পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বিবিধ প্রসঙ্গ-বিহারে বাঙালী >8° ঔপনিবেশিক বাঙালীদের উপার্জন সেখানেই বান্ত্রিত ও সঞ্চিত হয় । এরূপ অবস্থা সত্বেও, বিহারে বাঙালীরা যাহাতে চাকরী নী-পায়, ঠিকাদারী না-পায়, তাহার চেষ্টা হইয়া আসিতেছে ; বাঙালীদের অন্তান্ত বৃত্তিতেও বাধা জন্মিতেছে। ইহার জন্ত কাহাকেও দোষ দেওয়া আমাদের উদ্দেগু নহে। জীবনসংগ্রমে প্রতিযোগিতা হইলে এরূপ ঘটিয়া থাকে। কিন্তু বিহারী ভ্রাতাদের বিবেচনা করা উচিত, ষে, বিহারে বাঙালীদেরও টিকিয়া থাকিতে হইবে। তাহারা বিহারে উপার্জন করিয়াছে ও করে বটে, কিন্তু শিক্ষণ ও কৃষ্টির ক্ষেত্রে এবং সমযীয়-প্রথা প্রচলন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রবর্তনের দ্বার তাহারা বিহারের উপকারও করিয়াছে । নুতন ভারতশাসন আইন প্রণীত হইতেছে। এখন কথা উঠিয়াছে যিহারের বাঙালীদের জন্ত বিহারের ব্যবস্থাপক সভায় কয়েকটি আসন সংরক্ষিত থাকা আবশ্যক ও উচিত কিনা। এই বিষয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস "বেহার হেরাল্ড ” কাগজে দেওয়া হইয়াছে। ভারতশাসন বিলে বিহারের ব্যবস্থাপক সভায় বাঙালীদের জন্ত কোন আসন সংরক্ষিত হয় নাই। বিহারের সাধারণ নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলীর জন্ত ৮৯টি আসন রাখা হইয়াছে। বিহারের জন্ত ষে ফ্র্যাঞ্চিস কমিটি গঠিত হইয়াছে তাহারা কিন্তু ইচ্ছা করিলে বিহারী ও বাঙালী উভয় লোকসমষ্টির সম্মতিক্রমে বাঙালীদিগের জন্ত কয়েকটি আসন রাখিতে পারেন, এবং বিহারের প্রাদেশিক গবন্মেণ্ট ফ্র্যাঞ্চিস কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী নিয়ম করিতেও সমর্থ । লোথিয়ান কমিটিকে সাহায্য করিবার জন্ত বিহারে যে প্রাদেশিক কমিটি গঠিত হইয়াছিল, তাহারা অধিকাংশের মতে বাঙালীদের জন্ত দুটি আসন রাখিবার সুপারিস করেন ( রায় বাহাদুর শরৎ চন্দ্র রায় দেখান, যে, দুটি আসন যথেষ্ট নহে ), কিন্তু বিহার প্রাদেশিক গবন্মেণ্ট এই স্বপারিশ অগ্রাহ করেন। বিহারের অন্ততম মন্ত্রী স্তর গণেশ দত্ত সিং সাইমন কমিশনকে প্রেরিত নিজ মস্তব্যে বলেন, ষে, বিহারের প্রত্যেক ডিবিজনে বাঙালীদের জন্ত একটি করিয়া আসন রাখা উচিত। অর্থাৎ বিহারে চারিটি ও উড়িষ্যায় একটি । উড়িষ্যার কথা এখন বলিতেছি না। বিহারীরা ৮৯টি আসনের মধ্যে ৪টি বাঙালীদিগকে দিলে তাহীদের শক্তিহ্রাস ও ক্ষতি হইবে না। অবশু বিহারের অধিবাসীদের শতকরা ৫৬ জন বঙ্গভাষী বলিয়া তজ্জন্ত তাহদের অনুন ৬টি আসন পাওয়া উচিত। বিবেচক বিহারীরা ইহা বুঝিলে डांडण झग्न । আমরা কোথাও কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়, শ্রেণী বা জাতির লোকদের জন্ত ব্যবস্থাপক সভায় আসন-সংরক্ষণের পক্ষপাতী নহি । সুতরাং বিহারের বাঙালীদের জন্ত স্বাসন-সংরক্ষণের আলোচনা কেন করিতেছি, তাহ বল আবগুক । বিহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় বাবু নন্দকুমার ঘোষ কর্তৃক এই প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে সরকার-পক্ষ হইতে মাননীয় for to acro, “The idea has been that when a domiciled community takes its place in the province, it should take its place with the other natives of the soil as part of the people of Bihar and Orissa,” “cs sizen onio off of cos হইবে তাহা এই, যে, যখন কোন লোকসমষ্টি এই প্রদেশে আসিয়া স্থায়ী বাসিন্দা হয়, তথম তাহাদিগকে বিহার ও উড়িষ্যার লোকদের মধ্যে তথাকার পুরাতন অধিবাসীদের সঙ্গে স্থান লাভ করিতে হই-ব”, অর্থাৎ তাহারা বিহারউড়িষ্যার চিরন্তন অধিবাসীদের সামিল হইয়। যাইবে । এই ধারণ আদর্শ বা নিয়ম, যুক্তিসঙ্গত ও ন্তায়সঙ্গত । কিন্তু বিহারে বাঙাণীদের প্রতি এই নিয়মে কাজ করা হয় না—তাহাদিগকে বিহারের লোকদের সামিল মনে করা হয় না। নানা বিষয়ে, বাঙালী যোগ্যতর হইলেও, তাহার দাবী অগ্রহ করিয়া অন্তকে সুবিধা দেওয়া হয়। কোন একটা সুবিধার জন্ত যদি পাঁচ জন বিহারী প্রার্থী হয়, তাহ হইলে যেমন যোগ্যতম ব্যক্তিকেই সুবিধা দেওয়া হয়, বিহারী বাঙালী প্রভৃতি সবাই প্রাণী হইলে যোগ্যতম ব্যক্তিকেই সুবিধা দেওয়া হউক—সেই যোগ্যতম ব্যক্তি বাঙালী হইলেও ত:হীকেই সুবিধা দেওয়া হউক, ৰাঙালীর। ইহাই চান বাঙালী যোগ্যতম ন হইলেও তাহাকে দেওয়া হউক ইহা তাহারা চান না । কিন্তু বাঙালী দিগকে একদিকে মুখে বলা হইতেছে, “তোমরা বিহারেরই লোক বলিয়া আপনাদিগকে গণ্য