পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ চিত্রে রুশ-বিদ্রোহের ইতিহাস 4 سty দেশের যে সম্প্রদায় ইহুদিগের বিরোধিতা করিতেছিল তাহারাও বহিঃশত্রুর আক্রমণের সময় স্বদেশবাসী বলশেভিক দলকে সাহায্য করিতে লাগিল। দক্ষিণপূৰ্ব্বে কদাক সৈন্তের ও চেকোশ্লোভাক সৈঙ্গের প্রথম বলশেভিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে । জেনারেল আলেক্সিভ, জেনারেল ক্র্যাশনেভি এবং তাহার পর জেনারেল ডেনিকিন এই সব বিদ্রোহী সেনাদলের নেতৃত্ব গ্ৰহণ করেন ও ১৯১৯ সালের জুন হইতে অক্টোবর মাসের মধ্যে থারকেfভ, পেলিটাভা প্রভৃতি শহর দখল করিয়া লন এবং নভেম্বরের মধ্যে মস্কো পৌছিবার আশা করেন । কিন্তু ইহfরা জার-রাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিতে ইচ্ছুক জানিতে জেনারেল র্যাঙ্গেল পারিয়া দেশের লোকে এই দলকে সাহায্যের পরিবর্তে বাধা দিতে থাকে, ফলে বলশেভিক সৈন্তদলের সংঘাতে ও দেশবাসীর বিরোধিতায় ইহার পরাজিত হন। ইহাদের অবশিষ্ট সৈন্তদলকে সঙ্ৰবন্ধ করিয়া ১৯২০ সালের বসন্তে জেনারেল র্যাঙ্গেল ক্রিমিয়া দখল করিয়া নিজেকে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করিলেন বটে, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই বলশেভিক দল কর্তৃক বিতাড়িত হন । ১৮৭৯ সালে পেট্রোগ্রান্ডে ইহার জন্ম । ইহার পুরা নাম ব্যারণ পিটার র্যাঙ্গেল ; রুশ-জাপান-যুদ্ধে ও মহাযুদ্ধে ইনি সৈন্যচালন৷ করেন । উত্তর-পশ্চিম হইতে জেনারেল জুডেনিচ ১৯১৮ সালে ৩০,০০০ সৈন্তসহ পেট্রোগ্রাডের দিকে অগ্রসর হন এবং অনেক জায়গা দখল করেন, অবশেষে টুটুম্বীর বিরোধিতায় পরাজিত হন। বিদেশী শক্তিগুলি শুধু গুপ্তভাবে সাহায্য করিয়াই ক্ষস্তি হয় নাই । আমেরিকান, ব্রিটিশ, ক্যানাডিয়ান ও অন্তান্ত শক্তিসমূহ সমবেত ভাবে উত্তর দিক হইতে ভীষণ ভাবে বলশেভিক রাশিয়াকে আক্রমণ করে এবং ব্রেজনিক পৰ্য্যস্ত অধিকার করিয়া লয়, কিন্তু শেষপৰ্য্যন্ত ইহারাও বলশেভিক সৈন্তের কাছে পরাজিত হয় । পুৰ্ব্বদিক হইতে য়্যাডমিরাল কে'লচক মিত্ৰ-শক্তির সাহায্য লইয়া সমগ্র সাইবেরিয়া দখল করিয়া মস্কার দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন, কিন্তু দেশের লোকের সহানুভুতি না পাওয়ায় অবশেষে কোলচকের ও পরাজয় ধটে । এই ভাবে বলশেভিকদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিধান ব্যর্থ হওয়ায় তাহারা রুশিয়ার একচ্ছত্র প্রভুত্ব লাভ করে । রুটার জন্য অপেক্ষানিরত ক্ষুধাৰ্ত্ত রাশিয়াবাসা কিন্তু বলশেভিক-শাসনে দেশের অন্নাভাব ঘুচিল না, বরং ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিল । বলশেভিকরা প্রত্যেকের খাদ্যের একটা মাপকাঠি নির্দিষ্ট করিয়া দিল Universal rationing ), কিন্তু ক্রমশ: দেখা গেল অজন্ম ও বিশৃঙ্খলার জন্ত নিদিষ্ট খাদ্যও মিলিতেছে না । সরকারী খাদ্যশালায়, কুটির দোকানে দলে দলে লোক রুটির জন্য অপেক্ষা করিত ; সব সময় অপেক্ষা করিয়াও রুটি মিলিত না । গ্রামে কৃষকদের অবস্থা আরও শোচনীয় হইল ; তাহারা প্রথমে আশ্বাস পাইয়াছিল জমি তাহদের হইবে, কিন্তু এখন দেখিল যে বলশেভিকরা তাহদের উৎপাদিত শস্ত বাজেয়াপ্ত করিতেছে । প্রথম প্রথম সরকারী হিসাব অনুযায়ী কৃষকদের খাদ্যের মত শস্ত বাদ দিয়া উদ্বৃত্ত শস্ত বাজেয়াপ্ত করা হইত, ইহাতে কৃষকেরা কেবল থাইবার মত শস্তই