পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ छूर्छि సెs রিপোর্ট মত রাশিয়ার শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতিকল্পে একটি পঞ্চদশ-বার্ষিকী কাৰ্য্য-পদ্ধতি ( Plan ) গৃহীত হয় । ইহা গোয়েল রো’ নামে খ্যাত। এই কাৰ্য্যপদ্ধতির সাফল্য দর্শনে ১৯২৭ সালে ষ্টালিন দেশের সমস্ত বিষয়ের উন্নতির জন্ত একটা পঞ্চবার্ষিকী কাৰ্য্যপদ্ধতি গ্রহণ করেন । এই কাৰ্য্য-পদ্ধতিতে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি, যানবাহন এবং শিক্ষা সংস্কৃতি প্রভৃতি সব কিছুর উন্নতির পরিকল্পনা গৃহীত হয়। প্রথমে সম্ভাবিত সাফল্যের পরিমাণের মাত্রা যথাসম্ভব কম ও বেশী ধরিয়া দুইটি রিপোর্ট তৈয়ারি হয় ও বেটিতে কম পরিমাণ ধরা ছিল সেটিকে ‘পঞ্চবার্ষিকী’ কাৰ্য্যতালিকা বলিয়া গ্রহণ করা হয় । পরে ১৯২৯ সালে সোভিয়েট কংগ্রেসে আলোচনীয় স্থির হয় যে, সবচেয়ে বেশী পরিমাণ ধরিয়া ষে রিপোর্ট প্রস্তুত হইয়াছে সেই কার্যক্রমটিই গ্রহণ করা উচিত এবং তাঁহাই করা হয় । যদিও পঞ্চবার্ষিকী কাৰ্য্যপদ্ধতি পাঁচ বৎসরে পুর্ণ হইবার কথা, কিন্তু উহা ১৯২৮ সালের ১লা অক্টোবরে আরম্ভ হইয়া ১৯৩৩ সালের জানুয়ারিতে অর্থাৎ চারি বৎসর তিন মাসে সম্পূর্ণ হইয়া যায় ও ১৯৩৩ সালে একটি “দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী কাৰ্য্যপদ্ধতি” রাশিয়া গ্রহণ করে । উহা ১৯৩৭ সালে শেষ হইবে I*

  • এই প্রবন্ধটা লেখকের “চিত্রে রুশ-বিদ্রোহের ইতিহাস” পুস্তকের অত্যন্ত সংক্ষিপ্তরূপ।

উক্ত পুস্তক রুশবিপ্লবের বিস্তুত বিবরণসহ আর্টপেপারে ৪৩ খানি চিত্র সম্বলিত হইয়। ৭ই বৈশাখ প্রবাসী কাৰ্য্যালয় হইতে প্রকাশিত इश्त । मूला ५• यांना भांज ! ছুটি ঐশাস্তা দেবী কাল গৌরীর ছুটি । কথাটা ভাবিতেও তাহার ভরসা হয় না । মেয়েমানুষের আবার ছুটি ! সে-সব বিয়ের মন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হইয়া গিয়াছে। মা থাকিতে তবু যাহা হউক মাঝে মাঝে তাহাকে টানিয়া-টুনিয়া কাদিয়া-কাটিয়া বীপের বাড়ি লইয়া যাইতেন, দুই চার দিনের জন্ত হাতের সাড়াশি খুস্তি ছাড়িয়া ঝাটা স্তাতার ভাবনা ভুলিয়া সে পাড়ার মেয়েদের গহনা কাপড় ও দেমীকের গল্প করিয়া মুখটা বদলাইয়া লইত । কিন্তু পোড়া অদৃষ্টে সে মুখ কয়দিনই বা সহিল ? বিবাহের পর দুই বৎসর না-মাইতেই মা স্বামীপুত্রের কোলে মাথা দিয়া মেয়েটাকে চিরকালের মত সংসারের আগুনে দগ্ধ হইতে ফেলিয়া দিয়া সতীলোকে চলিয়া গেলেন । যাইবার সময় নিজের সৌভাগ্যের কথাই বলিয়া গেলেন, মেয়েটার দুর্ভাগ্যের কথা একবার ভাবিলেন না । তখন ত গৌরীর বয়স মাত্র ষোল বৎসর, আর আজ তাহার ত্রিশ বৎসর বয়স হইতে চলিল। এই চোঁদ বৎসরের মধ্যে ছুটি কাহীকে বলে তাহা সে একদিনের জন্ত পরখ করিয়া দেখে নাই। স্বামী সওদাগরি আপিসে কাজ করেন ; রবিবরিট র্তাহার ছুটি । কিন্তু গৌরীর সেদিন দু-গুণ কাজ । হগুীয় ছয় দিন স্বামী শুধু জলস্ত ভাত ডাল ও মাছভাজ খাইয়া আপিস যান, সন্ধ্যায়ও ভাল বাজার করা থাকে না বলিয়া ঝোলট চচ্চড়িটার উপর আর কিছু হয় না। তাই রবিবার সকাল ন হইতেই তেলঙ্কৃতি পরিয়া গামছা-হাতে তিনি আপনি বাজারে বাহির হইয়া যান। গলদ চিংড়ি, গঙ্গার ইলিশ, দিশী কই, ট্যাংরা, ভেটকি, যখনকার যা মনের মত মাছ কিনিয়া আনেন । আবার রাত্রের জন্ত এক সের পঠিার মাংসও আসে । তরিতরকারির কথা ত না বলাই ভাল । কিবা তাহার এত দাম ? কাজেই বাজারে যা চোখে ভাল লাগে তাঁহাই তিনি তুলিয়া আনেন । এই স্বষ্টির রান্না দুই বেলা বসিয়া বসিয়া করা কি আর কম কথা ? সাহায্য করিবার মধ্যে ত ওই চার টাকা মাহিনীর ঠিকা-বিটা ! ঘল