পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলন লোকহিতের জন্ত আমরা রাজশক্তির সাহায্য ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত ভাবে স্বয়ং কি করিতে পারি, আমাদের সমুদয় সম্মেলনে তাহার আলোচনা প্রধানস্থানীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। আলোচনার পর আবশ্যক কৰ্ত্তবানিদেশ এবং উপায় ও কার্য্যপ্রণালীর নিদ্ধারণ । মে-সকল দেশে রাজশক্তি বা রাষ্ট্রশক্তি দেশের লোকদের সমষ্টিগত শক্তি হইতেই সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে প্রাপ্ত এবং তাঁহারই পতিনিধিস্থানীয়, সেখানেও দেশের লোকের রাষ্ট্রশক্তিনিরপেক্ষ ভাবে স্বয়ং কি করিতে পারেন, তাহার চিন্তা করিয়া থাকেন এবং কর্তব্য ও পন্থী নির্দেশও করিয়া থাকেন। সেই সব দেশে রাষ্ট্রশক্তির সাহায্য চাহিলে কোন থোট খাই-ত হয় না, এবং তাঁহা লইলেও কোন লাঘব হয় না । তথাপি তথাকার লোকের আত্মনির্ভরপরায়ণ হইয়া থাকেন । আমাদের দেশে রাষ্ট্রশক্তি ও প্রজাশক্তি আলাদা। এখানে রাষ্ট্রশক্তির সাহায্য চাহিতে কুষ্ঠা বোধ হয়, চাহিলে অনেক সময় থোট খাই”ত হয় এবং সকল সময়ে অগৌরব অনুভূত হয়। রাষ্ট্রশক্তির সাহায্য লইলে অনেক সৰ্ত্তে আবদ্ধও হইতে হয়। পরাধীনতার যোগ্য, তাহার প্রমাণস্বরূপ ইহা বলা হইয়া থাকে, যে, আমরা স্বয়ং স্বাবলম্বন দ্বারা কিছু করিতে পারি না ; বিশেষ করিয়া এই কারণেও আমাদের স্বাবলম্বনমার্গে কৃতিত্বের প্রয়োজন আছে । বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্ৰীয় সম্মেলন কংগ্রেসের অস্তভূক্ত একটি রাষ্ট্রনৈতিক প্রতিষ্ঠান । ইহার অধিবেশনাদি কংগ্রেসের নিয়ম অনুসারে হইয়া থাকে। ইহাকে লোকহিতকর যাহা করিতে হইবে, তাহা কংগ্রেসের নিয়মাবলীর মধ্যে আবদ্ধ থাকিয়া করিতে পারা যায়। কংগ্রেস “গঠনমুলক” যে কাৰ্য্যতালিকা প্রস্তুত করিয়াছেন, তদনুসারে কাজ করিলে তদ্ভিন্ন, আমরা যে

  • 噪"

=ళi সৰ্ব্বসাধারণের স্বাস্থ্যের উন্নতি হইতে পারে, কৃষি ও গ্রাম্য পণ্যশিল্পসমুহের পুনরুজ্জীবন দ্বারা বিস্তর লোকের আয় বাড়িতে পারে, আলস্তে দলাদলিতে পরনিন্দীয় ও ব্যসনে কীলক্ষেপ অপেক্ষা পরিশ্রমে ও সৎভাবে জীবন ধাপনের অভ্যাস জন্মিতে পারে, এবং শিক্ষার বিস্তারও কিছু হইতে পারে । নিরক্ষরতা দূরীকরণ নিরক্ষরতা দূরীকরণ একান্ত আবশুক । কোন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা সমিতি শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতিতে মনোধোগী হইলে ভাল হয় । নিরক্ষরতা দূর হইলেই শিক্ষার বিস্তার হয় না জানি, লিখনপঠনক্ষমত্ব ও শিক্ষণ এক জিনিষ নহে জানি, নিরক্ষর কোন কোন লোক বাস্তবিক শিক্ষিতপদবাচ্য হইতে পারেন জানি, খুব লেখাপড়া-জনি লোকও শিক্ষিত বলিয়া অভিহিত হইবার যোগ্য না হইতে পারে জানি । কিন্তু ব্যাপক ভাবে সমগ্র একটি জাতির সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি বা কোন কোন দিকে উন্নতির উপায় চিন্তা করিতে হইলে দেথা যাইবে, যে, নিরক্ষরতা উন্নতির একটা বড় বাধা এবং উন্নতির জন্ত লিখনপঠনক্ষমত্ব অবিশুক । এই জন্ত আমরা দেশের মধ্যে লেখাপড়ার বিস্তার একান্ত বাঞ্ছনীয় মনে করি । প্রত্যেক প্রদেশে ও জেলায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের কমিটি থাক। আবখ্যক । বঙ্গের এই কমিটিগুলির সভ্যেরা লেখাপড়া বিস্তারের কাজের এক একটি দশবাধিক পঞ্চবার্ষিক ও বাধিক কাজের প্ল্যান বা পরিকল্পনা প্রস্তুত করুন । তাহারা প্রতিজ্ঞ করুন, দশ বৎসরে শিশু ভিন্ন বঙ্গের অন্ত স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য হইতে নিরক্ষরতা দূর কfরবেন, পাঁচ বৎসরে ইহার অৰ্দ্ধেক কাজ শেষ করিবেন, এবং প্রতি বৎসর সমুদয় কাজটির দশ ভাগের এক ভাগ শেষ করিবেন। এই সমিতির এক একটি