পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टख्ञTछे সক্ষ্যণসচেষাগ So গণিয়া দিয়া হীর বিশ্বাস হাতচিঠা লিখাইয়া লইয়া চলিয়া গেল । তাহার পরের মঙ্গলবারই গিরিশপুরের হাট। সোমবার রাত্রি থাকিতেই রওনা হইতে হইবে । এদিকে সোনার কয়দিন ধরিয়াই চাপিয়া জর আসিতেছে । শুধু জর নয়, অদ্যান্য উপদ্রবও আছে । শিশু—সব কথা খুলিয়া বলিতে পারে না । কিন্তু যতটুকু পারিল তাঁহাতেই অসুখ সোজা বলিয়া মনে হইল না । বিন্দু বলিল, ‘রোগ ছেলেকে একূল নিয়ে আমি থাকব কি ক’রে ? কিন্তু বিভূতির না গেলেই নয় । অমুকুল এক পরিবে না। তা ছাড়া এবার কয়লা আসিবে দু-ভরা। বর্ষাকাল, নানা রকম অসুবিধা । সাত-পাঁচ ভাবিয়া শেষপর্য্যস্ত বিভূতি বাড়ি হইতে বাহির হইয়া পড়িল । যাওয়ার সময় বিন্দু বার-বার বলিয়া দিল, “ঘরে রোগা ছেলে, অনর্থক দেরি ক’রো না ধেন--” কয়লা বোঝাই হইতে পুর৷ একবেলা লাগিল । দুপুর হইতে সন্ধ্য পৰ্য্যস্ত বড়-বড় দুই নৌকা বোঝাই হইল কয়লায় । সন্ধ্যার একটু পরেই নৌকা ছাড়িল । বর্ষাকাল । আকাশের অবস্থা ভাল নয় । বিকালের দিকে পশ্চিম আকাশে কিছুক্ষণের জন্ত রাঙা মেঘ দেখা দিয়াছিল । মাঝিরা বলিয়াছিল, "আজকের রাতটা বাদ দিয় কাল ভোর থাকতেই নৌকা ছেড়ে দেব। কিন্তু বিভূতি তাহাতে রাজি হয় নাই। নিজের শরীর তত ভাল নয় । তাহার উপর ঘরে রোগা ছেলে, বিন্দু তাহাকে এক আগ্লাইয়া আছে, বাড়িতে আর দ্বিতীয় মানুষ নাই । দেরি করা কোনমতেই উচিত নয় । বিভূতির আগ্রহাতিশয্যে মাঝিরা বাধ্য হইয়াই নৌকা ছাড়িল, কয়লাবোঝাই দুইখানা নৌকা ঈষৎ আগুপাছু হইয়া চলিল নদী বাছিয়। বিভূতি সেদিকে চায় আর আশায় আনন্দে তাহার বুকটা ফুলিয় উঠে, একটু ওপাশেই অমুকুল মাথার কাছে হারিকেন জালাইয়া হিসাবপত্র মিলাইতেছে আর মাঝে মাঝে তন্ত্রীর ঘোরে চুলিতেছে। বালিশটা ভাল করিয়া মাথার তলায় ও জিয়া দিয়া বিভূতি শুইরা পড়িল । বর্ষার মধুমতী, দু কুল ছাপাইয়৷ উৰ্বশ্বাসে ছুটির চলিয়াছে। তাহার উপর বিকাল হইতেই আকাশে ঝড়ের মেঘ দেখা দিয়াছে। রাত্রি যখন গোটা বারো তখন আকাশ ভাঙিয়া ঝড় উঠিল। বাতাসের শঙ্ক, জলের গর্জন কানে যেন তালা লাগাইয়া দেয়। সে শাস্ত নদী আর নাই । ঢেউয়ের পর ঢেউ তুলিয়া উন্মত্তের মত মধুমতী ছটিয়াছে। অমুকুল ছইয়ের তলা হইতে বাহির হইয়া আসিয়া, আকাশের দিকে চাহিয়া কঁপিয়া উঠিল, এস্তকণ্ঠে বলিল, ‘তাড়াতাড়ি পারে ভিড়াও—* পার কোথায় ? সেই ক্ষুব্ধ নদীবক্ষ যেন সেই মুহুর্তে দিগন্তপ্রসারিত হইয়া আকাশের রঙে আপনাকে মিশাইয়া দিয়াছে, কুল দৃষ্টিসীমায় আসে না । শুধু জল—শুধু জল— ঠিক সেই মুহূর্তে বিভূতির ঘুম ভাঙিয়া গিয়াছে, বাহিরে মাঝিদের কোলাহল শুনিয়া ছইয়ের তলা হইতে বাহির হইয়া আসিয়া শুধাইয়াছে, “কি ব্যাপার মাঝি ?” শুধু শুধাইয়াছে মাত্র, আর উত্তর শুনিবার অবসর পাইল না । নৌকাটা যেন একবার টাল থাইল, একবার ভয়াৰ্ত্ত মাল্লাদের চীৎকার কানে আসিল, সামাল— जांमांडण তার পর তাছার মাথা ঘুরিয়া গেল—চক্ষের সম্মুখে সেই মুহুর্তে বিশ্বসংসার যেন অন্ধকার হইয়া গেল— নৌকা ডুবিল । সে রাত্রের ঝড়ে শুধু নৌকা ডুবিল না, ডুবিল তাহার সহিত বিভূতির আশা, ভরসা, উৎসাহ, সৰ, ডুবিল তাহার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুভাগ্যের খরস্রোতে। শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে যখন সে অবশ দেহে পারে আসিয়া পৌছিল, ভখন ঝড়ের বেগ বুঝি কমিয়া আসিয়াছে, মুষলধারে বৃষ্টি নামিয়াছে। নৌকার চিহ্নমাত্রও নাই, মাঝিমাল্লার কে কোথায় গিয়াছে কে জানে। অমুকুল হয়ত ডুবিয়াছে। বৃষ্টির ফোটাগুলি গায়ে তীক্ষাগ্র শরের মত বিধিতেছে। মাথা শুজিবার একটু জায়গাও নাই, ফাকা মাঠ, যতদূর চোখ যায় ধু-ধু করে মাঠ। চারিদিকে একবার দেখিয়া जहब्रा विडूडि शsिtठ जांशिण ।