পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›bሥo স্তম্ভটি ও সৈন্তনিবাস তোসল নগরের পাদদেশের দ্বারস্বরূপ ছিল এবং এই সৈন্তনিবাস হইতে একটি বিস্তৃত রাজপথ বরাবর থগুগিরি এবং উদয়গিরির পাদদেশ হইতে দক্ষিণ দিকে জোগড় নগরের দিকে চলিয়া গিয়াছে । ঐ জিবন্থের ভগ্নাবশে এখনও দৃষ্টগোচৰ হয় । আশ্চর্য্যের বিষয়, এই স্তম্ভটির ৫০ • ফুট দূরে পরিথারত বিস্তৃত গড় দাড়tইয়া রহিয়াছে । এই গড়টি শিশুপালগড় নামে জনসমাজে পরিচিত । গড়ের মধ্যে শিশুপাল নামে একটি বদ্ধিষ্ণু গ্রাম রহিয়াছে। গ্রামের মধ্যে মন্দির, গৃহ, বিদ্যালয় ইত্যাদি আধুনিক প্রণালীতে নির্মিত হইয়াছে। এক্ষণে এই শিশুপালগড় নামক বিস্তৃত ভূখণ্ডটি পরীক্ষা করিলে ইহাই পুরাতন তোসলী নগর ছিল বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে। চীন ভাষায় লিখিত বুদ্ধভদ্র (৩৯৮-৪২১ খ্ৰীষ্টাব্দের পরে ) গ্রন্থে দেখা যায় তোসলী নগরের উত্তরে সুরভি পৰ্ব্বত অবস্থিত ছিল । তোসলন্ত নগরস্তোত্তরে দিগ ভাগে হরভমৃ নামপৰ্ব্বতম্। গন্ধৰ্ব্ব গ্রন্থ অনুসারে তোসলী নগরটি সুরভি পৰ্ব্বতের দক্ষিণ দিকে । ঐ পৰ্ব্বতের উচ্চ উপত্যকীয় সুন্দর উদ্যান, তৃণাচ্ছাদিত ভূমি, জলাশয় প্রভৃতি বিদ্যমান ছিল। বুদ্ধভদ্র গ্রন্থঅনুঘামী বৰ্ত্তমান উদয়গিরি ও খণ্ডগিরিকে শুরভি পৰ্ব্বত বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে। বিশেষতঃ এই দুইটি পৰ্ব্বতে এখনও পর্য্যন্ত চন্দনবৃক্ষ দৃষ্টিগোচর হয়—সেই জন্তই বোধ হয় সুরভি পৰ্ব্বত নামকরণ হয় । এই গড় বা শহরটি ডিম্বীকৃতি ও উৰ্ব্বর সমতলভূমি। ইহার চতুর্দিক বিস্তৃত পরিখা দ্বারা আবৃত। এই পরিখাটি বর্ষাকালে জলপূর্ণ হইয়া থাকে। এই পরিথ হইত সমতল উৰ্ব্বর ভূমিটি বার-তের ফুট উচ্চে অবস্থিত । পঞ্চম চ দানীং বসে নম্বরাজ তিবতসত—ঔঘটিতং তনমূলীয় বার্ট পানাড়িং নগরং প্রবেসয়ন্তি ।" -হস্তিগুফী-প্রস্তরলিপি, ষষ্ঠ পংক্তি । নন্দরাজ তন্‌চুলিয়া নগরের জল সরবরাহ করিবার জন্ত খাল কাটিয়াছিল এবং সেই খাল পার হইয়া নগরে প্রবেশ করিতে হইত l, §âgāTEi$* SNご8ミ এই শহরটির চতুর্দিক বিরাট ইটমাটির স্ত,প নিৰ্ম্মিত বধি দ্বারা হুরক্ষিত। এই স্ত,পের বাধটি ২৫ ফুট উচ্চ এবং পরিসর ১০ ফুট। শহরের চতুর্দিকে ইষ্টকস্ত,পের বঁধে ৫০০০ ফুট লম্বী । শহরটি প্রস্থে ৩৩০০ ফুট । শহরের মধ্যে প্রবেশের জন্ত মধ্যে মধ্যে যাতায়াতের পথ গিরিবক্সের স্তায় অবস্থিত। পূৰ্ব্বকালে গড়-প্রবেশের জন্ত চারিটি পথদ্বার ছিল । এক্ষণে প্রায় কুড়িটি প্রবেশদ্বার গ্রামবাসীরা বাধ কাটিয়া নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে । শিশুপালগড়ের মধ্যে গোচারণভূমি, শস্তক্ষেত্র, গ্রামবাসীদের কুটার, গ্রাম্য বিদ্যালয়, মন্দির ও জলাশয় বিদ্যমান রহিয়াছে । সৰ্ব্বত্রই খনন করিলে প্রচুর পুরাতন ইষ্টকরাশি দেখিতে পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা গড়ের রাজাদের পুরাতন গৃহটি ভাস্করেশ্বর ও ব্রহ্মেশ্বর মন্দিরের অপর পারে গড়ের মধ্যে বিস্তৃত আত্ম-উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত ছিল বলিয়া নির্দেশ করে । সেখানে কতকগুলি মাকরা পাথরের স্তম্ভ বিদ্যমান আছে । এই কিম্বদন্তী রহিয়াছে যে এই স্থানে শিশুপাল রাজার ও থুরিয়া রাজার আবাসস্থল ছিল। ঐ স্থানের পূর্বকালের রাজপ্রাসাদের পুরাতন ইষ্টক খনন করিয়া গ্রামবাসীরা আপনাপন কুটীরের চতুর্দিকে প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া বসবাস করিতেছে । ইষ্টকগুলি পরীক্ষণ করিলে দেখা যায় যে তাঁহা দৈর্ঘ্যে ১–৩" ; প্রস্থে ৮" ; উচ্চতায় ৪” : বুদ্ধগয়া ও সারনাথে এইরূপ পুরাতন উৎকৃষ্ট দগ্ধ ইষ্টক দৃষ্টিগোচর হয় এবং ইহা যে সুস্পষ্ট অশোক-যুগের নিদর্শন তাহা প্রমাণিত করে । মুত্তিকার উৎকৃষ্ট দগ্ধপ্রণালীবিদ্যা অশোক-যুগের বিশেষত্ব । আরও আশ্চর্য্যের বিষয় ভূবনেশ্বরের সর্বত্রই, বর্তমান ও অতীতে, প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত গৃহাদি দৃষ্টিগোচর হয়, কারণ পাথর সহজলভ্য ও সুলভ । অশোক-যুগের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন-স্বরূপ এই নগরের মধ্যে প্রায় ২০টি ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত কূপ অদ্যাবধি দৃষ্টিগোচর হয় এবং ঐ কূপের জল অদ্যপি গ্রামবাসীরা ব্যবহার করে । ভুবনেশ্বর ও তৎসংলগ্ন গ্রামগুলির মধ্যে কুত্রাপি ইষ্টকের কূপ দৃষ্টিগোচর হয়। ভূবনেশ্বরে পাথর কাটিয়া কৃপ, কুণ্ড ও সরোবর প্রতিষ্ঠিত করা চিরপ্রচলিত প্রথা । ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত কুপ এই নগরের বিশেষত্ব ও ঐতিহাসিকদিগের গবেষণার বিষয় । কূপগুলির উপরিভাগের চার-পাচ ফুট প্রস্তর