পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2छTछे বারই এক জন ভদ্রলোক কুঁজা হইতে জল ঢালিয়া গ্লাস পূর্ণ করিয়া দিতে লাগিলেন। সন্ধ্যা হইয় গেল, আলো জালা হইল । তখন এসিটিলিন গ্যাস ছিল না । জলিবার জন্ত পূৰ্ব্ব হইতেই ব্যবস্থা করা ছিল। এক বুক উচু একটা বাশের খুঁটি, তাহার ডগাটা প্রায় এক হাত চারিখানা করিয়া চেরা । তাহার উপর একখানা সরাতে আধ সরাঁ তেল এবং প্রত্যেক সরাতে একটা সরিষার পুটুলি, সেই পুটুলির অগ্রভাগ—যে-অংশটা তৈলের উপরে ছিল সেই অংশটা জালিয়া দেওয়া হইল। এইরূপ দশবারটা আলোকে সমস্ত সভাস্থল আলোকিত হইয়া উঠিল । বক্তার সম্মুখে টেবিলের উপর দুইটা সেঞ্জে বাতি জালিয়া rम७भ्र] झइंज । কেশব বাৰু বোধ হয় দুই ঘণ্টা বক্তৃতা করিয়াছিলেন। বক্ততা শেষ হইবা মাত্র সভস্থল হরিপুলনিতে বারংবার মুখরিত হইয়া উঠিল । বক্ততার পর নগর-সঙ্গীৰ্ত্তন বাহির হইল । মন একবার হরি বল, হরি হরি হরি বলে ভবসিন্ধু পারে চল । জ্বলে হরি স্থলে হরি, চাঙ্গ হরি স্থধ্যে হরি श्रनएल अनप्ल इन्जि, इब्रि इब्रिभग्न य३ सृभ७न् : এই গানটি গাহিতে গাহিতে ভক্তের দল বাজারের দিকে গমন করিলেন । ; আমরা রাfত্র অধিক হইতেছে দেখিয়া ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিলাম । বহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের সাক্ষাৎ লাভের দুই বৎসর কি দেড় বৎসর পরে আর এক জন মহাপুরুষের দর্শনলাভ আমার তাগ্যে ঘটিয়াছিল । তিনি জগদ্বিখতি— পরমহংস রামকৃষ্ণদেব । পরমহংসদেবকে একদিন চার-পাচ মিনিটের জন্ত চোখের দেখা দেখিয়াছিলাম মাত্র । আমার পিতার এক মাতুল vঅম্বিকাচরণ মুখোপাধ্যায় শ্রীরামপুরে ওকালতি করিতেন। আমি কি একটা প্রয়োজনে তাহার বাসাতে গিয়াছিলাম। র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ফিরিবার সময় একটা বাগানের নিকটে দেখিলাম যে দলে দলে লোক বাগানে যাতায়াত করিতেছে। মনে করিলাম যে ভিতরে নিশ্চয়ই একটা কিছু দর্শনীয় ঘটনা ঘটিয়াছে, ষে জল্প তথায় অামার দেখা লোক আলো - ১৬৩ আত লোকসমাগম হইয়াছে। কৌতুহলবশতঃ এক জনকে সেই জনতার কারণ জিজ্ঞাসা করতে তিনি বললেন যে দক্ষিণেশ্বরের পরমহংসদেব ঐ বাগানে অtসিয়াছেন, লোকে তাহীকে দেখিতে যাইতেছে । আমার ইচ্ছা হইল পরমহংস কিরূপ দেখিয়া আসি । তখন পরমহংস কাহাকে বলে, সে জ্ঞান আমার ছিল না । আমাদের বাটতে একখানা পাতলা চটি বই ছিল, তাহার নাম “শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের রচনাবলী ।” সেই পরমহংসই যে এই পরমহংস তাহ! আমি জানিতাম না । যtছ। হউক, জনতার সহিত মিশিয়া . বাগানে প্রবেশ করিলাম । তথন বোধ হয় বেলা পাচটা । দেখিলাম একটা গাছতলীয় এক ব্যক্তি বসিয়া আছেন, একটু স্থূলকায়, দাড়ি-ছট, অৰ্দ্ধনিমীলিত চক্ষু। তঁহাকে বেষ্টন করিয়া অনেক লোক বসিয়া আছে । সকলেই নীরব, তিনি মাঝে মাঝে পাশ্ববর্তী লোকের সহিত দুই-একটি কথা বলিতেছেন । অতি মৃদুস্বরে কথা হইতেছিল, আমি কিছুই শুনিতে পাইলাম না । র্যাহারা বসিয়াছিলেন, তাহদের মধ্যে অধিকাংশই বুদ্ধ বা প্রৌঢ় ভদ্রলোক । যুবক বালক এক জনকেও দেপিলাম না । তাই সাহস করিয়া আর অগ্রসর না হইয়। এক পার্গে দাড়াইয়৷ রহিলাম। আমি আমার নিকটবর্তী একজন লোককে জিজ্ঞাস করিলাম, “পরমহংস কোথায়?” তিনি সেই জনতার মধ্যে উপবিষ্ট দাড়ি-ছাট লোকটিকে দেখাইয়া বলিলেন, “উনিই পরমহংসদেব।" আমার সেই বয়সে আমি পরমহংসদেবের সহিত সাধারণ লোকের কিছুমাত্র প্রভেদ বুঝিতে পারিলাম না । চার-পাচ মিনিট সেখানে দাড়াইয়া চলিয়া আসিলাম । বাল্যকালে পরমহংসদেবকে দেখিয়া তাহার অসাধারণত্ব কিছুমাত্র হদয়ঙ্গম করিতে না পারিলেও পরে তাহার প্রিয়তম শিষা, জগদ্বিখ্যাত বিবেকানন্দ স্বামীকে দেখিয়া আমার মনে হইয়াছিল যে, এক জন অসাধারণ মানুষকে দেখিলাম। স্বামীজী আমেরিকা হক্টতে প্রত্যাবর্তন করিবার বৎসরেই হউক বা তাহার পর বৎসরেই হউক, দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে র্তাহাকে দেখিয়াছিলাম ।