পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

boషాట్ర প্রবাসী SN98R হউক না কেন, তাহাত ক্ষতি কি ? ভারত-গবন্মেটি এইরূপ আদর্শ গৃহস্থ । কোয়েটার ব্যয় রাজস্ব পচিব ধiিয়াছেন কোয়েটার সরকারী, সামরিক ও অসামরিক ঘরবাড়ী পুননিৰ্ম্মাণের মোট ব্যয় সাত কোটির উপর হুইবে । বস্তুভ নয় কোটিরও অধিক হইবে । কাজ শেষ হইতে ৭৮ বৎসর লাগিবে । বৎসরে ১ কোটি টাকা করিয়া খরচ হুইবে । ইহা অত্যন্ত বেশী । সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের ২৮ কোটি লোকের শিক্ষার জন্য গবষ্মেন্ট ১৯৩৪ সালে মোট ১১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা খরচ করিয়াছিলেন । আর কেবল একটা যুদ্ধের ঘাটি শহরের জন্য ৯ কোটি খরচ করিবেন ! গ্রাম অঞ্চলের পুনর্গঠন গত বৎসর ভারত-গবন্মেণ্ট সমগ্র ত্রিটিশ ভারতবর্ষের গ্রামসমূহের পুনর্গঠনার্থ এক কোটি টাকা মঞ্জুর করিয়াছিলেন ; এবারও ঐরপ একটা কিছু করিয়াছেন । গত বৎসরের দান সম্বন্ধে সবু ডানিয়েল হ্যামিণ্টন গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলিকাতার মহাবোধি হলে একটি বক্তৃতায় বলিয়াছিলেন – While we heartily appreciate this friendly gesture of the Government of lndia, and are very grateful indeed for it as a sirst instalment which we trust will be repeated, I hope liis Excellency will not accuse me of looking a gift horse in the mouth when I draw attention to the fact that one crore of rupees divided among thirty crores of needy people is only two pice, or one halfpenny. per head, which will not go far in reconstructing either a down-and-out Scotsman or a down-on-his luck Bengali “brither.” To reform a man you have to begin at his grandmother, in which case, three generations, hence, the two pice will Jmount to only two rupees in the year 2000; and, if something bigger is not forthcoming, the down and out may be dead long before then, even if he does not waste the two pire in riotous living. আমাকে সরু ডানিয়েল হাৰিণ্টনের এই বক্তৃতাসভায় সভাপতির কাজ করিতে হইয়াছিল। প্রত্যেকের বার্ষিক ছুই পৃষ্ঠা আয় বাড়িলে তাহ উচ্ছম্বলভাবে জীবন যাপনে ব্যয়িত হইতে পারে, উাহার এই উক্তির মধ্যে যে উীক্ষু বাণ আছে, তাহা শ্রোতৃবর্গ যাহাতে উপলব্ধি করিতে পারেন, ভগ্নিমিত্ত আমি সভাস্থলে বলিয়াছিলাম, যে, ত্রযুক্ত সতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত ‘রাজশাহী জেলার আত্রাই অঞ্চলে বাড়ী বাড়ী গিয়া অনুসন্ধান পূৰ্ব্বক [প্রবাসীতে ] লিখিয়াছেন, যে, তথাকার রায়তদের বাৰিক আয় মাথাপিছু ১৪ হইতে ২৮ টাকা। এই কথা শুনিয়া লেডী হামিণ্টনের চক্ষু বিস্ময়ে বিস্ফারিত হইয়াছিল। সামরিক ব্যয় ও বঙ্গের প্রতি ভাবিচার আমরা অনেক বার লিথিয়াছি, আবার লিখিতেছি, ভরত-গবন্মে ণ্ট বাংলা দেশ হইতে জন্য প্রত্যেক ওংেশ অপেক্ষা বেশী রাজস্ব আহরণ করেন। ভারত-এ বাল্পন্টির যে-ধে বিভাগে যত যত ব্যয় হয়, তাহাতে ভারতবর্ষের প্রত্যেক প্রদেশের লোকদের উপকৃত হুইবার স্থায়সঙ্গত অধিকার আছে—বাংলা বেশী টাকা দেয় বলিয়া বাংলার খুব বেশী অধিকার আছে। কিন্তু সামরিক বিভাগের জন্য ব্যয় অন্য সকল বিভাগ অপেক্ষা বেশী হইলেও, এই বিভাগ হইতে বাঙালীর বেতনাদি বাবতে অতি সামান্য টাকা পায় । বাঙালী সিপাহী ও অফিসার নাই বলিলেই চলে, সামন্ত অল্পসংখ্যক বাঙলী কেরাণী হিসাবরক্ষক প্রভূতির কাজ করে। সৈন্তদলের গুন্ত আবশ্যক সাজসরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্যাদিও বাংলা দেশ হইতে ক্রীত হয় না বলিলেই চলে । যেহেতু, যে-কারণেই হউক, যোদ্ধাদের মধ্য বাঙালীর স্থান হয় নাই, সেই জন্য সামরিক বিভাগের বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য অসামরিক বিভাগে খুব বেশী পরিমাণে বাঙালী কৰ্ম্মচারী লওয়া উচিত। তাৰু, গাড়ী, রসদ প্রভৃতিও বাংলা দেশ হইতে প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করা উচিত। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিভীষিক কয়েক বৎসর ধরিয়া লীগ অব নেশুন্সের একটা আলোচনার বিষয় ছিল কেমন করিয়া শক্তিশালী দেশ-সকলে রণসম্ভার কমান যায়। তাহার ফলে কাহারও রণসম্ভার কমে নাই । রণসম্ভার তাহাদের সকলেরই বাড়িয়াছে— অবগু ঐ আলোচনার ফলেই বাড়িয়াছে বলিতেছি না। ব্রিটেনের খুব বাড়িয়াছে ও বাড়িতেছে। তাহার টাকা আছে—বাড়িতে পারে। কিন্তু ভারতবর্ষের নূতন ব্রিটিশ প্রধান সেনাপতি বলিয়াছেন, ভারতবর্ষেরও—দরিদ্র ভারতবর্ষেরও—সামরিক ব্যয় হ্রাস পাওয়া দূরে থাকৃ, আরও বাড়িবে। ইহাতে ভারতীয়েরা পুলকাধিক্যে মূৰ্ছিত হয় নাই। ইনকামৃ ট্যাক্স ও ডাক মাশুল ভারত-গবন্মেন্টের তহবিলে উদ্ধৃত্ত হুইবে বলিয়া গ্রাম পুনর্গঠনের জন্ত টাকা দেওয়া হইবে, আগে বলিয়াছি। আরও কিছু কিছু স্ববিধা কতকগুলি লোক পাইবে। এক হাজার টাকা হইতে ছু-হাজার যাহাদের বার্ষিক আয় তাহাদিগকে ইনকাম ট্যাক্স হইতে নিস্কৃতি দেওয়া হইয়াছে ।