পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0سوه' সেতুহীন নদী পার হইয়া আদিয়া হৃদয়ের দ্বরে আঘাত করিতেছে । বিজন জিজ্ঞাসা করিল, অবস্থা রে ?” “আসার পথে দেখিস নি ? আর দেখলেই বা চিন্‌ৰি কি ক’রে ? সে ত এখন বাবলা-বন । সেই ষে দেশ ছাডুলি, আর ত এ-মুখো হ’ল নে!” বিজন কথা কহিল না । সকালে যখন বিজনের ঘুম ভাঙিল, তখন রৌদ্রে চাfর দিক ভরিয়া গিয়াছে। ভাল করিয়া চারি দিকে তাকাইয়া দেখিয়া ধিক্তন দীর্ঘশ্বাস ফেলিল। মুনিপুণ গৃহস্থালী দারিদ্র্যর সকল চিহ্ন ঢাকিতে পারে নাই । কিন্তু ম্যাট্রিক-পাস থোড়া স্কুল-মাষ্টারের ইহার চাইতে ভাল লক্ষ্মীর দাবি কিছু থাকিতে পারে না । সেদিন রবিবার। বিজনকে সঙ্গে লইয়া অবিনাশ গ্রাম দেখাইতে বাfহর হইল । পরিচিত, অৰ্দ্ধপরিচিত অনেকের সঙ্গে অলিপি সমাধা করিয়া যখন ফিরিল তখন বারোটা বাণ্ডিয়া গিয়াছে । অবিনাশ বলিতেছিল, “আমাদের হেডমাষ্টার-মশায়ের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব, বিন্ধু, দেধিস্ কি রকম জ্ঞানী লোক । বি-এ পাস, বছর চল্লিশ বয়েস হবে, কিন্তু বিপ্তের গাছপাথর নেই। আলাপ ক’রে খুশী হবি।” বিছন অন্তমনস্কভাবে বলিল, *আচ্ছা ।” সারাজীবন যে স্কুল-মাষ্টার অজ পাড়াগায়ে জীবন কাটাইয়া গেল, বি-এ পাস হেড-মাষ্টার ধে তাহার কাছে জ্ঞান ও বিস্তার আদর্শ হইবে তাহাতে অবাক হুইবার কিছু নাই । আহারাদি শেষ করিয়া উঠিতে প্রায় দুপুর গড়াইয়৷ গেল । বিকালের দিকে বিজন কহিল, “হ্যা রে, নদীর ওপারে সেই ষে সাওতালদের কি একটা গা আছে না, নাম ভুলে যাচ্ছি।” “লক্ষ্মীপুর ?” “ধ্য লক্ষ্মীপুর। এখনও তেমনই আগের মত ফিটফাট পুভুলের বাড়ি আছে ?” “আমাদের ভিটেটার কি

  • ং প্রবান")ৰ

SNー8ミ. “চলু না ঘুরে আসা যাক ?” “তোর কষ্ট হবে না ত:?” “খোড়া পায়ের কথা ভাবছিল? এই পা নিয়ে পাহাড়ে উঠেছি জানিস্ ?” পাহাড় মানে প্রায় চারতলা-সমান উচু একটা মাটির ও পাথরের ঢিবি । “তবে চল।” ছোট্ট পাহাড়ে নদী। এখন জল নাই বলিলেই হয । অনেকখানি বলির চর পার হইয়া কোন রকমে পায়ের গোড়:fল ভিজানো ধার এমন নদী। কিন্তু কি পরিষ্কার জল ! তলার ছোট পাথরের টুকরাগুলিই বা কি সুন্দর । আশপাশে বালির উপর গর্ত খু’ড়িয়া কাহারা যেন খাবার জল লইয়া গিয়াছে। -> এ-সবই ছেলেবেলার কথা মনে পড়াইয়া দেয়। নদীর ওপারে আবার দীর্ঘ বালির চর। কত দিন নদী পার হইয়৷ ওপারে গিয়া সেই ষে ঝি"ঝিপোকার মত দেখিতে, বালির নীচে সুড়ঙ্গ খুড়িয়া থাকে, তাহদের গোটাকতক বাহির করিয়া লড়াই বাধাইয়া মজা দেখিয়াছে । - সমস্ত সেদিনের কথা বলিয়া মনে হয় । ছবির মত তক্তকে ঝকঝকে ছোট ছোট বাড়ি, খেলাঘরের পুকুরের মত গোটা তিন-চার পুকুর, এই লইয়া সাওতালদের গ্রাম । দুটি জিনিষ বিজনের চোখে নুতন ঠেকিল, সেটি মিশনরীদের বাংলে। আর ছোট্ট একটি মিশনরী স্কুল । - রাত্রে বিজন ককিল, “অবিনাশ কাল ত যেতে হয়।” . অবিনাশ যেন কথাটা ঠিক বুঝিতে পারিল না। কহিল, “যেতে হয় ? তার মানে P ! - “মানে, আর ত কাজ কামাই করা চলে না ।” “ক্ষেপেছিল, এর মধ্যে কি যাবি ? যেতে দিলাম अiच्न कि ?” * - কিন্তু বুঝিতে হইল সবই । তবুও বিজনকে ছাড়িয়া দিতে অবিনাশের মন সরিতেছিল না। মিনতিভর কণ্ঠে कfझ्ण, “बूदि ८ब्र भव, क्ढ़ि यांcब्र बझद्र यांtन ७भनहे इठां९ তোর সঙ্গে দেখা—তার পরে এত সহজে ছেড়ে দি কি ক’রে বল ত ?” ফলে বিজনকে আর একদিন থাকিতেই হইল।