পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়িষ্যায় শ্রীচৈতন্য শ্ৰীকুমুদবন্ধু সেন উড়িয্যায় ঐকৃষ্ণচৈতন্তের প্রচারকার্য্য সম্বন্ধে আমরা বিশেষ কিছু জানি না। ঐচৈতন্তভাগবৎ ও ঐচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থদ্বয় হইতে কেবল উড়িষ্যার রাজা প্রতাপরুদ্র, রাজমন্ত্রী রামানন্দ, রাজকৰ্ম্মচারীর ও মন্দিরের সেবকদের কাহারও কাহারও নাম ও বিবরণ পাওয়া যায়, কিন্তু তথাকার সমাজ ও অধিবাসীদের উপর তাহার প্রভাব কিরূপ ছিল তাহার বিশেষ কোনও ইতিহাস আমাদের জানা নাই । গত বিশ বৎসরের অধিক কাল এই সম্বন্ধে আমি যাহা সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি তাহার একটা সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম দিতে চেষ্টা করিব, তবে তাহ! বিষয়সূচীর মতই ক্ষুদ্রাবয়ববিশিষ্ট হইবে। শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তের নীলাচলযাত্ৰ –শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য সন্ন্যাস গ্রেহণ করিবার পর তাহার নীলাচলযাত্রা বিষয়ে ভাগবত ও চরিতামৃতে কোনও মিল নাই। বৃন্দাবন দাস র্তাহীর চৈতন্যভাগবতে লিখিয়ছেন ষে ঐচৈতষ্ঠ সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া রাঢ়ের বক্রেশ্বর তীর্থ সংলগ্ন বিজন অরণ্যে নির্জনবাস করিবেন বলিয়া মনস্থ করিয়াছিলেন। প্রতু বোলে, বক্রেস্বয় আছেন যে ৰনে । তথায় যাইমু মুঞি খাঞ্চিমু নির্জনে । চৈ. ভী-, অস্ত্যখণ্ড, প্রথম অধ্যায় । র্তাহার গুরু কেশব ভারতীর নিকট বিদায় লইবার সময়ে শ্রীচৈতন্ত বলিতেছেন,— অরণ্যে প্রবিষ্ট মুঞি হইমু সৰ্ব্বথ । প্রাণনাথ মোর কৃষ্ণচত্র প:ঙ যথা ॥ .চৈ, ভ., অস্ত্যপও, প্রথম অধ্যায় মনে মনে এই দৃঢ়সংকল্প করিয়া কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ার আপনহারী সন্ন্যাসী যুবক আশ্রয়স্ককণ্ঠে ব্যাকুলভাবে অনস্তের সন্ধানে ছুটিয়া চলিলেন । র্তাহার আকুল আহবান— মৰ্ম্মবেদনার দারুণ আৰ্ত্তনাদ শুনিলে কঠিন হৃদয় দ্রবীভূত হইত, পাষাণ গলিয়া যাইত-পশুপার্থী স্তব্ধভাবে চাহিয়া থাকিত । হেন সে ডাকিয়া কালে স্বাসি চুড়ামণি ; ক্রোশেকের পথ যায় য়োজনের ধ্বনি ॥ চৈ, ভা, অস্ত্যখণ্ড, প্রথম অধ্যয় এই প্রেমোন্মত্ত যুবা—যাহার পাণ্ডিত্যের সৌরভে নবদ্বীপ মাতিয়া উঠিয়াছিল, সমগ্র বঙ্গে একটা সাড়া পড়িয়াছিল, যাহার কষিত=কনক-কাস্তি-বর্ণ ও মনোরম সৌন্দর্য লোকে অনিমিষ নেত্ৰে চাহিয়া দেখিত—াহাকে দেখিলে মনে হইত— কাঞ্চন দরগণ বরণ প্ৰগোরায়ে বরবিধু জিনির বয়ান । कृ*ि श्रेषि निभिश মুল্লখ বড় ৰিধিয়ে নাহি দিল অধিক নয়ান ॥ সেই লাবণ্যপিচ্ছল মূৰ্ত্তি—কুঞ্চিত কেশ মুগুন করিয়া শিথাস্বত্র ফেলিয়া দিয়া সামান্ত কেীপীন মাত্র সম্বল করিয়া যখন ব্যাকুল অস্তরে আর্তস্বরে রোদন করিতে করিতে উন্মত্তের মত ছুটলেন—অজানা পথের সন্ধানে—তখন র্ত{হার অনুগামী অনুরাগী ভক্ত সঙ্গীরা তাহার সঙ্গে সমান ভাবে একসঙ্গে চলিতে পারেন নাই—র্তাহার। অনেক পশ্চাতে পড়িয়া থাকিতেন। তাহারা যখন বক্রেশ্বর তীর্থের চারি ক্রোশ দূরে র্তাহাকে দেখিতে পাইলেন তখন তাহারা বিস্মিত হইলেন । কারণ— ক্রোশ চারি সকলে আছেন বক্রেশ্বর। cनशे इरिन किब्रिन चीtशौब्रश्नाग्न ॥ নাচিয়া যায়েন প্ৰভু পশ্চিমাভিমুখে । পূৰ্ব্বমুখ পুন হইলেন নিজমুখে ॥ পূৰ্ব্বমুখে চলিয়া যায়েন মৃত্য রসে। অস্তরে আনন্দ—প্ৰভু অট আট হাসে। বাহ প্রকাশিয়া প্ৰভু নিজ কুতুহলে। ৰলিলেন আমি চলিবাঙ নীলাচলে । জগন্নাথ প্রভুর হইল আজ্ঞা মোরে। নীলাচল তুমি খাট—আইস সম্বয়ে ॥ RB., ভle, अद्यार्थ७० daהלא एवंघ्रिः এখানে বৃন্দাবন দাস বলিতেছেন যে তিনি নীলাচলনাথের আদেশ পাইয়া নীলাচল যাত্রা করিবার অভিপ্ৰায়ে