পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * år - » f ssss ... ." ", * = కి : n BB BBBB BB BBBB BBBS BBBD D DD DD BBBS SBBB BBB DDD ggB করতে দেওয়াও যে আমার পক্ষে ততখানিই শক্ত।” কিছু মুখে না দিয়েই চলে গেল।” অমর ইহার উত্তরে কি বলিবে ভাবিয়া পাইল না। বলিবার কথা ত তাহার জিহায় ভিড় করিয়া আসিতেছে, কিন্তু সবই কি বলা যায় ? মমতা কি করুশা করিয়াই এতটা করিতেছে, না আরও কিছু অাছে ইহার মধ্যে ? দুই জনের নীরবতা ক্রমে দু-জনেরই পক্ষে অসহ্য হইয়া উঠতে লাগিল। মমতা ভাবিল মা ফিরিয়া আসিলে বীচ যায়। অমর ভাবিতে লাগিল উঠিয়া পড়িবে কিনা, কিন্তু চলিয়া যাইতেও যে কিছুতেই ইচ্ছা করে না। অবশেষে বলিল, “আমার অনুরোধ বলেই কিছু যদি না করেন, অন্ততঃ কিছু দিনের জন্যে ।” মমতা জিজ্ঞাসা করিল, “সত্যিই আপনি তাই চান ?” অমর বলিল, “তাই চাই। আপনি যদি স্বাধীন হতেন তা হলে আমাদের কাজে আপনার সাহায্য পেলে যত আনন্দ জামার হত, তা মুখে প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু আপনার বাবা আপনার অভিভাবক এখনও, তার বিরুদ্ধে গেলে অনেক কষ্ট পেতে হবে। সেটা আমি চাই না।” মমতা কথার উত্তর দিল না। অমর তাহার দিকে চাহিয়া দেখিল, মমতার দুই চোখে জল আসিয়া পড়িয়াছে। তাড়াতাড়ি উঠয় তাহার পাশে গিয়া দাড়াইয়া বলিল, “আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনার যাতে অশান্তি ন৷ হয়, তারই জন্তে একথা আমি বলছি।” মমতা গাঢ়স্বরে বলিল, “আপনাদের কোন উপায়েই যে আম সাহায্য করতে পারব না, এর চেয়ে বড় অশান্তি আমার জার কিছুতে হবে না।” অমর বলিল, “তা হ'লে আপনার যা করতে ইচ্ছা হবে তাই করবেন। জামার আর কিছু বলবার নেই।” ঘামিনী এই সময়ে ফিরিয়া আসিলেন । অমর তাহার দিকে চাহিয়া বলিল, “মা, আপনার মেয়েকে আমি বোঝাতে পারলাম না। তাকে আপনিও আর বাধা দেবেন না । किरू चांभांटक छांकरवन दषन्हें चां★नांब्र बब्रकांब्र श्रव । প্রাণ দিয়েও যদি কোন সাহায্য আপনাদের করতে পারি তা আমি করৰ " নত হইয়া যামিনীকে প্রণাম করিয়া সে ফতপক্ষে বাহির হইয়া গেল। মমতাও না খাইয়া টেবিল হইতে উঠিয়া পড়িল। দুই চোখের জল গোপন করিবার জন্তই যেন ছাদে পলায়ন করিল। পর দিন সকালে যামিনীই লোক দিয়া অমরদের ক্যাম্পে তরিতরকারি খানিকটা পাঠাইয়া দিলেন। সুরেশ্বর যদি জানিতে পারেন যে এ ব্যাপারে স্ত্রীও লিপ্ত আছেন, তাহা হইলে কস্তাকে বাদ দিয়া স্ত্রীর শাস্তি বিধান করিতেই তিনি ব্যস্ত হইয়া উঠিবেন । ইহাই তাহার চিরদিনের নিয়ম। মমতা সারাটা দিন তাহাকে এড়াইয়া বেড়াইতে লাগিল । কৰ্ম্মচারীর দল গৃহিণী ও জমিদার-ছুহিতার কাও কারখানা দেখিয়া অবাক হইয়া গিয়াছিল। বাংলা দেশের মেয়ের এত বুকের পাট । এত সাহস যে তাহাদের হইতে পারে, তাহাই এ মানুষগুলির জানা ছিল না। খুব পল্পবিত ভাবে সকল সংবাদ বহন করিয়া, শীঘ্রই একখানি পত্র স্বরেশ্বরের ঠিকানায় চলিয়া গেল। সুরেশ্বর ত রাগে বিস্ময়ে একেবারে হতবাক হইয়৷ গেলেন। অপরাধিনীরা সামনে থাকিলে তখনই একটা খুনোখুনি কাও হইয়া যাইত। কাছে যাহাকে পাইলেন তাহাকেই বকিয়া, গাল দিয়া, এবং চাকর-বাকরকে চড়, লাথি মারিয়া তিনি গায়ের ঝাল মিটাইতে লাগিলেন । ভাক্তারবাবু খানিক ক্ষণ র্তাহার রকম-সকম দেখিয়া বলিলেন, “আপনি যদি এত বাড়াবাড়ি করেন, তা হলে কন্সিকোয়েন্সের জন্তে আমি দায়ী হব না।” স্বরেশ্বর পাগলের মত চীৎকার করিয়া বলিলেন, “এই দেখ, দেখে তার পর কথা বল,” বলিয়া চিঠিখান তাহার গায়ের উপর ছুড়িয়া ফেলিয়া দিলেন। ডাক্তার চিঠিখানা পড়িয়া, মুড়িয়া আবার খামের ভিতর ঢুকাইয়া দিয়া বলিলেন, “বেশ ত, তারা যদি আপনার অমতে কিছু একটু করেই থাকেন, ফিরে গিয়ে তাদের সঙ্গে বোৰীপড়া করলেই হবে। এত উত্তেজিত হবার কি হয়েছে ?" জ্বরেশ্বর রাগে গেী গো করিতে করিতে নিজের ঘরে চুৰিয়া গেলেন। দেশে এই রকম কাওলানহীন মুখের আধিক্য হওয়াতেই না স্ত্রীলোকদের এত আম্পৰা বাড়িা গিাছে ।