পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

25зи আমার ডাককে উপেক্ষ ক'রে নিষ্ঠুর রূপে চলে যাবার শক্তি সে পেয়েছে ? হায়! স্বনাকে হয়ত আমি ধ্বংসস্তুপ হতে উদ্ধার করতে পারি। কিন্তু মিসেস্ চ্যাটাঙ্গী তার বহু কষ্টার্জিত অধিকার ছাড়তে রাজী নন যে। তার ক্ষতি যে বড় বেশী হয়ে যায়। তাই আমার কথার উত্তরে মিসেস্ চ্যাটাজ্জী র্তার রাগরক্ত ওষ্ঠাধরকে প্রকৌশলে ও স্ব-অভ্যস্ততায় বঙ্কিম ক'রে উত্তর দিলেন, “আমার ত এখনও মাথা খারাপ হয় নি যে তোমার সৗলী সেটিমেন্টালিজম গুণব বসে বসে। তোমার একটু লজ্জাও করল না ? সত্যি ! বোধ হয় কি বলছ তাও জান না। যাক, তোমার জন্তে ত আর প্রেষ্টিজ aë zoos of all It's rather too late and I must be off । শুয়ে গুয়ে অস্থস্থ কল্পনার আশ্রয় নেওয়ার চেয়ে এস আমাদের য়্যাট গেমে ।” স্বনন্দ স্বন্দরী । কিন্তু এত দিনে লক্ষ্য পড়ল আমার, ওর স্বাভাবিক সৌন্দধ্য আর নেই। প্রসাধন ও কুমিতায় ওর রূপ পৰ্যন্ত নষ্ট হতে বসেছে। ওর চোখের সে মাধুর্ঘ্য গেছে হারিয়ে, এসেছে একটা অকারণ রুক্ষতা। ওর স্বভাবরক্ত ওষ্ঠপুট, যা আমি মৰ্ম্ম-মাতাল-করা বলে বর্ণনা করতাম, সেও দেখি আজ রুত্রিম বর্ণরঞ্জিত । কি কঠিন সৌন্দর্ঘ্য ! সে সহজ প্রাণের হাসি নেই, আছে সবের প্রতি একটা সদপ উপেক্ষার প্রাণহীন ওষ্ঠফুঞ্চন ( অবশ্য সেক্টটাকেষ্ট ওঁরা হাসি বলে মনে করেন এবং তাই নিয়ে গৰ্ব্বের আর অন্ত নেই ] ) । আজ স্বমন্দাকে দেখে হঠাৎ মনে হ’ল, তার নিজস্ব বা-কিছু ছিল, সমস্তই মিসেস্ চ্যাটাজ্জার মধ্যে হারিয়ে গেছে। আমার নন্দা ছিল অ-সম্পূর্ণতায় স্বন্দর, কিন্তু সোসাইটির যন্ত্রে দেখছি মিসেস্ চ্যাটাঙ্গী পারফেক্ট । তা সত্যি, তার ক্রটি নেই। বাইরের জন্তে তিনি ঘরকে দেখবার অবসর পান না। স্বামী বা সস্তানের অমুখের জন্ধেও তাকে কখনও কোন সামাজিক কৰ্ত্তব্যে অনুপস্থিত দেখা যায় নি। তার বিশ্রাম,নেই, ক্রটি নেই, ক্লান্তি নেষ্ট সোসাইটির জন্তে, অথচ ঘরের...থাকু সে কথা। তাই ত বলছিলাম, মিসেস্ চ্যাট,জী p-e-r-f-e-c-t, She is sweet, she is an a-n-gel, she is a w-o-nd-e-r I ም عباسیص s هم শরতের মেঘ tyoNe কিন্তু আমি ভাবছি, এতে মিসেস্ চ্যাটাজাঁ কি আমার ‘নন্দা'র চেয়ে স্বধী হ’তে পেরেছে ? তবে কেন তার মধ্যে অতৃপ্তির ছায়া ? হায়! আমার নন্দার চিতাভষ্মে গড়ে উঠেছে মিসেস্ চ্যাটাঙ্গীর সন্মান-সৌধ। আজ আমি অবাক হয়ে ভাবি, আমি নন্দাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম কি ক'রে ? কোন অনাদরের ক্রটির মাঝে নন্দ আমার হারিয়ে গেছে। উৎকট সাহেবিয়ানার প্রবল বস্তায় অজ্ঞাতে ক্ষয় হচ্ছিল আমাদের দাম্পত্য জীবনের ফুল, যখন পাড় ধ্বসে গেল, ধ্বংসলীলায় মুগ্ধ আমি তখনও যদি রাখতাম নন্দাকে আমার বুকে লুকিয়ে ! এখন ভাবতে পারছি এই কথা, কিন্তু কিছুক্ষণ আগেও ভাবতে পেরেছিলাম কি, একথা আমি ভাবতে পারব ? কিন্তু দোষত আমাদেরই। আমরা নিজেরা মাতাল হয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে অস্বাভাবিকতার নেশা থেকে গৃহলক্ষ্মীদেরও দূরে রাখি নি, নিজের হাতে তুলে দিয়েছিলাম—হয়ত তাদের আপত্তি সত্ত্বেও—সেই উগ্র, তীব্র কালকূট। আজ যদি তার প্রতিক্রিয়া স্বরু হয়ে থাকে, যদি সমস্ত পরিবেষ্টনী বিষের ধোয়ায় প্রাণঘাতী হয়ে থাকে, তাহলে দোষ নিজেকে ছাড়া আর কাকেই বা দিতে পারি ? ভাসতে ভাসতে কোথায় যে চলেছিলাম, আজ তীরে এসে দেখি—সার্থী নেই, এক ! এ নিৰ্ম্মম একাকিত্বের ভারে মন যেন ভেঙে পড়ছে, হারানোর হাহাকারে বুক আমার চূর্ণ হয়ে গেল, অশ্র-করুণ মিনতি তাই কেঁদে কেঁদে লুটিয়ে পড়ছে, “নন্দী, নন্দ, ফিরে এস, ফিরে এ--স নন্দী—” নন্দ কি শুনতে পাবেন। আমার ডাক ? তবে এও জানি যদি নন্দ শুনতে পায়, কিছুই তাকে আটকাতে পারবে না । কিন্তু সে গুনতে যে পাবে না, সোসাইটির ঘন আবরণে আহত হয়ে সে-ডাক হারিয়ে যাবে। শুয়ে গুয়েই শুনতে পেলাম স্বনন্দার দ্রুত পদধ্বনি থমকে গেল। কার অভিবাদনের উত্তর দিচ্ছে তার স্ব-অভ্যস্ত স-ব্যস্ত, কৃত্রিম কণ্ঠস্বর, তাও কানে এল। মোট গলায় প্রশ্ন হ’ল, “সুপ্রিয় বাড়ি আছে নাকি ?” “হঃ ! বলছে ত শরীর ভাল নেই ৷ A bit indisposed •••আপনি আসছেন ত? তবে আর কি ? স্বপ্রিয়কেও নিয়ে