পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈজ নিত্যকালের কল্পলোকবাণী কবি অরুণ অগ্রসর হইয়া আসিল । উমা তাহার হৃদয়ে বেদনা দিয়াছে। উমা তাহার জীবনের কল্যাণী শক্তি । বেদনার অপূৰ্ব্ব রহস্তকে অরণ অনুভব করিল। অশ্রদ্ধন দুঃখের রহস্তলোকের দ্বার উদঘাটিত হইয়া গেল। পৃথিবীর সকল দুঃখীর সহিত সমবেদনায় অন্তর ভরিয়া উঠিল। এক বৎসর পূৰ্ব্বে অরুণ দেহ-মনে নবজাগ্রত যৌবনের যে সহজ উল্লাস অনুভব করিত সে নিছক আনন্দময় অনুভূতি আর হয় না, শরতের জ্যোংস্কাগুভ্র রাত্রে যৌবনের মত্ততা লাগে বটে, সে মত্তত বসন্তের রক্তিম উচ্ছ্বাস নয়, হেমস্তের অশ্রঘন কুঙ্কটিকাময়। তাহার দ্বৈত-জীবন সুস্পষ্ট হইয় উঠতে লাগিল । প্রতিদিনের-জানা কলেজে-পড়া সহজ অরশ ইউরোপের ইতিহাস, শেক্সপীয়ারের ম্যাকবেথ মুখস্থ করে, প্রতিমাকে লইয়া বেড়াইতে যায়, বাণেশ্বরের সহিত তর্ক করে, জয়ন্তকে সাংসারিক পরামর্শ দেয়, বন্ধুদের লইয়া দল বাধিয়া পিক্‌নিক্‌ করিতে বাহির হয়। সহসা এক অজানা অরশ আসিয়া সম্মুখে সাড়ায়। পূৰ্ব্বে সে ছিল প্রেমিক, কবি, উদাসী, ভাববিলাসী। এখন সে বলে, আমি দুঃখের সাধক। জীবনে দুঃখের অর্থ, সার্থকতা কি বলিতে পার ? বন্ধুরা দেখে, হঠাৎ অরশ অঙ্কমনস্ক হইয়া কি ভাবিতেছে। তাহার প্রফুল্ল স্বন্দর মুখ ব্যথিত, করুণ । অরুণের মস্তিষ্কে বিভিন্ন নদীস্রোতের মত দুইটি ধারা প্রবাহিত হইয়া চলে। প্রতিদিনের সহজ স্বাভাবিক অনুভূতিগুলির পাশ দিয়া তাহাদের অতিক্রম কবিয়া প্ৰেমবিহ্বল সত্যানুসদ্ধিংস্থ আত্মার চিন্তাধারা ভাকিয়া বাকিয়া চলিয়া যায়। চিন্তাম্রোতের ঘূর্ণাবর্তে সে মাঝে মাঝে দিশাহার <èql veó I কেন এ জীবন ? কেন এ সংগ্রাম ? কেন এত দুঃখ ? চলিতে চলিতে সে পথের কোন মোড়ে থামিয়া যায়। ট্রাম, মোটর গাড়ী, গরুর গাড়ী, জনস্রোত—এই জীবনধারা उांशंद्र मिकई ८ठांछवांछेौद्र भट थगैौक भन्न क्षा । ८झन ইহার পিছনে জার একটা জীবন রহিয়াছে। সেই অদুগু বিকশমান প্রাণশক্তিকে সে দেখিতে চায়। যখন সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করিত তখন জীবনের অর্থ সহজেই খুজিয়া 例 چ6«-سسه: o « औषमांझम ՆաՆՖ পাইত। মায়ের হাত ধরিয়া চলিতে চলিতে ভিড়ে মাকে হারাইয়া ফেলিলে, অজানা পথে শিশু যেমন অসহায় ভাবে দিশাহারা ঘুরিয়া কাদিয়া বেড়ায় তেমনি অক্ষণের পথহার আত্মা কাদিয়া ওঠে। অন্ধকার অনন্ত আকাশের দিকে চাহিয়া প্রশ্ন করে, বোবা আকাশ কোন উত্তর দেয় না। আকাশ হইতে উত্তর পায় না বটে, কিন্তু নীলিমার অপরূপ লাবণ্যে অস্তর স্নিগ্ধ হয়। বিশ্বপ্রকৃতির সৌন্দর্ষ্যরূপ দর্শনে বিমুগ্ধ হইয়া যায়। প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম ছিল বলিয়া জরুশ বঁচিয়া গেল, নহিলে হয়ত সে পাগল झल्लेग्न शाहेङ । শুধু প্রকৃতির রূপদৰ্শন নয়, প্রকৃতির স্পর্শ অনুভব করা চাই। বৃষ্টির দিনে সে ভিজিতে ভিজিতে পখে চলে ; প্রখর রৌদ্রে ছাটিয়া কলিকাতা হইতে বাহির হইয়া মুক্ত ধান্তক্ষেত্রের পাশ্বে গিয়া বসে। জ্যোৎস্নারাত্রে ছাদের উপর অনাবৃত দেহে গুইয়া থাকে। প্রকৃতি তাহার অতি নিকট অতি প্রিয় হইয়া উঠিল। ( כיס\ ) শীতের রাত্রি কুহেলিকাময়। চাদের আলো কুঙ্কটিকার মধ্যে মিশিয়া গিয়া চারি দিকে অস্পষ্টতা, আবছায়ার স্বটি করিয়াছে। স্তন্ধ, স্বশীতল, মায়াময় রাত্রি । ডিনারের সময় অত্যধিক মদ্যপানের ফলে শিবপ্রসাদ অঘোরে ঘুমাইতেছিলেন। মধ্যরাত্রে অত্যন্ত জলপিপাসায় ঘুম ভাঙিয়া গেল। এক গেলাস ঠাণ্ড জল তাড়াতাড়ি পান করিয়া তিনি ঘরের সন্মুখের বারামায় বাহির হইলেন। শত করিতে লাগিল। কিন্তু ড্রেসিং-গাউনটা খুজিয়া পরিবার উৎসাহ নাই । কুঙ্কটিকাচ্ছন্ন নিশীথিনী অবগুষ্ঠিত নারীর মত। আইয়োনিক থামগুলি রাত্রির শুভ্রতায় মিশিয়া গিয়াছে। বারান্দার ইজিচেয়ারে শিবপ্রসাদ গুইয়া পড়িলেন। চোখে স্বল্প ঘনাই আলি। অতীত জীবনের স্বমন্নুর স্মৃতি স্বপ্নরূপে আসিল । শিবপ্রসাদের মনে হইল, এ রাজি স্থইজারল্যাণ্ডের তুষারগুন্ত্ৰ শতের রাজি। পালিয়ের বরাদার সেজন্ড়ে তিনি গুইয়া আছেন। পৃথিবীভরা গুঞ্জ তুষার-বক্তার উপর