পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬8 তাহার দর্শনলাভের পূৰ্ব্বেই শিকাগো ধৰ্ম্ম-মহাসম্মেলনে তিনি অপুৰ্ব্ব বক্তৃতা করিয়া সমগ্র আমেরিকাকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন, সেই বক্তৃতা একাধিক বার পড়িয়ছিলাম। : সুতরাং তাহার সম্বন্ধে আমার অতি উচ্চ ধারণ হইয়াছিল। দক্ষিণেশ্বরের অপর পারে বালীতে আমার শ্বশুরালয় । একদিন শ্বশুরবাটীতে গিয়া শুনিলাম সে, সেই দিন দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে vপরমহংসদে বের আবির্ভাব অথবা তিরোভাব উপলক্ষে মহাসমারোহ হইবে । বিবেকানন্দ স্বামীর তথায় আসিবার কথা আছে । স্বামীজী কালীবাড়িতে আসিবেন শুনিয়াই আমি তথায় যাইবার জন্ত উৎসুক হইলাম, আমার সমবয়স্ক পাঁচ-সাত জন সঙ্গী জুটিয়া গেল। সকলে মিলিয়া একখানা নৌকা করিয়া কালীবাড়িতে উপস্থিত হইলাম । দেখিলাম সে সুপ্রশস্ত অঙ্গন লোকে লোকীরণ্য । বাঙালী অপেক্ষ মাড়োয়ারী ও হিন্দুস্থানীর সংখ্যাই অধিক বলিয়া মনে হইল। শুনিলাম যে স্বামীঙ্গী তথনও আসেন নাই, তবে আসিবেন, ইহণ নিশ্চিত । আমি বন্ধুবৰ্গসহ নাট-মন্দিরে উঠিয়া একস্থানে বসিয়া পড়িলাম। নাট-মন্দিরের মধ্যস্থলে একটা ছোট গালিচা পাতা ছিল, বুঝিলাম যে, সেই আসন স্বামীজীর জন্ত রিসার্ভড় রাখা হইয়াছে । আমি গালিচা হইতে কিছু দূরে বসিয়া রহিলাম। প্রায় দশ মিনিট পরে, বাহিরে হঠাৎ একটা হৈ হৈ শব্দ উঠিল—‘পরমহংস রামকৃষ্ণজীকা জয়” “স্বামী বিবেকানন্দ মহারাজকী জয়” ধ্বনিতে সেই প্রাঙ্গণ বারংবার প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল, বুঝিলাম স্বামীজী আসিতেছেন । মনে করিয়াছিলাম, স্বামীজী সন্ন্যাসী, হয়ত ধীরগম্ভীর ভাবে, মুছু পদক্ষেপে নাট-মন্দিরে আগমন করিবেন। কিন্তু আমার ঐ ধারণ সম্পূর্ণ ব্যর্থ করিয়া ধিনি নাট-মন্দিরে প্রবেশ করিলেন, তাহাতে ধীরতা বা গাম্ভীৰ্য্যের কোন লক্ষণই দেখিতে পাইলাম না । উদাম চঞ্চল বালকের মত সেন অস্থির ভf:ব তিনি নাট-মন্দিরে প্রবেশ করিলেন । আমরা বাহিরে জয়ধ্বনি শুনিয়া উঠিয়া দাড়াইয়াছিলাম । স্বামীজী নাট-মন্দিরে প্রবেশ করিব মাত্র আমরা তাহীকে দেখিবা মাত্র মুগ্ধ হইলাম, তেমন উজ্জ্বল আয়ত-লোচন আর কাহারও দেখি নাই। মুখে হাসি। স্বামীজীর 为N°8之 প্রতিকৃতিতে সাধারণতঃ যেরূপ উকীষ ও আপাদলম্বিত আলখাল্লা-পরিহিত মূৰ্ত্তি অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়, স্বামীজী ঠিক সেইরূপ পোষাকই পরিমাছিলেন । র্তাহার সঙ্গে আরও পাঁচ-সাত জন সন্ন্যাসী আসিয়াছিলেন, র্তাহাঁদের পরিচ্ছদও স্বামীজীর পরিচ্ছদের অনুরূপ । তাহারাও বেশ মন্ত্র, উন্নত ললাট, গৌরবর্ণ, দেখিলেই বুঝিতে পারা বায় তাহারাও ধাৰ্ম্মিক, বুদ্ধিমান, বিদ্বান । কিন্তু স্বামীজীর চক্ষুর মত অত উজ্জ্বল চক্ষু কাহারও দেখিলাম না । স্বামীজীর পার্শ্বে তাহাদিগকে যেন একটু নিম্প্রভ বলিয়া বোধ হইল । নাট-মন্দিরে প্রবেশ করিয়াই স্বামীজী বাঙ্গ করিলেন, তাহা দেখিয়া আমি একেবারে স্তস্তিত ও মুগ্ধ হইলাম, মনে মনে একটু সে গৰ্ব্বও অনুভব করি নাই তাহী নহে । স্বামীজীকে দেখিয়া সকলেই করজোড়ে ললাট স্পর্শ করিয়৷ প্ৰণাম করিতে লাগিল, তিনি এবং তঁহার সমভিব্যাহারী সন্ন্যাসীরাও প্রতিনমস্কার করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । এমন সময় প্রায় আদি-দশ হাত দুর হইতে তাহার সহিত আমার দৃষ্টি-বিনিময় হইবা মাত্র তিনি আমাকে নমস্কার করিয়াই একেবারে আমীর নিকটে আপিলেন । আমার বন্ধুরা মনে করিলেন যে স্বামীজীর সহিত হয়ত আমার পূৰ্ব্বপরিচয় ছিল। কিন্তু সেই একদিন ব্যতীত আমি আর কখনও ভঁtহণকে দর্শন করি নাই । তবে তাঁহাকে একবার দেধিবার জন্য আমার মনে এক এক সময় প্রবল ইচ্ছা হইত। জানি না, আমাকে দেখিবা মাত্র তিনি আমার সেই প্রবল আগ্রহের কথা বুঝিতে পারিয়াছিলেন কি না । w তিনি উপবেশন করিলে আমরাও উপবেশন করিলাম । র্তাহীর সহিত বাক্যালাপ করিতে আমার বড়ই ইচ্ছা হইতে লাগিল, কিন্তু কি কথা বলিব, খুজিয়া পাইলাম না । অবশেষে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনি আজ এখানে বক্তৃতা করিবেন কি ?” তিনি বলিলেন, “এ ভীষণ ভীড়ে বক্তৃত করা অসম্ভব । করিলেও সকলে তাহ হয়ত শুনিতে পাইবে না।” স্বামীজীর সহিত আমার এই প্রথম বাক্যালাপ এবং বোধ হয় ইহাই শেব । কারণ সেদিন उँांशांद्र अङ्ठि पञांद्र ८कॉन कथां श्हेंब्राझिल कि नों पञांभांद्र