পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* @o "প্রবাসী সঠe সকলের সহিত সম্ভাব রক্ষা করিয়া চলুন। ঠাহীদের যোগ্যতা ও কল্যাণকারিত বর্থ হইবে না । সমগ্র ভারতের বাঙালীদের কৃষ্টিগত প্রচেষ্টা প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক বঙ্গ অখণ্ড থাকু বা থওঁীকৃত হউক, বাঙালীfদগকে ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ ও রাজ্যে অস্থায়ী বা স্থায়ী ভাবে বাস করিতে হইব। কিন্তু তাহার বাংলার ভাষা, সাহিত্য, ললিতকলা প্রভৃতির সহিত যোগরক্ষা না করিলে তাহীদের ও র্তাহীদের সস্তান-সন্ততিদের অপকার হইবে । পক্ষাস্তরে সকল বাঙালীর পরস্পরের সহিত কৃষ্টিগত যোগ থাকিলে প্রত্যেকের ও সমষ্টির কল্যাণ হইবে। এই যোগ রাথিবীর জন্ত প্রতিষ্ঠান ও সমিতি চাই । *প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন” এইরূপ একটি প্রতিষ্ঠান ও সমিতি । এইরূপ বা ইহা অপেক্ষা ব্যাপক ও কম্মিষ্ঠ আরও প্রতিষ্ঠান ও সমিতি আবখ্যক । কিন্তু প্রতিষোগিতার ভাব হইতে নহে, সহযোগিতার ভাব হইতে । অমৃতবাজার পত্রিকা ও হাইকোর্টকে অবজ্ঞ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়া অমৃতবাজার পত্রিকা কলিকাতা হাইকে;টকে অবজ্ঞাস্পদ করিয়াছে, এই অভিযোগে ইহার সম্পাদক ঐযুক্ত তুবারকাস্তি ঘোষ ও ইহার মুদ্রক ঐযুক্ত তড়িৎকাস্তি বিশ্বাসের ভাইকোর্টে সরাসরি বিচারানত্তর যথাক্রমে তিন মাস ও এক মাস আশ্রম কারাবাসের আদেশ হইয়াছে । আমরা তাহাদিগকে আমাদের আস্তরিক সহানুভূতি জানাইতেছি । এইরূপ স্থলে সরাসরি বিচারের ক্ষমতা হাইকোর্টের আছে কি না, আমরা স্বয়ং স্থির করিতে অসমর্থ । কিন্তু বিচারপতি স্তর মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায়ের মত আমাদের যুক্তিসঙ্গত ম ন হয় । ইহাও মনে হয়, যে, এরূপ স্থলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদিগের সরাসরি বিচার করিবার অধিকার যদি হাইকোর্টের থাকে, তাহা হইলেও এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার সরাসরি না করিয়া তাহাদিগকে যথেষ্ট সময় দিলে হাইকোর্ট ভাল করিতেন । তাহাতে হাইকোর্টের প্রতি জনসাধারণের শ্রদ্ধা কমিত না, হয়ত বাড়িত । অমৃতবাজার পত্রিকায় যাহা লেখা হইয়ffছস তাহাতে আইনানুসারে জগুণীয় আদালত-অবমাননা হইয়াfছল কি না, আমরা স্বয়ং বলিতে অসমর্থ ; কিন্তু আমাদের মনে হয়, সরাসরি বিচার না-করিলে হাইকোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত বা বিপন্ন হইতেন না । বিচারপতি লট-উইলিয়মের রায়ে দেখিতে পাই, বিলাতের বিচারপতি লর্ড রাসেলের মতে আজকাল ব্রিটেনে আদালত-অবমাননার মোকদম হয় না, যদিও সেরূপ ১৩৪ই • মোকদ্দমা তথাকার আইন অনুসারে এখনও হইতে পারে। বিচারপতি লর্ট-উইলিয়াম এরূপ অবস্থা ঘটিবার কারণ এই বলিয়াচেন, যে, বিলাতের পব্লিক ডীসেঙ্গীর অর্থাৎ কথায় ও লেখায় প্রকাশ্য সাৰ্ব্বজনিক ভদ্রত রক্ষার ষ্টাওর্ডি বা মাপকাঠি আগেকার চেয়ে খুব উন্নত হইয়াছে । ইহা সত্য হইলে, তাহার কারণ সম্ভবতঃ এই, যে, আজকাল তথাকার । আদালতগুলির বিচার ও জজদের সামাজিক ব্যবহার এরূপ অাদর্শানুরূপ যে লোকে তাহার সমালোচনা করিবার কারণ পায় না, কিংবা সমালোচনার কারণ থাকিলেও ইংলওঁীয় ভদ্রতা ও সৌজন্তের আদব কায়দা রক্ষা করিয়াই তাহ করা হয় । এ-বিষয়ে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা নাই, সুতরাং কিছু বলিবারও নাই। কিন্তু ইংলণ্ডীর পব্লিক আচরণ যে নিম্নস্তরের হয়ই না, ইহা স্বীকার করিতে পারি ন। এখনও পালেমেণ্ট হাতাহাতি মারামারি গালাগালি হয়। এই সেদিন প্রধান মন্ত্রীকে পালেমেণ্টে এক জন পালেমেন্ট-সদস্ত “শুকর” প্রভৃতি বলেন এবং শ্রোতৃবর্গের মধ্য হইতে এক নারী অন্ত রকম কটুক্তি করেন। হাইকোর্টই ভারতবর্ষের উচ্চতম আদালত । হাইকোটের বিচারপতিবুন্দের কোন নালিশ থাকিলে তাহারা অন্ত কোন আদালতে মোকদ্দমা করিতে পারেন না। নিজেদের অবমাননার বিচার আপনাদিগকেই করিতে হয় । ইহাতে অভিযোক্তা ও বিচারকের অভিন্নত্ব ঘটে । এই অবস্থার পরিবর্তন হইতে পারে কিনা, কিংবা অন্ত কোন দেশে উচ্চতম আদালতের অবমাননা কেহ কfরলে ঐ আদালত ভিন্ন অন্ত কেহ বিচারক হন কিনা, জানিনা । - ভারতীয় বজেট অপরিবর্তিত রহিল প্রতি বৎসর ভারত-গবন্মেন্টের ও প্রাদেশিক গবন্মেণ্টগুলির আয়ব্যয়ের এক-একটা আনুমানিক ছিলাব ব্যবস্থাপক সভা সকলে এই সময় উপস্থিত করা হয় । সদস্তের। তাঁহাতে হ্রাসবৃদ্ধির প্রস্তাব করিতে পারেন । এবার তারত-গবন্মেন্টের বজেটে সদস্তের লবণ-শুদ্ধ কমাইয়াছিলেন, ডাকমাণ্ডল কোন কোন দিকে কমাইয়াছিলেন, এবং আরও কিছু কিছু পরিবর্তন করিয়াছিলেন। কিন্তু বড়লাট কোন পরিবর্তনই গ্রহণ করেন নাই, ঠিক যেমনটি ছিল তেমনি বজেটটি চালাইয়া দিবার হুকুম দিয়াছেন । আইনে তাহার এরূপ করিবার ক্ষমতা আছে এবং সে আইন ইংরেজদেরই কৃত । দেশের প্রতিনিধি বলিয়া যাহারা গণিত হন, তাহার একটা বিষয়েও ঠিকৃ বুঝিলেন না, প্রত্যেক বিষয়ে ঠিক বুঝিলেন এক জন বিদেশী কিংবা তিনি ও র্তাহার অধীন কয়েক জন মোটাবেতনভোগী: কৰ্ম্মচারী।