পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

س8bچ কর, আলাদা আসন কেন চাও”, অন্ত দিকে তাহাদিগকে কার্যতঃ বিহারী হইতে আলাদা বলিয়া নানা প্রকারে গণ্য করা হইতেছে, এবং বাঙালী ও বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে অভিযান চলিতেছে। তাহার দৃষ্টান্ত দিতেছি । সেন্সাসের জন্ত কাছার মাতৃভাষা কি তাহ নিদ্ধারণের সময় বাংলাভাষীদের সংথ্যা কম দেখাইবার চেষ্টা বহু বৎসর श्हेप्ड श्हेब्रो अनि८ङ८झ । भनछु:षब्र अठ्गैंड पानवाप्न জমিদারী-সেরেস্তার কাগজপত্র বাংলার পরিবর্তে হিন্দীতে রাখিবার নিয়ম করা হইয়াছে। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালী ছাত্রদিগকে সংস্কৃত প্রশ্নের উত্তর বাংলা অক্ষরের পরিবর্তে নাগরীতে লিখিতে বাধ্য করিবার চেষ্টা হয় । মানভূম, সাওতাল পরগণা ও সিংহভূমের কোন কোন অঞ্চলে দেশভাষার বিদ্যালয়গুলিতে বাংলার পরিবর্তে হিনীকে শিক্ষার বাহন করা হইয়াছে । বিহারে ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ হইতে আগত লোক বাস করে। কিন্তু কেবল মাত্র বাঙালীদিগকেই স্থায়ী বাসিন্দীত্বের ( ডোমিসাইলের ) সার্টিফিকেট লইতে বাধ্য করা হয় যদি তাহার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৰ্ত্তি হইবার, ছাত্ররূপে সরকারী বৃত্তি পাইবার এবং সরকারী চাকরী পাইবার যোগ্য বলিয়া রেজিষ্টরীভুক্ত হইতে চায়। দক্ষিণআফ্রিকায় ভারতীয় ও অন্ত এশিয়ানদিগকে রেজিষ্টরীভুক্ত করিবার নিয়মের বিরুদ্ধে ভারত-গবন্মেণ্ট পৰ্য্যস্ত লড়িয়াছেন, অথচ এইরূপ নিয়ম প্রকারাস্তরে বিহারে বাঙালীদের বিরুদ্ধে প্রযুক্ত হইতেছে। বিহারের এই ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পুরুষানুক্রমে চলিতে থাকে না— কাহারও পিতামহ সার্টিফিকেট পাইলে পরে তাহার পিতাকে, তদনন্তর তাহাকে এবং কালক্রমে তাহার পুত্রপৌত্ৰাদিকেও নুতন করিয়া সার্টিফিকেট লইতে হয় । যে যে “নীতি” বা “নিয়ম” বা “সর্ব” অনুসারে এই সার্টফিকেট দেওয়া হয়, তাহা ক্রমশঃ কঠোরতর করা হইতেছে । কিন্তু সার্টিফিকেট লইলেও বাঙালী ও বিহারীকে সমান চক্ষে দেখা হয় না । সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৰ্ত্তি করিবার সময় খুব কম একটা নির্দিষ্টসংখ্যক বাঙালী ছাত্রকে লওয়া হয়, ষে-সৰ বিহারী ছাত্রকে লওয়া হয় ৫ প্রবাসী ; @N98受 তাহীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বহু বাঙালী ছাত্র ( ঐ নির্দিষ্ট সংখ্যার অতিরিক্ত থাকিলে এবং তাহা থাকেও ) ভৰ্ত্তি হুইত পায় না, বিহারী ছাত্রের নিকৃষ্ট হইলেও তাহাদিগকেই এরূপ স্থলে ভৰ্ত্তি করা হয়। সরকারী চাকরীতেও শতকরা খুব কম কাজ বাঙালীর জন্ত রাখিয়া তদতিরিক্ত কাজে, যোগ্যতর ও যোগ্যতম বাঙালী থাকিতেও, অপেক্ষাকৃত নিকৃষ্ট বিহারীদিগকে কাজ দেওয়া হয় । সরকারী বৃত্তিতেও এইরূপ । সরকারী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এইরূপ নিয়ম থাকায় বহু ব্যয়ে পরিচালিত ডাক্তারী, এঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি শিখাইবার উচ্চতর প্রতিষ্ঠানে অনেক অযোগ্য বিহারী ছাত্র লওয়ায় তাহারা অনেক স্থলে শেষ পর্য্যস্ত শিক্ষা গ্রহণ করিতে বা পাস করিতে পারে না, কেবল তাহীদের জন্ত কতকগুলা টাকা নষ্ট হয় মাত্র । বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্ত যে-সব সরকারী বৃত্তি আছে, ১৯২০ সালের পর এ পর্য্যস্ত তাহার একটিও বিহারের বাঙালী কোন ছাত্র বিশেষ কৃতিত্ব সত্বেও পায় নাই । সরকারী চাকরীতে প্রাদেশিক বিভাগসমূহে (প্ৰভিঙ্গ্যাল সার্ভিস-সমূহে ) গত বারে-তের বৎসরে, যোগ্যতম হওয়া সত্ত্বেও খুব কম বাঙালীকে লওয়া হইয়াছে। তাহার দৃষ্টান্ত "বেহার হেরাল্ডে দেওয়া হইয়াছে। সরকারী চাকরীর কোন বিভাগে চাকর্যের সংখ্যা কমাইবার দরকার হইলে, হুকুম দেওয়া আছে যে আগে বাঙালী চাকর্যেদিগকে ছাটিয়া দিতে হইবে । তাহার ফলে বোগ্য পনের-ষোল বৎসরের চাকর্যে অনেক বাঙালীর কাজ গিয়াছে, বিহারী তিন-চার বৎসরের চাকর্যের কাজ যার নাই । এই প্রকারে বিহারে বাঙালীর স্থায়ী বাসিন্দা হইলেও তাহাদিগকে বিহারীর সমান অধিকার দেওয়া হয় না । কিছুদিন পূৰ্ব্বে বিহারী সদস্তদের প্রস্তাবে ও সমর্থনে বিহার ব্যবস্থাপক সভায় ধাৰ্য্য হইয়াছে, কেবল বিহারীরাই ঠিকাদারী কাজ পাইবে, অর্থাৎ বাঙালীরা পাইবে না। গবন্মেণ্ট ইহা গ্রহণ করিয়াছেন । কেরানীগিরি সম্বন্ধেও এইরূপ নিয়ম হইয়াছে। . এই সকল কারণে বিহারের বাঙালীদের অভাবঅভিযোগ জানাইবার নিমিত্ত ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদের জঙ্গ কয়েকটি আসন রক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হইয়াছে।