পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ՊԵյաo প্রৰণসী ১৩৪২ ভাণ্ট পাজি এনে দিয়ে চ’লে গেল । “এইবার ক-ঘণ্টা ক-মিনিট বার করে নিয়ে শ্রাদ্ধটা সেরে রাখি —উদয় দেখছি ছয়টা ৫৩ মিনিট। আর যাবে কোথায় ?” “না, খোট্টার দেশ,—শুভঙ্কর চলবে না,—কাগজ চাই। তা না ত ওদের মাথায় ঢুকবে কেন ! ছেলেটা দেখছি খাতা নিয়ে সরে গেল । আচ্ছা, দেয়ালে এলম্যানাক আর কিসের জন্যে ঝোলে ? কাজে লাগুক।”—টেনে নিয়ে তার উলটো পিঠে হিসেব মুরু করে দিলে। “দ্বত্তোর—ইংরেজি শিখে কি মুখখুমিই করা হয়েছে! একেই বলে—দু-কুল খোয়ানো। ওরা কি আমাদের ভাল করতে এসেছে ? এমন এক আর্ট এনে ছেড়ে দিয়েছে যা আমাদের চিরকেলে চার । কখনও সেটা চার হয়েও যাচ্ছে, কখনও আট। লেখবার সময়ও যে তা না হয়েছে, তা এখন কে বলবে ? মাথা ঘুলিয়ে দিলে। দূর করে এখন থাক, স্বানাহার করে ঠাণ্ডা মাথায় দেখতে হবে। কাগজও চাই... “ইস, আজ যে আবার বাঘ-রিহাসেল রয়েছে! এই সময় যত আপদ জুটল। একটা ব্রেন, ক-দিক সামলাবে ? না, আজ আর ভাণ্টাটাণ্টা নয়---” শশী স্নানাহার করে গুডুক টানতে টানতে শয্যা নিলে। *ও হবেইখ’ন--বসলেই উড়িয়ে দেব ।” বেলা চারটেয় ঘুম ভাণ্ডল । “যা, অনামুকে বেট আসে নি–র্বাচা গেছে। আজ হাড়ি-কাবাব রাধতে বলেছি। সাড়ে আটটার মধ্যে লুচিসংযোগে ভোগ লাগিয়ে বেরিয়ে পড়ব—আজ ঝটাপটি রিহাসেল ! এক চক্কোর যমুনার হাওয়া লাগিয়ে এলেই বেশ ‘জটিস করা যাবে। ইকোয়েল শেয়ারার, অৰ্দ্ধেক ওড়ানো চাই। ওই হাওয়া লাগিয়েই ত কেষ্টে ইড়ি-হাড়ি ননী সামলাত ।" বাইরে পা বাড়াতেই বারান্দায় ভাণ্টাকে দেখে প্রাণটা বিগড়ে গেল। এখানে কলেরায় এত লোক মরছে আর এ বেটা---"কি রে ভাণ্টা, আসা হায় কেত্তাখন ? এই তোমার কথাই ভাবত থা—গরিব লোকের এক পয়সা না যায়। কিন্তু যো দিন মে কোই গঙ্কজক নেই ছোড় দেতা আর তুমি কি বোলকে নোকৃরি—ষ গরুজরক বাৰা বললেই হয়, সেটা ছোড় দিলে ? হিছক বাচ্চ একটু শাস্ত্রজ্ঞান তো থাকা উচিত থা---” —হামি কি করবে, বড়বাবু ছোড়িয়ে দিলে--- —হ বুঝেছি, আচ্ছ, আমি ইস্কা বিহিত করবো। সেই জন্যেই তো ইতস্তত করকে বিলম্ব করত হয়। —দোকানদার তাগাদ ছোড়ছে না, তাই দিক্‌ করতে হোতা বাবুজি । আচ্ছ, হামি কাল আসবে। 暈 蠱 尊 চঞ্চুবাদ্য-রিহাসেলে সকলকে তাক লাগিয়ে এসে শশী শুয়ে পড়ল। মূৰ্ত্তি ফুট কাটতে লাগল,—"জটায়ুর যদি একখানা গান থাকে, of course ‘কানাড়া’, তা হ’লে সবাইকে বড়ালের নাম ভুলিয়ে দি । পার্থীতে যখন কথা কয়—গাইবে না কেন।” নাসিকাপানি--- ঘুম ভাঙল সাড়ে সাতটায় ! “ইস কখন কি করবো! বিদ্যের চেয়ে বিপদ আর নেই । অঙ্কটা ভাল জানি ব’লে আমার ঘাড়েই রাজ্যির জুলুম। কই এত মিঞা রয়েছেন তো—” “পায় লাগি বাবুজি”—কানে আসায় শশীর সর্বাঙ্গ জলে গেল !—হারামজাদার কি আর কোন কাজ নেষ্ট ! প্রকাশুে-—“বইসে ভাণ্ট --বহুত কথা হায় । তোর কে কে হায় বল দিকি —জরু, কাচ্চাকে-বাচ্চা, তারা সব কেমন হায়---” ভাণ্টা আজ সাত দিন ঘুরছে, সে আজ যা-হয় একটা কিছু না করে উঠবে না—এই ভেবেই এসেছিল। কিন্তু শশী স্নেহস্তরে কুশল জিজ্ঞাসা করায় গরিব জল হয়ে গেল। কাতর কণ্ঠে বললে—“কিযণজি সব সাফাই কোরকে দিছে বাৰু। দোঠে বিটিয়া ছোড়কে, জরুকে লিছে।"— সে কেঁদে ফেললে । “অ হা-হা ! দুঃখ করিস নি ভাণ্টা,—কিষণজির কামই ওইরূপ হায়। স্বচিয়ে আর কি হোগা বাবা ! মেয়েদের সাদির সময় যেন খবর পাই,–ভুলিস নি ভাণ্টা।" একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে—“আচ্ছা, বারাণ্ডামে মাজদুরখানা পাতকে, ওই কাগজপত্তোরগুলো রাখ। আমি মুখ হাত ধোৰ্কে আসত হায় ;-আজি তোর হিসেব সারকে তবে অন্য কাজ । দেখত তো কাগজক ডাই ।”