পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چسي۱tه প্রবাসী SN?8、 তার অবস্থা দেপে শশীর আর কথা সরল না । তার হাতে একটা সিকি দিয়ে বললে, “সৰ্ব্বাজক দরদট। মরন চাই। ভাঙের চেয়ে দাওয়াই নেই। কিন্তু আচ্ছা করকে বানানো চাই। সব মশলা জানতা ত ? তার পর বেশ করকে পিসন, পিছে ঘুণ্টন--” “উ-সব হামি খুব জানছে বাৰু। মথুরাজিমে হামার ঘর আছে।” “তবে আর কেয়া, আজই আচ্ছা হয়ে যাবি।” সে খোড়াতে খোড়াতে বেরিয়ে গেল । শশীর মনে কিন্তু সারা দিন মুখ নেই। এই অবস্থায় ভাইপো নরেশ ইস্কুল থেকে এসে হাসতে হাসতে বললে— “আজ কোম্পানীর বাগানে বেড়াতে যেতে হবে কাকা ।” “আমি আজ বেরুব না,—কাজ আছে।” “হিসেব হয় নি বুঝি ?”—কথাট। নরেশ সহজ ভাবেই কয়েছিল । শশীর মাথায় তা আগুন ছড়িয়ে দিলে । সে সরোষে বললে, “ছেলেমানুষ ছেলেমামুষের মত থাকৃ, ফের যেন—” বালক ধীরে ধীরে বিমর্ষ মুখে চলে গেল । শশীর মগজে তখন নানা সন্দেহ ফুট কাটতে আরম্ভ ক’রে দিলে । সে ভাইপোর ওই কথার মধ্যে বিদ্রপ আবিষ্কার করলে,—“এ ত ওই বাচ্চার কথা নয়, নিশ্চয় বাড়িতে ধাড়িদের মধ্যে এ-নিয়ে কথা হয়। তা হোক, আমি কিন্তু তা ব’ল নিজে শেয়ারের কড়ি দাতব্য করছি না,—হিসেব পুঙ্খানুপুঙ্খ না করে ছাড়ছি না। বাবা বলতেন—"নিজের স্বার্থ সম্বন্ধে অন্যের কথা কানে নিয়েছ কি ঠকেছ’ ।” এই বলে হিসেবের তাড়াটা টেনে নিয়ে ছড়িয়ে ফেললে। প্রত্যেক ছোট-বড় কাগজে চোখ বুলিয়ে— “उड़ेि उ-6श्रृंख-शार्क cनeष्ठ श्ध्न नि,-कलभ ध्लटन ऊ আর জ্ঞান থাকে না। কোথা থেকে আরম্ভ,—খুটট। একবার খুঁজে পেলে যে হয়। খুট মিলল না—সব একাকার হয়ে বসে আছে —শশীর মাথাটা বেঁ৷ ক’রে উঠল । চাকরদের ঘরে ভাণ্ট। ভাং খুণ্টনে ঘৰ্ম্মাক্ত। “সিদ্ধি মা খেলে বুদ্ধি খুলবে না,—এক ঢোক চড়িয়ে দেখি। কি রে ভান্ট,-কেভা দূর । বা, বেশ খুগ্ৰু ছেড়েছে । একটু দে দিকি চাক্ষন করি—ভক্ষণ পরমে হোগা। ভাণ্টী, মনের মত এক বাটি দিলে । “জয় ত্র্যম্বকজী—বাঃ, তুই এমন স্বন্দর বানাতা— এত্ত দিন বলিস নি ।” পাঁচ মিনিটেই শশীর বুদ্ধি খুলতে আরম্ভ হয়ে গেল। —“ব্যস্—মেরে দিয়েছি,—“শ্ৰীশ্ৰীহরি শরণম্ না লিখে শৰ্ম্ম কোনো দিন এক অক্ষরম ফাদেন না। যেখানে শ্ৰীহরি, সেইখানেই ত আরম্ভ ! এই ত শ্রীহরি রয়েছে.কিন্তু মাঝমধ্যিখানে শ্রীহরি এলেন কি করে ?” শশীর ভাবের উদয় হয়ে পড়ল । খাতার পৃষ্ঠা, এলম্যানাকের পৃষ্ঠা, মায় ম্যাপের পৃষ্ঠা সৰ্ব্বত্রই শ্ৰীহরির বিকাশ ! সে স্বর ধরলে— হরি হে তুমি কিনা পারে!! তুমি ডগায় ছিলে, মধ্যে এলে— কোনো বেটার ধার, না ধারে । এই যে—তল ঘেষেও উকি মারে । ক্যাবাং !—শশী হেসেই খুন। তার পরের ওলট-পালটু অবস্থাটা শশী নিজে উপভোগ করতে পারে নি,—করেছিলেন অন্ত অনেকে। দাদা বউঠাকরণ, নরেশ,—সকলেই। পাড়ার প্রবীণ উমেশবাবু পৰ্য্যস্ত। জগতের সেইটাই হয়েছিল সবার বড় লজ্জার কারণ । শশীর মাথায় ঘড়ী-ঘড়া জল ঢালা দেখে, বউঠাকরুণ ভয়ে ভাবনায় আড়ষ্ট ! ডাক্তার ডাকবার জন্তে ব্যাকুল ভাবে স্বামীকে কেবলই কাতর অনুরোধ করছিলেন । জগতের মাথা তখন বিরক্তিতে, লজ্জায়, রোষে ভৰ্ত্তি । —কক্কশ রকমের একটা ধমক খেয়ে স্ত্রী চমকে কেঁপে উঠলেন, যেহেতু এটা তার অভ্যস্ত পাওনা ছিল না । “ও বয়সে বেকার বসে থাকলে অবাস্তুর পাচটা নির্য দিন কাটাতে হয়, -নেশাটা তারই একটা । ভয় নেই, ওদে ওসব অভ্যস্ত বিচ্ছে," বলতে বলতে উমেশ বাবু চলে গেলেন । জগতের যেন মাথা কাটা গেল । (وع ) উপভোগ্য সংবাদগুলি প্রচার হতে বিলম্ব হয় না । সব গ অনেকেই এসে সংবাদ নিয়ে গেলেন,—প্রবাসের স্বথই এই ৷