পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকোলাই লেনিন আইনকানুনের নাগপাশ হইতে মুক্ত মনে করিয়া মত্ত হইয়া উঠিল । মার্চ মাসেই শ্রমিকদলের নির্বাসিত শক্তিমান নেতা নিকোলাই লেনিন সুইটজাল্যাণ্ড হইতে দেশে ফিরিয়া আসেন। লেনিনের জন্ম ১৮৭০ সালের ১০ই এপ্রিল ; তাহার আসিল নাম ভূ ডিমির ইলিচ উলিয়ানভ । লেনিন তাহার ছদ্মনাম । সিমব্রিস্ক গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে লেনিনের জন্ম ; তাহীর পিতা স্কুল-ইনস্পেক্টর ছিলেন । ১৮৮৭ সালে তৃতীয় আলেকজান্দারের হত্যা-সম্পর্কে সন্দেহক্রমে লেনিনের বড় ভাইয়ের ফাঁসী হয় । এই আঘাত লেনিনকে বিদ্রোহী করিয়া তুলিল। তিনি বিদ্রোহের অভিযোগে কাজনের বিশ্ববিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত হন । ইহার পর নানা ভাগাবিপর্য্যয়ের মধ্য দিয়া লেনিন লগুনে আসেন। লগুনেই সোঙ্গাল ডেমোক্র্যাটুদের সভায় মতভেদ হয় এবং নরম ও চরম পন্থী হিসাবে মেন-শেভিক ও বলশেভিক ७छे छुन्ने नtग नएडाव्रां दिङख् छ्हेग्न धांग्र । ८णनिन 离 So, ংগ্রীবাচনী ; SNご8ー。 বলশেভিক দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। মহাযুদ্ধের সময় তিনি জেনিভায় ছিলেন এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বের শ্রমিক দলকে উত্তেজিত করেন । ইহার ফলে পরে জাৰ্ম্মান রাজ্যের মধ্য দিয়া ও জাৰ্ম্মেনীর সাহায্যে তিনি দেশে ফিরিভে সমর্থ হন । রুশীয় বিদ্রোহের সময়ও জাৰ্ম্মেনী অর্থ ও লোক বল দিয়া লেনিনকে সাহায্য করে, কারণ তাহার। ভাবিয়ছিল অন্তর্বিপ্লব বাধাইয়৷ শত্রুপক্ষের একটি মহাশক্তিকে তাহীরা ধ্বংস করিতে সমর্থ হইবে । লেনিনও জাৰ্ম্মেনীর অর্থসহাণ্য বিনাদ্বিধায় গ্রহণ করিয়া এক ধনতান্ত্রিক দেশের অর্থে অন্ত ধনতান্ত্রিক দেশের সর্বনাশের চেষ্টা করিতেছিলেন । লেনিন ১৯১৭ সালের ১লা জুলাই পভিশুনাল গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধ বিদ্রোহের চেষ্টা করেন, কিন্তু তখনও দেশের সম্পূর্ণ জনমত ও সৈন্তবাহিনী তাহার সপক্ষে না থাকায় ও কমিউনিষ্ট মতবাদ গ্ৰহণ না করায় তিনি ব্যর্থকাম হন এবং ফিনল্যাণ্ডে পলাইয়া গিয়া আত্মরক্ষণ করেন। পুনরায় তিনি অক্টোবর মাসে ফিরিয়া আসিয়া দেশবাসীকে ও সৈন্যদলকে প্রভিশ্যনীল গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিয়া বিদ্রোহ ঘোযণা করেন ও পেট্রোগ্রাড় শহরের প্রধান প্রধান সরকারী দপ্তরখানা আক্রমণ করিয়া দখল করিয়া লন । ৬ই নভেম্বরের মধ্যে প্রায় সমস্ত পেট্রোগ্রাড শহর বলশেভিকদের দখলে আসে। প্রভিশ্যনাল গভর্ণমেণ্টের পতনের পর ক্রমে সমগ্র রাশিয়া বলশেভিকদের করতলগত হয় ; তাহারা নিৰ্ম্মমভাবে বিরুদ্ধবাদীদের কণ্ঠ রোধ করিয়া দেশে শাস্তিস্থাপনের চেষ্টা করিতে লাগিল । জেনারেল র্যাঙ্গেল কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়ার নানা দিকে শক্তিশালী ভূতপূৰ্ব্ব সেনাপতিদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ দেখা দিল । ব্রিটিশ, আমেরিকান, ক্যানাডিয়ান ও অন্তান্ত ধনতান্ত্রিক দেশী সমাজতন্ত্রী রাশিয়ার এই অভু্যত্থানকে সুচক্ষে দেখিল না, তাহারা সৈন্ত ও অর্থ দিয়া বিদ্রোহী সেনাপতিদিগকে সাহায্য করিতে লাগিল । এই সমস্ত বহিঃশত্রুর বা তাহাঁদের সাহায্যে গুপ্তভাবে পরিচালিত সৈন্তদলের আক্রমণে একদিক দিয়া বলশেভিক দলের খুব লাভ হইল ।