামাইগুলো জার ধ'রে কাজ কি ! এই ক'রেই দু-জনে মিলে আমার সৰ্ব্বনাশটা করে আসছেন। কতক যাচ্ছে হিসেব জানেন না বলে,—জান্দাজে রাউও সমৃ দিয়ে সারেন,— বাহব নেন, অথচ তার আধাআধি যাচ্ছে শশীর মুণ্ডে । তার বেলা ত দয়া নেই, যত দয়া ভাণ্টার গরহাজরির দাম দেবার বেলা ! তা আর হতে দিচ্ছেন না শৰ্ম্ম, তা যতই মেওয়া আর কালিয়া পোলাও খাওয়াও । হিসেবের