পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

குைரத் অণমার দেখা লোক 〉や? মনে নাই। স্বামীজী সেই নাট-মন্দিরে বোধ হয় কুড়ি মিনিট বসিয়াছিলেন । এই সময়ের মধ্যে বোধ হয় দুই বার কি তিন বীর তিনি মাথার উষ্ণীয় খুলিয়া আবার বন্ধন করিয়াছিলেন । সমস্ত ক্ষণ তাম্বুল চৰ্ব্বণ করিতেছিলেন এবং চঞ্চল শিশুর মত ছটফট করিতেছিলেন। তঁtহার সেই চঞ্চল ভাব দেখিলেই মনে হইত যেন একটা অদম্য শক্তিকে তিনি আপনার মধ্যে দমন করিয়া রাধিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, আর সেই শক্তি যেন বহিরে ফুটিয়া উঠিবার চেষ্টা করিতেছিল । তাহার সঙ্গী সন্ন্যাসীরা কিন্তু ধীর, স্থির, গম্ভীর । স্বামীজী নাট-মন্দির হইতে বাহির হইয়া গুরুস্তান xfভমুথে অর্থাৎ পরমহংসদেবের অধুষিত কক্ষের দিকে অগ্রসর হঠলেন, তাহার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত জনতা সেইদিকে ধাবিত হইল । আমার সঙ্গীরা আর সেই জনতার মধ্যে যাইতে স"#ত না হওয়াতে আমরা বালী প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলাম ! শ্বশুরবাড়িতে ( বালীতে ) ফিরিয়া আসিবার পর এক মঞ্জর বাপরি হইয়াছিল, এস্থলে তাহার উল্লেখ করা বোধ হয় ১৫:াসঙ্গিক হইবে না । আমার শ্বশুরমহাশয়ের মাতামহীব শুগিনী তখন জীবিত ছিলেন, তাহার বয়স তখন বোধ হয় আশি বৎসরের কাছাকাছি হইলেও তিনি বেশ শক্ত ছিলেন । fঠনি বাটীর গৃহিণী ছিলেন। রাত্রিতে আমরা আহার করিতে বসিয়াছি, এমন সময় আমার বড় শুালক (তিনিও আমাদের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে গিয়াছিলেন ) বলিলেন, “বিবেকানন্দ স্বামী সেগিনকে দেখিয়াই উহাকে নমস্কার করিয়াছিলেন ; আমরা মনে করিয়াছিলাম, বোধ হয় যোগিনের সঙ্গে তাহার পূৰ্ব্বে পরিচয় ছিল ।” সেই কথা শুনিয়াই বুদ্ধা সগৰ্ব্বে বলিয়া উঠিলেন, “নমস্কার করবে না? হলেই বা বিবেকানন । প্ৰণীনের ছেলের মান রাখবে না? যোগিনকে নমস্কার করেছে একি বেশী কথা নাকি ?” বলা বাহুল্য, তিনিও কুলীনের কণ্ঠ, কুলীনের বধূ। সেকালের লোকের মনে কৌলীন্ত !ল কিরূপ প্রবল ছিল তাহ তাহার এ-কথাতেই সকলে গুঝিতে পরিবেন। যখন ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারকদিগের কথা লইয়া আমার এই প্রবন্ধ আরম্ভ করিয়াছি তখন পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী "াশয়ের কথাও বলি। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, কেশব বাবুর সঙ্গে শাস্ত্রী-মহাশয়ও পালপাড়ার হরিসভায় গিয়াছিলেন, কিন্তু কেশব বাবুর সহচরগণের মধ্যে কে যে শিবনাথ শাস্ত্রী, তাহা তখন জানিতে পারি নাই । যখন কেশব বাবুকে . দেখিয়ছিলাম, তাহার বোধ হয় তিন-চffর বৎসর পরে শাস্ত্রী-মহাশয়কে চন্দননগরে দেখিয়ছিলাম এবং তঁtহার বক্তৃতা শ্রবণ করিয়াছিলাম । চন্দননগরের ষ্টেশন রোডের উপরে একটি ব্রাহ্মসমাজ আছে । এখন, “আছে” না বলিয়। ‘ছিল’ বলাই বোধ হয় সঙ্গত, কারণ এখন উহ, ন থাকার মধ্যে । কিন্তু আমাদের বাল্য ও যৌবনে এই ব্রাহ্মসমাজের অবস্থা বেশ ভাল ছিল । প্রতি রবিবারে অনেকগুলি বাহ্ম বা ব্রাহ্ম-মতfবলম্বী ভদ্রলোক সন্ধ্যার পর সমাজগৃহে সমবেত হইতেন, উপাসনা, গান, সংকীৰ্ত্তন হইত, আমরাও মধ্যে মধ্যে তথায় গিয়া বসিতীম এবং সকলকে চক্ষু মুদিত করিতে দেপিয়া আমরাও চক্ষু বুজিয়া বসিয়া থtfকতাম এবং মাঝে মাঝে চাহিয়া দেখিতাম বে, আর কেহ চাহিয়া আছেন কি না । সেই ব্রাহ্মসমাজের একবার মাঘোৎসবের সময় শাস্ত্রী-মহাশয় বক্তৃতা করিতে গিয়াছিলেন। কেন জানি না,—বোধ হয় স্থানাভাবের আশঙ্কায়, ব্রাহ্মসমাজের প্রাঙ্গণে বক্তৃতার ব্যবস্থা না হইয়া প্রায় অদ্ধ মাইল দুরবস্ত্ৰী হাসপাতালের মাঠে বক্তৃতার স্থান নিদ্ধারিত হইয়াছিল। কিন্তু সেখানে বক্তৃত হওয়াও বোধ হয় বিধা তার অভিপ্রেত ছিল না, তাই সেই মাঠে বক্তৃতা আরম্ভ হইবার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি আরম্ভ হইল। তখন অগত্য সকলে নিকটবর্তী বাজারে আশ্রয় লহঁতে বাধা হইলেন । শাস্ত্রী-মহাশয়ও বাজারে গিয়া আশ্রয় লইলেন । বাজারের মধ্যে অনেকগুলি বড় বড় খোলার ধর ছিল। সেগুলি ঠিক ঘর নহে, থোলীর দ্বারা আচ্ছাদিত চল্লিশ-পঞ্চাশ হাত লম্বা ও দশ-পনর হাত চওড়া স্থান, প্রাতঃকালে সেইথানে তরিতরকারি বিক্রয় হইত। সেইরূপ একটা চালার মধ্যে, একটা দেবদার কাঠের বাক্সের উপর দ্বাড়াইয়া শাস্ত্রী-মহাশয় বক্তৃত৷ করিয়াছিলেন । লোক হইয়াছিল মন্দ নহে, বোধ হয় তিন-চারি শত হইবে । তখন শাস্ত্রী-মহাশয়ের বয়স বোধ হয় পত্নতাল্লিশ বৎসরের অধিক হইবে না, কারণ তখন র্তাহার কেশ ও শ্মশ্র ঘোর কৃষ্ণবর্ণ দেখিয়াছিলাম । ইহার অনেক বৎসর পরে, শ্লাস্ত্রী-মহাশয়ের দেহত্যাগের