পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ চিত্রে রুশ-বিদ্রোহের ইতিহাস وتلامسوا এক গুপ্তঘাতকের বোমায় নিহত হন । ইহার ফলে পরবর্তী জর তৃতীয় আলেকজান্দার সমস্ত বিদ্রোহী এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলনকারী:দিগকে বন্দী ও নিৰ্ব্বাসিত করেন এবং নিষ্ঠুর হস্তে দেশশাসন করেন । ইহার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় নিকোলাস রাজ্যভার গ্রহণ করেন এবং প্রধান মন্ত্রী আরকড়িভিচ ষ্টেtfলপিনের মন্ত্রণায় কঠোরভাবে দেশের স্বাধীনতাকামীদের কণ্ঠ রোধ করেন । দ্বিতীয় নিকোলাস অত্যন্ত দুৰ্ব্বলচিত্ত, অস্থিরমতি ও স্ত্রৈণ ছিলেন । কখনও কখনও প্রজাদের মঙ্গলের চেষ্টা তিনি করিতেন ; প্রজাদের দাবি-অনুযায়ী "মা’ বা পালিয়ামেণ্টও তিনি স্থাপন করিয়াছিলেন, কিন্তু মন্ত্রীমণ্ডল ও সম্রাজ্ঞীর পরামর্শ পুনরায় ডুমার সমস্ত ক্ষমতা কীড়িয়া লইয়া নিজের খেয়ালমত রাজ্য পরিচালনা করেন । ১৯০৫ সালের বিদ্রোহ ১৯০৪-৫ সালে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ জনসাধারণ প্রথম প্রকাশ্যে নিজেদের অভিযোগ ব্যক্ত করিবার সাহস সঞ্চয় করে । এই সময়ে রুশ-জাপান-যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হওয়ায় জনসাধারণ জারের উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়, দেশে দারুণ অল্পকষ্ট হয়। এই অসন্তোষ প্রকাশ্যে ব্যক্ত হয় লেনিনগ্রাডের পিউটিলোভ লৌহকারখানায় । এখানে শ্রমিকগণ একসঙ্গে ধৰ্ম্মঘট করে। ২২শে জানুয়ারি, রবিবার গেপন নামে জনৈক ধৰ্ম্মগুরু এক বিরাট শোভাযাত্রায় ঐ সব শ্রমিক ও অসন্তুষ্ট জনতা পরিচালনা করিয়া জার নিকোলাসের কাছে প্রজাদের অভাব-অভিযোগ জানাইয়া একটি দরখাস্ত লিথিয় “উইন্টার প্যালেস” প্রাসাদ অভিমুখে যাত্রা করেন। কিন্তু সম্রাট এই নিরস্থ শাস্ত জনতাকে বিপ্লবী দল বলিয়া ভুল করেন এবং ইহাদের উপর উইন্টার প্যালেসের সামনে নিৰ্ব্বিচারে গুলি চলে। চিত্রের লার্ভ ট্রায়াম্যাল আর্কের ( বিজয়-তোরণ) কাছে r গেপন গুরুতর ভাবে আহত হন । এই রবিবার রাশিয়ার ইতিহাসে ‘রক্তাক্ত রবিবার” ( Bloody Sunday ) নামে অভিহিত। এই হত্যার ফলে রাশিয়ার চতুদিকে বিপ্লবানল জলিয়া উঠে, কিন্তু শক্তিমান জারের প্রবল প্রতাপে উহা নিৰ্ব্বাপিত হয়। প্রজাদের শক্তি ও মানসিক অবস্থা বুঝিয়া দ্বিতীয় নিকোলাস প্রজাদের পূর্ণপ্রতিনিধিত্বমূলক পাৰ্লিয়ামেন্ট বা ডুমা’ স্বষ্টি করেন, কিন্তু তাহার পত্নী আলেকজান্দ্র কিওডোরভ না প্রজাদিগকে কোনো প্রকার সুবিধা না দিতে স্বামীকে উৎসাহিত করিতেন ও কঠোর হস্তে প্রজীপালন করিতে উত্তেজিত করিতেন । ইহাতে সমাট ও সম্রাজ্ঞীর উপর প্রজাবৰ্গ ও মন্ত্রীমণ্ডল ক্রমশঃ অসন্তুষ্ট হইয়া উঠিতে লাগিল । - গ্রিগরি রাসপুটিন ( ১৮৭৩-১৯১৬ ) ঠিক এই সময়ে বিশ্ববিখ্যাত রাসপুটিন কুগ্রহের মত রাশিয়ার অদৃষ্টাকাশে উদিত হইল। সাইবেরিয়ার এক ধীবর-পরিবারে ১৮৭৩ সালে ইহার জন্ম। সারা যৌবন ১৯০৫ সালের বিদ্রোহের একটি দৃপ্ত লাম্পট্য ও নানা অত্যাচারে অতিবাহিত করিয়া প্রৌঢ়াবস্থায় রাসপুটিন ধৰ্ম্মগুরুর মুথোস পারে। ইহার একটা ঐশ্বরিক বা সন্মোহন শক্তি সম্বন্ধে সকলেই একমত ; অতি তীব্র বিষেও রাসপুটিনকে হত্যা করিতে পারে নাই, এমন কি গুলি থাইয়াও রাসপুটিন পলাইবার চেষ্টা করে । রাসপুটিন তাহার