পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বলিয়া তিনি অরুণকে সঙ্গে লইলেন না। প্রতিমা এক যাইতে চাহিল না । যাইবার সময় তিনি বলিয়া গেলেন, থোকা, খুব বেশী পড়িল না, রোজ বেড়াতে ধাবি, মোটরগাড়ী তোঁদের জন্ত রেখে গেলুম, যত খুশী ঘুরে বেড়াবি। মোটর-গাড়ী অরুণের সম্পূর্ণ কর্তৃত্বে আছে জানিয়া অজয় উল্লসিত হইয়া উঠিল । বলিল, এমন সুযোগ ছাড়া উচিত নয়। অরুণ জিজ্ঞাসা করিল, কি ? কোথায় তোর বেড়াতে যাবার ইচ্ছে ? অজয় বলিল, বেড়াতে যাবার কথা আমি বলছি না, আমি বলি, এই ছুটিতে হীরা সিঙের কাছ থেকে মোটর-গাড়ী চালানো শিখে নেওয়া যাক । —মোটর চালানো ! কি হবে ? —তোমার ও ছাই a+bশ মুখস্থ করেই বা কি হবে ? মোটর-ড্রাইভার হীরা সিং উৎসাহী যুবক । অলসতা অপেক্ষ এই বৃহৎ সুন্দর গাড়ীটি পথে চালাইমা ঘুরিতে তাহার আনন্দ । জয়ন্ত তাহীকে দেখিলেই বলিয়া উঠে, পঞ্চনদীর তীরে বেণী পাকাইয়া শিরে—হীরা সিং হাসিয়া মোটর-গাড়ীর বৈদ্যুতিক হৰ্ণ টেপে । অজয় তাহার সহিত ভাব জমাইয়া লইল । আশা ছিল, ঘোষ-সাহেবকে বলিয়া তাহার মাহিনা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করিয়া দিবে। হীরা সিং নববিবাহিত । অর্থের অসচ্ছলতার জন্ত নবপরিণীতাকে কলিকাতায় আনিতেছে না । মাহিনাবৃদ্ধির সম্ভাবনা জানিয়া সে অরুণ ও অজয়কে মোটর-গাড়ী চালনার রহস্ত বিস্তা দান করিতে উৎসাহিত হইয়া উঠিল । সকালে দুই বন্ধু হীরা সিংকে লইয়া মোটরে গড়ের মাঠে চলিয়। যাইত, ঘোড়দৌড় মাঠের কাছাকাছি । শিখবুবক দুই কিশোরকে বৰ্ত্তমান যুগের যন্ত্রধানের রহস্ততত্ত্ব বুঝাইত ; শরৎ-প্রভাতগুলি মোটর-গাড়ী চালানো শিখিতে কাটিয়া স্বাইত । কোন কোন দিন অরুণ প্রতিমাকে সঙ্গে লইত। অরুণ পখন ষ্টিয়ারিং হুইল ধরিয়া বদিত, প্রতিমার কেমন ভয় করিত, সে হাসিয়া চেচাইয়া উঠিত, দাদা আমায় নামিয়ে দাও । তুমি কেমন চালাচ্ছ, আমি মাঠে দাড়িয়ে দেখব । কিন্তু অজয় যখন মাঠে মোটর চালাইয়া যাইত, প্রতিমা স্থির হইয়া বসিয়া থাকিত, মাঝে মাঝে মুচকাইয়া হাসিত । छौचनांझन्म ათvSO প্রতিমার ব্যবহারে অরুণ ব্যথিত হইত। মোটর-গাড়ী চালনার উত্তেজনায় কিছু বলিত না । আইডিয়াটা চন্দ্রার । চন্দ্রা একদিন বলিল, অরুণদা, তোমরা বাবা বেশ রোজ মোটর ক’রে বেড়াচ্ছ, আমাদের ত একদিন বেড়াতে নিয়ে शृं७ नी ! —আচ্ছা, কাল নিয়ে বাব, কোথায় বেড়াতে যাবি ৷ আলিপুরের চিড়িয়াখানায় ! —ও দেখে পচে গেছে। চল কোথায় পিকনিক্‌ ! –শিবপুর বোটানিকেল গার্ডেন ! —না বাপু, সেদিন ত আমরা স্কুল থেকে গেছলুম। কোন একটা নতুন জায়গা, অনেক দূর । —তোমার জন্তে নিত্য নুতন জায়গা এখানে কোথায় পাই । চন্দ্র। তাহার পিতার শরণাপন্ন হইল । হেমবাবু বলিলেন, তোমরা ব্যারাকপুরের পার্কে স্বাও, গঙ্গার ধার, সুন্দর বাগান, বেশ লম্বা ড্রাইভ হবে । অরুণ উৎসাহিত হইয় উঠল, মামীমার কাছে গিয়া বলিল, মামী, তোমায় যেতে হবে । —আমি বাবা কেমন ক’রে যাই, তোমার মামাবাবুকে রেখে | —ব, উনিও ষাবেন । —সে ডাক্তার কি দেবে যেভে, নড়াচড়া বন্ধ, জর ত ধাচ্ছে না । –কি সুন্দর হবে, এমন শরতের দিনে নদীর যারে ওঁর খুব ভাল লাগবে, তুমি চল মামী । —কবে ? —যেদিন বল । —অfচ্ছা, পরশু ঠিক কর । জিজ্ঞাসা করি । উমা ধীরে বলিল, বেশ ত মা, তুমি যাও, ডাক্তার বাবু যদি বারণ করেন, আমি বাবার কাছে থাকব । —না, না, তোরা সবাই না গেলে অরুণের ভাল লাগবে কেন ! —সত্যি, নাকি অরুণ ! কি চুপ ক’রে কেন ? আমার ডাক্তার বোসকে