পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

איןזאיcs উইতে তু নিত্য লোকে পচিবীর চড়িতেছে । চার-পাঁচটা পয়সা খরচ করিলেই চড়া হয় । চন্দ্র, বিধুর মা, রাণীদিদি, সবাই ত ট্রামে চড়িয়া কত জায়গায় গিয়াছে। কিন্তু গৌরীর স্বামীর সবই অনাস্থষ্টি কাও। বলিলেই বলিবে, আয় মেমসাহেবী ক’রে পুরুষের গা ঘে"সে ট্রামে বসতে হবে না। তার পর কোন্‌ দন ত ঘাঘরা পরে নাচতে চাইরে " ছিরির কথা শুনিলে হাড়ের ভিতর পর্য্যন্ত জলিয়৷ বায়। বিশ্বসংসারে এত মেয়ে ট্রামে চলিতেছে, কৰ্ত্তার নিজেরই ত মাসতুতো বোনের রোজ ট্রামে চড়িয়া পুরুষের কলেজে পড়িতে যাইতেছে, তাহারা সবাই যেন নাচিবার ঘাঘরা ফরমাস দিয়া আসিয়াছে। আর নাচের কথাই যদি বল, তাইবা আজকাল বাদ যাইতেছে কোথায় ? গৌরীরই না-হয় তের বৎসর বয়সে মাথায় ঘোমটা তুলিয়া ঘরে শিকল দেওয়া হইয়াছিল ; এখনকার সব কুড়ি বছরের বুড়ীরা ত শুনি নাচ দেখাইয়া বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করিতেছে । বীরদের ত তাহাই পছন্দ। ক'টা মেয়ের জাত গেল তাহাতে । অদৃষ্ট বলিয়া একটি জিনিষ নিশ্চয়ই আছে । না হইলে গৌরীর বা তের বৎসরে বিবাহ হইল কেন, আর ইহাদেরই বা কুড়ি-বাইশ বৎসর পর্যন্ত এত আনন্দে অবাধ স্বাধীনতার ভিতর দিন কাটিতেছে কেন ? বড় একটা বারকোশে করিয়া ময়দ মাখিতে মাখিতে ও লেচি কাটিতে কাটিতে গেীরীর মাথার ভিতর দিয়া এত চিন্তা জলস্রোতের মত বহিয়া যাইতেছিল। বাবুরা দুই ভাই ও ছেলেমেয়ের রোজই রাত্রে রুটি থান, তাছাড়া কাল সারাদিনের ছুটি পাইতে হইলে আজ হইতেই বাড়িমৃদ্ধ লোকের সারাদিনের রসদ জোগাইয়া রাখিতে হইবে, এ ত জানা কথা । গৌরী ঠিক করিয়াছে সের দেড়েক ময়দার লুচি নরম করিয়া ভাজিয়া ও এক থোরা আলুর দম রাধিয়া ধাম ও শিল চাপা দিয়া রাখিয়া যাইবে, তাহতেই কালকের দুটাে বেলা চলিয়া যাইবে । বুড়ী শাশুড়ীর জন্তই ষা ভাবনা, একে দ্বীত নাই, তাহাতে চোখ দুইটি প্রায় অন্ধ ; বালি লুচিও চিবাইতে পারবেন না, নিজেও হাত-পা নাড়িয়া কিছু করিয়া লইতে পরিবেন না। চারটিখানি চড়া ভিজাইরোধিয়া গেলে कृछि হয় । থোকাকে আজ বার-পাঁচেক মুখস্থ করাইয়া দিলে কাল সকালে হয়ত মনে করিয়া দোকান হইতে পোয়াখানেক দই আনিয়া দিতে পারে | অবগু বা গুষ্টির ছেলে, হু"স বলিতে ইহাদের কোন জিনিষ নাই । কাজেই বুড়ীকে না থাওয়াইয়া মরাও ইহীদের পক্ষে কিছু আশ্চৰ্য্য নয় । কিন্তু কিইবা করা যায় ? ত্রিশ বৎসর বয়সে একটি দিনের মাত্র ছুটি, তাহাও কি কেবল সংসারের চিস্তাতেই কটিয়া যাইবে ? এ যেন ঠিক ঢে"fকর স্বর্গে গমন । কোলের এক বছরের মেয়েটা তরকারির ঝুড়ির ভিতর হাত পুরিয়া খেলা করিতেছিল। হঠাৎ তারস্বরে চীৎকার করিয়া গৌরীকে চমক লগাইয়া দিল । ময়দামখ হাতে মেয়েকে তুলিয়া গৌরী লইয়া দেখিল একটা লাল টুকটুকে লঙ্কা হাতের মুঠায় ধরিয়া খুকী তাঁহাতে কামড় বসাইবার চেষ্টা করিয়াছে । ভাগ্যে চিবাইয়া ফেলে নাই, তাহা হইলে ত এখনই ঠোট ও জিব ফুলিয়া উঠিত, কাজকৰ্ম্মও ঘূরিয়া যাইত, বেড়াইতে যাইবার সর্থও মিটিয়া যাইত । এই মেয়েটাকে লইয়াই হইয়াছে সবচেয়ে বড় সমস্তা ! এটাকে ফেলিয়া যাইবে, কি লইয়া যাইবে, স্থির করা শক্ত । মেয়ে অৰ্দ্ধেক থান বোতলের দুধ, আর অৰ্দ্ধেক ময়ের দুধ । একটা দিন ঢেকিfদুধ খাওয়াইয়া বাড়িতে রাখিয়া যে যfওয়া যায় না তা নয়, কিন্তু যা ছিনে-জে"াকের মত মায়ের দুধ টানা অভ্যাস, একদিন না পাইলে ক্ষুধীয় না-হউক রাগেই চিলের মত চেচাইয়া মরিবে । ফিরিয়া আসিলে বুড়ী শাশুড়ী তখন গৌরীকে গাল দিয়া আর আস্ত রাখিবে না । এক কাজ করিলে হয় ; রাণী-দিদির মেয়ে ত ছ-মাসের, দুধে তাহার এখনও যেন যান ডাকিয়া যায়। সে কি আর ইচ্ছা করিলে একটা দিন গৌরীর মেয়েকে দুধ দিতে পারে না ? কিন্তু দুধ দেওয়ার চেয়ে বড় হ্যাঙ্গম যে সারদিন ঐ পেত্নী মেয়ের ঝকি পোহান । রাণী-দিদি সোর্থীন মানুষ, সে কি আর এত ঝঞ্চtট সহিতে রাজি হইবে ? নিজের ছেলেদেরই বলে তাহার দুইটা ঝি । হ্যা, ভাল কথা, ঝিগুলাকে অনা-চারেক পয়সা দিয়া মেরেট গছাইয়া দিলে হয় না ? কিন্তু তাঁহাতেও মুস্কিল আছে। বড়লোকের বাড়ি যে সারাদিন থাকিবে, এত জামা কাপড় তোম্বালে SN9