পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟਢਹੈ। মনে দুঃখ হয় । কিন্তু সে দুঃখের সঙ্গে দৈবের উপর বিশ্বাস বলিয়া একটা বস্তু জড়িত মিশ্রিত হইয়া তাহীকে তত তীব্রতর করে না । তিনি এক-এক সময়ে ভাবেন, “কমলার অদৃষ্টই অমনি। কে জানে আমাদের হাত থাকলেও হয়ত জীবনে ওর অমনি কষ্টই হ’ত। অদৃষ্ট ছাড়া গতি নেই মেয়েমানুষের ” জ্যোতিষ অমন করিয়া ভাবিতে পারেন না । তাহার বলিষ্ঠ পুরুষ-হৃদয় এই অন্তাম, এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে জলিয়া জলিয়া উঠিতে থাকে। র্তাহার প্রাণাধিক কস্তার সমস্ত জীবনের ব্যর্থতা তাহার নিদ্রাহীন রাত্রিকে তপ্ত, ব্যাকুল করিয়া তোলে। আর সেই আতপ্ত রোষ এবং ক্ষোভ হইতে যত মেঘ জমা হয় সে সকলই স্নেহধারা রূপে ছোট মেয়েটিকে অভিষিক্ত করিতে থাকে । হাজার বরি তিনি আপন মনে বলেন, “একে আমি সুখী করব । আমার সমস্ত চেষ্টা দিয়ে একে কুর্থী, আনন্দময়ী ক’রে তুলব।” ᎼᎦ. 를 웅 श्रट्झत्र ििन মালতীর কলেজের বাস’ বাড়ির সম্মুখে দাড়াইয়া আছে । সে প্রস্তুত হইয়া থাত এবং বই হাতে লইয়া ড্রেসিং-টেবিলের কাছে দাড়াইয়। কেবল চুলে একটা সোনার ক্লীপ, আটকাইয়া লইতেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ঝরনাধারার মত তাহার গুনগুন গানের মুর উৎসারিত छ्हेब्रा खेठि८ङश्णि চাদিনী রাতে বল কে গো অসিলে•••••• পরক্ষণেই তাহার তীক্ষ তিরস্কারের স্বর শোনা গেল, “মা, মালী কি আজও বাগানের কাজ করে নি ? আজি মণিকাদির জন্তে আমার জ্বটো ফুলের তোড়া নিয়ে যাবার কথা ছিল । তাকে আমি সকালেই সে-কথা বলেছি I••• নাঃ, তোমাদের ঘর-বাড়ির ব্যবস্থা এত বিশৃঙ্খল•••আর দেরি করা আমার পক্ষে অসম্ভব । কি অপ্রস্তুতেই না আমাকে আজ পড়তে হবে।” মালী একপ্রকার দৌড়াইতে দৌড়াইতে প্রকাও দুইটা ফুলের তোড়া আনিয়া বালে চড়াইয়া দিল। এত ক্ষণ সে প্রাণপণে তাড়াতাড়ি করিতেছিল, কিন্তু তবুও কপাল श्रृंiटन्जेन्ट्स इक्ख्न Save গুণে খানিকট দেরি হইয়া গেছে । দিদিমণির কাছে বকুনি থাওয়া তাহার কপালে অনিবাৰ্য্য । মালতীর বাবা থাইতে বসিয়াছেন, মা সামনে বসিয়া হাতপাথায় করিয়া মাছি তাড়াইতেছেন । পিয়ন আসিয়া হাকিল—চিঠটি ! বেয়ারা চিঠি লইয়া আসিল । জ্যোতিষ হাত মুখ ধুইয়া রুমালে মুছিতে মুছিতে খামখানা খুলিলেন, পত্ৰখানিতে অনেক বর্ণাশুদ্ধি ছিল । সে সমস্ত সংশোধন করিয়া এইরূপ পড়িলেন ঃ– ঐহরি সহায় ১২ই অশ্বিন সাং রসা। পলাশডাঙ্গণ ংখ্য প্রণামস্তির নিবেদন ম, আজি দুই বৎসর হইতে আমার বড় ছেলেটিকে লইয়া ভুগিতেছি । তাহার পেটে লিভার ও পীলে দুই প্রকাও হইয়াছে এখানে মহকুমা হইতে ডাক্তার আনিয়া অনেকবার দেখাইয়াছি । কোন ফল পাই নাই । তোমার জামাইও বহুদিন হইতে ভুগিতেছেন। আমার মনে বড় সাধ ছিল, কলিকাতায় তোমাদের ওখানে লইয়া গিয়া একবার বড় ডাক্তার দেখাই এবং হাওয়া পরিবর্তন করি । কিন্তু জানই তো আমার শ্বশুর বাচিয়া থাকিতে একটা দিনের জন্তও ওখানে যাইবার উপায় ছিল না । তার অবর্তমানে যাবার উপায় হইয়াছে । ওঁর মত করাইয়াছি। এখন তোমরা একটি ভাল দিন দেখাইয়া লোক পাঠাইলেই আমার যাওয়া হয়। সে বাটীর কুশল সংবাদ অনেক দিন পাই নাই । তুমি ও পিতাঠাকুর মহাশয় আমার শতকোটি প্রণাম গ্রহণ করিবে । ইতি সেবিকা কন্ত কমলা । চিঠিপড়া শেষ হইয়া গেল । জ্যোতিষ কহিলেন, *আজই কমলাকে আনবার ব্যবস্থা করি ॥•••কিন্তু কে যাবে? আচ্ছ এক কাজ করি, মনিঅৰ্ডার ক’রে টাকা अादिव्र हेि, आंत्र छाया३८क णि८थ बिहे गन्त्र क'८न्न निष्त्र আসুক। এই আশ্বিন মাসে, ওখানে ভৰ্ত্তি ম্যালেরিয়ার সময় । কালবিলম্ব না ক’রে খেন ওরা চলে আসে।” ইহারই দিন তিন-চার পরে একখানা সেকেণ্ড ক্লাস