পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوانع لا ও অনুচরদের রসদ বাংলা দেশ হইতে ক্রীত হয় না, সিপাহীদের তাম্বু প্রভৃতিও বাংলা দেশ হইতে ক্রীত হয় না । সুতরাং এই সব জিনিষের মুল্যের কোন অংশ বাংলাদেশ পায় না । সামরিক সব ব্যয় সিপাহী ও তাঁহাদের অনুচর, যুদ্ধের সরঞ্জাম, রসদ প্রভৃতির জন্ত নহে । সৈনিক বিভাগের জন্ত বিস্তর কেরানী, হিসাবরক্ষক, হিসাবপরীক্ষক, কারিগর, রসদ-সংগ্রাহক, নানা বৈজ্ঞানিক কৰ্ম্মচারী প্রভৃতির দরকার হয়। বাঙালীদিগের মধ্য হইতে সিপাহী আদি লওয়া হয় না বলিয়া ক্ষতিপুরণ-স্বরূপ ঐ সকল অযোদ্ধা কৰ্ম্মচারী বাঙালীদের মধ্য হইতে বেশী সংখ্যায় লইলে স্তায়সঙ্গত হয় । কিন্তু তাঁহা লওয়া হয় না। সচরাচর বলা হয় বটে, যে, বাঙালীর যোদ্ধার কাজের অনুপযুক্ত । কিন্তু বাছিয়া লইলে বাঙালীদের মধ্য হইতে বিস্তর যুদ্ধক্ষম লোক পাওয়া যায় । যাহা হউক, বাঙালী যুদ্ধনিপুণ হইতেই পারে না, যদি এই মিথ্যা কথা সত্য বলিয়া মানিয়া লওয়া যায়, তাহা হইলেও একথা ত কেহ বলিতে পারে না, ষে, বাঙালী কেরানী, হিসাবরক্ষক, হিসাবপরীক্ষক, কারিগর, রসদসংগ্রাহক এবং নানা রকমের বৈজ্ঞানিকের কাজ করিতে পারে না। অথচ সৈনিক বিভাগে এই সকল কাজেও, বাঙালী অল্পসংখ্যক লইলেও, বেশী লওয়া হয় না । জলসেচনের জন্য খাল বঙ্গে অতি অল্প বাংলা দেশে যে জলসেচনের জন্ত নানাবিধ পূৰ্ত্তকাৰ্য্য ७ १itगद्र प्रद्रकांत्र श्रांtछ्, उांश श्रांt१ी कांख्:ि अशेौङ्ठ হইয়া থাকিলেও এ বৎসর মুখে ও কাগজপত্রে সরকারী লোকের তাহা স্বীকার করিতেছেন। বঙ্গের ক্ষয়িষ্ণু অঞ্চল সকলের উন্নতিবিধান করিবার এবং ভরাট বা স্রোতহীন নদী-সকলকে স্রোতস্বিনী করিবার চেষ্টা করা হইবে বলা হইতেছে। তদৰ্থে বঙ্গে ডিভেলপমেন্ট বিল নামক একটা আইনের পাণ্ডুলিপি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় পেশ হইয়াছে। তাহার উদ্দেশু ও প্রয়োজন বুঝাইবার নিমিত্ত বঙ্গের ডিভেলপমেণ্ট কমিশনার মিঃ টাউনেও একটি পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছেন । বঙ্গে কৃষিকার্য্যের জন্ত যে ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপায়ে জলসেচনের প্রয়োজন আছে, তাহা তিনি বার-বার স্বীকার করিয়াছেন । এই প্রয়োজন নূতন নহে— SN°8戈 বরাবরই ছিল। অথচ গবন্মেণ্ট জলসেচনের জন্ত খাল অন্ত কোন কোন প্রদেশে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে করিয়া থাকিলেও বঙ্গে তুলনায় অতি সামান্ত ব্যয় করিয়াছেন। এই বিষয়ে নানা সাংখ্যিক তথ্য ( ষ্ট্যাটিষ্টিক্স,) আমরা একাধিক বার প্রবাসীতে মুদ্রিত করিয়াছি। তথাপি ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে এতদৰ্থে ব্যয়িত থেকে টাকার পরিমাণটা আবার নীচে মুদ্রিত করিতেছি । এই মোট ব্যয় ১৯৩১-৩২ সাল পর্যন্ত । তাহার পরবর্তী বৎসরসমূহের সকল প্রদেশের এতদৰ্থে ব্যয় এখনও কোন সরকারী রিপোর্টে ছাপা হয় নাই । ●회t며 জলসেচন-খালের জন্ত ব্যয়িত টাকা । माँव्यांस्त्र Svరి, 8२१ ፄ ም, qo o বোম্বাই २ २१ సెt, 88, 8> o বাংলা boፃ, b", SDSC আগ্ৰা-অযোধ্য ২২, ՀԳ, Ψδ, @>br प्रिश्चtद \రిని, »ፃ, ሣ •, ৭২৩ অন্ত কোন কোন প্রদেশে তেত্রিশ, বাইশ ও তের কোটির উপর টাকা খরচ হইয়াছে । বঙ্গে এক কোটিও হয় নাই। কেহ কেহ যদি এমন অনুমান করেন, যে, গবন্মেণ্ট আগে বঙ্গদেশকে অবহেলা করিয়া থাকিলেও পরে সম্প্রতি হয়ত এখানে জলসেচন-খালের জন্ত বহু কোটি টাকা খরচ করিয়াছেন, তবে বলি, সে অনুমানও সত্য নহে। ১৯৩১-৩২ পর্যাপ্ত কেজো জলসেচন-খালের জন্ত গবন্মেণ্ট বঙ্গদেশে মোট ৮৭,৮৭,৩৯৫ টাকা খরচ করেন। গত ১৩ই মার্চ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় ঐযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরীর প্রশ্নের সরকারী উত্তরে জানা যায়, যে, এতদৰ্থে ১৯৩২-৩৩ সালে সরকার ১৩,২৯,৪০১ টাকা এবং ১৯৩৩-৩৪ সালে ৯,০৩,০৩৩ টাকা খরচ করিয়াছেন। সুতরাং ১৯৩৩-৩৪ সাল পৰ্য্যস্ত বঙ্গে জলসেচন-খালের জন্ত সরকারী ব্যয় মোট ১,১০,১৯,৭৯৯ । উপরে উল্লিখিত অন্ত প্রদেশগুলির তুলনায় ইহা নগণ্য। আমরা কেবল “কেজো” অর্থাৎ উৎপাদক (প্রোডাক্টিভ) খালগুলিরই ব্যয় ধরিয়াছি, অমুখপাদক (আনুপ্রোডাক্টিভ, ) অর্থাৎ অকেজো খালের জন্ত বঙ্গে আরও ৮৪,৯২,৪৫৩ টাকা ব্যয় হইয়াছে। তাঁহা অপব্যয় । কিন্তু তাহ ধরিলেও বঙ্গে মোট ব্যয় উল্লিখিত প্রদেশগুলির কাছেও পৌছায় না।