পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੇ5ਭਧ রজত হাসিয়া বলিল, “রয়াল বেঙ্গল ছাড়া ত আমি অন্ত কিছু মারি নে।” রাধু এত ক্ষণ দাড়াইয়া ছিল, এবার বসিয়া পড়িল। রজত এত ক্ষণ বসিয়াছিল, এবার দাড়াইয়া উঠিল ; কহিল, “চলি তবে ।” “ন, ন, একটু বন্ধন ; চা খেয়ে নিন।” চা হইল, জলযোগ হইল। রজত চা পান করিয়া বুঝিল আজকার চায়ে চিনির সঙ্গে রাণুর অনুরাগ মিশিয়াছে। রজত জিজ্ঞাসা করিল, “কি বল রাণু, তোমার জন্য একটা বাঘ আনব না কি ?” রাণু বিস্মিত আনন্দে উজ্জল হইয়া বলিয়া উঠিল, “বেশ, মজা হবে, বেশ মজা হবে।” রজত ধীর ভাবে প্রশ্ন করিল, “জ্যাস্ত না মরা ?” রাণু ভীতভাবে বলিল, “জ্যাস্ত ? না, ন, সে হবে না।” “আচ্ছা তবে মর-ই আনব,” এই বলিয় রজত উঠিয়া পড়িল । রাণু দুয়ার পর্যন্ত তাহার সঙ্গে আসিল ; একবার খামিল, একবার ইতস্তত করিল, একবার কাশিল, তার পরে বলিয়৷ উঠিল, “ন-হয় বাঘ-শিকারে না-ই গেলেন ।” রজত হো হো শব্দে হাসিয়া উঠিল। রাণু লজ্জাজড়িত উৎকণ্ঠার সহিত বলিল, “তবে একটু সাবধানে থাকৃবেন। কবে আসবেন ?” “দিন-পনরর মধ্যে” বলিতে বলিতে রজত আর একবার তাহার মুখের দিকে চাহিয়া বাহির হইয়া আসিল । রঞ্জত আজ রাণুর চোখে এমন একটি আশ্বাসভরা দীপ্তি এবং সিক্তপ্রায় আঁখিপল্লবের ভঙ্গী দেখিতে পাইয়াছে, যাহাতে সে বুঝিল বহুদিন অকূল সমুদ্রে ভাসিয়া দূরে দ্বীপের আলো দেখিয়া কলম্বসের মনে কি ভাবের উদয় হইয়াছিল, আর কি সানা পাইয়াছিল সেই হতাশ নাবিক সমুদ্রের জলে সদ্যভগ্ন বৃক্ষপল্লবের সাক্ষাতে । দিন-পনর পরে একদিন বিকালে রাণুদের বাড়িতে রজতের মোটর আসিয়া থামিল । রঞ্জত লাফাইয়া নামিয়া পড়িল, এবং পাঁচ-সাত জন লোকের সাহায্যে টানিয়া নামাইল প্রকাও এক বাঘ। রাণুর এত দিন উৎকণ্ঠায় কাটিতেছিল, > e é-3 e go বাগদত্ত। toహి) খবর পাইয়া ছুটিয়া আসিল ; দেখিল সত্যসত্যই তাহার বাঘ আসিয়াছে, একেবারে খাটি রয়াল বেঙ্গল টাইগার। রাণু বিস্ময়ে, ভয়ে, গৰ্ব্বে, উল্লাসে অফুট চীৎকার করিয়া উঠিল। সকলে মাপিয়া দেখিল বাঘট নাক হইতে লেজের ডগা পৰ্য্যস্ত পাকা নয় ফুট । রজত রুমাল বাহির করিয়া কপালের ঘাম মুছিল । রাণু জিজ্ঞাসা করিল, “রুমালে রক্ত কিসের ? আপনার ?” রজত হাসিয়া বলিল, “বাঘের ।” রাণু ছে৷ মারিয়া রুমাল কাড়িয়া লইয়া ঘরে প্রবেশ করিল। রজত তাহাকে অনুসরণ করিল। थप्द्रग्न भाषा कि श्हेण छानि न। किस्त्र यथन ब्रणफ বাহির হইয়া আসিল তাহার মুখে কলম্বসের আমেরিকাআবিষ্কারের গৰ্ব্ব ও তৃপ্তি। e রজত রাণুর বাপের কাছে তাহার প্রার্থনা জানাইল । তিনি আনন্দে তাহার করমর্দন করিলেন। পরের দিন আশীৰ্ব্বাদ হইয়া গেল। রাণু রজতের বাগদত্তা বধূ। বিবাহের দিন পয়লা বৈশাখ নির্দিষ্ট হইয়াছে। রজত প্রত্যহ আসে, গল্প করে, চা খায়, রাণুর সঙ্গে কয়েকটা ঘন্ট কাটাইয়া বাড়ি ফেরে। সেদিন বাঘ-শিকারের গল্প হুইতেছিল । রাণু জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কি গাছে উঠে বাঘ মার ?” রজত সিগারেটে শেষ টান মারিয়া বলিল, “প্রথমে তাই করতাম, এখন মাটিতে দাড়িয়ে মারি ” রাণু শিহরিয়া উঠিল। “আচ্ছা ক'টা গুলিতে বাধ মরে ?" “একটা ! দেখ নি বাধটার দুই চোখের মাঝখানে গুলির দাগ ” রাণু দেখিয়াছে বটে। অনেক রাতে রজত উঠিয়া গেল। রাণু যাইবার সময় তাহাকে দিয়া প্রতিজ্ঞ করাইয়া লইল যে সে আর বাঘ মারিবে না। কিন্তু রজত কি প্রতিজ্ঞ করিতে চায় । শিকার না করিতে পারিলে তাহার আর বঁাচিয়া লাভ কি। অবশেষে অনেক অসুযোগ, অনুরোধ, অভিমানের পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয় রজত প্রতিজ্ঞা করিল। রাণুর বুক গৰ্ব্বে ফুলিয়া