পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র করেছেন, আমার পথপ্রদর্শকের নিকট থেকে সে-সম্বন্ধে কোন হদিস পেলাম না। দরবার-গৃহের ঠিক স্বমুখেই আন্দাজ আধ মাইল লম্বী সিধা সড়ক—এই সড়কের ওপরেই প্রতি বৎসর মণিপুরীদের ‘লামচেল' বা দৌড়-প্রতিযোগিতা হয়। এই স্থানে দাড়িয়ে অনতিদূরে অবস্থিত টাংখুল নাগ: টিকেন্দ্ৰজিতের পরিত্যক্ত প্রাসাদের পানে তাকিয়ে বিষাদে মন ভরে ওঠে। নিজ ভবনেই বন্দীদশায় জীবনের শেয দিনগুলো কাটিয়ে মাত্র বত্রিশ বৎসর বয়সে মণিপুরের মুকুটমণি, অমিতবিক্রমশালী মহাবীর কৈরন সিংহকে-টিকেন্দ্র এ নামেই মণিপুরের আবালবৃদ্ধবনিতার নিকট পরিচিত ছিলেন-ইংরেজের বিচারে ফাসিকাষ্ঠে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এমনিতর শোচনীয়ভাবে অকালে টিকেন্দ্ৰজিতের জীবনাবসান না হ’লে মণিপুরের ইতিহাস বোধ করি আঞ্জ অন্তরূপ ং’ত। যাকু সে কথা –আপাততঃ দুর্গ এবং রাজপুরী ইত্যাদির বর্ণনা শেষ করা যাক। কেল্লাটির দক্ষিণ দিককার কতৰ অংশ একটু ডিৰাকৃতি-শাদী গম্বুজওয়ালা লালরঙের মণিপুর-প্রবাসে b°むS অত্যুচ্চ ইটের পাচিলে ঘেরা ; পেছনে ইদানীং শুষ্ক গড়খাই । আগেকার দিনে বারো মাস এই পরিখা জলে ভৰ্ত্তি থাকৃত এবং সেপ্টেম্বর মাসে এখানেই বিপুল সমারোহের সহিত তিন দিন ব্যাপী বাচ-খেলা হত। এই পরিখাটির পশ্চাতে অপরিসর ইমফল নদী প্রবাহিত । 'যাকাইরোল-সম্পাদক ডাক্তার লৈরেন সিংহ নিংগেীজম কেল্লার যে-অংশটুকু ইটের দেওয়ালে ঘের ঠিক তার বিপরীত দিকে খড়ের চালাযুক্ত নাতিবৃহৎ রাজপুরী আর এক রশিমাত্র ব্যবধানে মণিপুর-রাজবংশের ইষ্টদেবতা গোবিন্দজীর ইষ্টকে নিৰ্ম্মিত মন্দির আর তৎসংলগ্ন নাটমণ্ডপটি অবস্থিত । দেউলের ফাটলধর দেওয়াল থেকে চূণ বালি থ’সে পড়ছে, আর যে-মুবম্য নাটমন্দির একদা নানা উৎসবাদি উপলক্ষে নগরের শ্রেষ্ঠ নটীদের কণ্ঠসঙ্গীতে মুখরিত হয়ে উঠত, আজ পারাবতের কৃজন সেখানকার নিবিড় শুন্ধত ভঙ্গ করছে। এই পরিত্যক্ত রাজপুরী, ভগ্ন জীর্ণ শ্রহীন দেবমন্দির আর নাটমণ্ডপ আর সুগভীর পরিখাবেষ্টিত স্বরক্ষিত দুর্গ ইত্যাদি দেখে, খজেনবা, গরীব নেওয়াজ, গম্ভীর সিংহ, চন্দ্রকীৰ্ত্তি প্রভৃতি স্বাধীন মণিপুরী নৃপতিদের আমলে ইম্ফল নগরীটি যে কিরূপ সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল, তা কতকটা অীচ করতে পারা যায় । প্রাচীন রাজপুরী থেকে প্রায় সিকি মাইল দূরে