পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o a( سوئ هنS সে রাত্রিটা একটা গাছের তলায় বসিয়া সে কাটাইয়া विण ! সেইখানে বসিয়া বসিয়াই বুঝি ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। যখন জাগিয়া উঠিল তখন সকাল হইয়াছে, আকাশ পরিষ্কার, প্রভাতের কাচ রৌদ্র আসিয়া মুখে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। উঠিয়া দাড়াইতে সারা গায়ে অসহ ব্যথা বোধ হইল, সমস্ত দেহের উপর দিয়া কি যেন একটা চলিয়া গিয়াছে আর তাহারই তলায় পড়িয়া হাড়গুলি পিষিয়া চুরমার হইয়া fक्रॉब्रां८छ् । মাঠ ছাড়াইয়া বাদিকে গ্রামের পথ । মাঠ অতিক্রম করিয়া বিভূতি সেই পথ ধরিয়া ইটিতে আরম্ভ করিল। পথের মধ্যে এক জন লোককে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল, গ্রামের নাম পলাশপুর, জলটুঙ্গি এখান হইতে ছাটাপথে পুরা এক বেলার পথ। জলটুঙ্গির নাম মনে পড়িতেই তাহার বুকের মধ্য হইতে যেন একটা দীর্ঘশ্বাস ঠেলিয়া বাহির হইয়। আগিল। মনে পড়িয়া গেল বিদুর চিস্তাক্লিষ্ট মুখ, ক্লয় সস্তান, হীরু বিশ্বাসের দেন । কোথায় যাইবে ? এই বিপুল বিশ্বে এই মুহুর্তে তাহার মাথা রাখিবার জায়গাটুকুও যেন লুপ্ত হইয়া গিয়ছে। তবুও উপায় নাই। জলটুঙ্গি ফিরিতেই হইবে। বিভূতি চলিতে লাগিল । মধ্যাহের রৌদ্র যখন প্রধৱ হইয়া উঠিল তখনও বিভূতি চলিতেছে । ক্ষুধা নাই, তৃষ্ণা নাই, শ্রাস্তি নাই। বেল যখন পড়িয়া আসিল তখনও তাঁহার চলা শেষ হয় নাই । চোখের উপর স্বৰ্য্য ডুবিল, ক্রমশঃ আকাশের রক্তাভাও স্নান হইয়া আসিল, দিগন্তকে ঘিরিয়া নমিল অন্ধকার । সন্ধ্য। যখন হয়-হয় তখন বিভূতি গায়ে আসিয়া পৌছিল। অন্ধকারে-অন্ধকারে চলিল বাড়ির দিকে। দরজার কাছে পৌছিয়া অনেক ক্ষণ দাড়াইয়া কি ভাবিল ; তার পর लब्रखांग्न * प्रिंट । রুগ্ন ছেলের শষ্যাপার্থে বসির বিন্দুবোধ হয় এত ক্ষণ কঁদিতেছিল। তাহীকে দেখিয়া সে যেন হাফ ছাড়িয়া বাচিল, বলিল, “তুমি এসেছ ? এ কি, তোমার এ রকম চেহারা কেন ? জাম-কাপড় কি হ’ল ?’ با کمک

  • GNe9R

'गब cश८झ् ' विङ्कडिब्र चाब्र किहू बणिबांब्र नखि ছিল না। মাটিতে ধূলার উপরই বসিয়া পড়িল । বিন্দু শিহরিয়া উঠিল ; ব্যাকুলভাবে বলিল, “কি হয়েছে খুলে বল— विफूङि खेखब्र निण, नौtङ कद्रणांव्र cनोक छ्-छब्रांह ডুবেছে— আর কিছুই জানিবার বিন্দুর প্রয়োজন ছিল না। মুগুৰু ছেলের শষ্যাপার্শ্বে সে কাঠ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। সেই দিন গভীর রাত্রে, সমস্ত গ্রাম যখন অঘোরে ঘুমাইতেছে, বাপ যে ঘরে গুইত সেই ঘরে চৌকির উপর বিভূতি নিদ্রাহীন চক্ষে বসিয়া কি যেন ভাবিতেছিল। উঠানের পারে ও-ঘরে বিন্দু বুঝি এত ক্ষণ জাগিয়৷ এইমাত্র ঘুমে ঢলিয়া পড়িয়াছে । মাঝে-মাঝে সোন ঘুমের মধ্যে কাতড়াইয় উঠতেছে, সে কাতুড়ানির শব্দ বিভূতির কানে আসিতেছে। কানে আসিতেছে আর বুকটা থাকিয়! থাকিয়া কঁাপিয়া উঠিতেছে। ঘরে একটা পয়সা নাই, অথচ কাল সকালে ডাক্তার না আনিলেই চলিবে না । দুইটা টাকা ফি দিতেই হইবে, তাহার উপর ঔষধের জন্তও কিছু লাগিবে। বাপের প্রকাও হাতবাক্সট, যেটার মধ্যে তাতার টাকা-পয়সা থাকিত, সেটা তাহার মৃত্যুর পর বিভূতি দুই-একবার খুলিয়াছিল, একবার ভাবিল সেইটা খুলিয়া ভাল করিয়া হাতুড়াইয়া দেখিবে নাকি ? দুইটা টাকাও কোণে কোণে পড়িয়া নাই । আশা-নিরাশায় ছলিয়া বিভূতি বাক্সটা খুলিয়া ফেলিল। কুঠুরি খুজিয়া জিনিষপত্র যাহা-কিছু হাতে ঠেকিল বাহির করিয়া চৌকির উপর রাখিতে লাগিল । কোন থোপে ছুইটী তামার মাদুলী, কোথাও একটা কনিখুলকি, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শিশি, তামাদি হাতচিঠ, আরও কত কি ! টাকা নাই। মরিয়া হইয়া বিভূতি কাগজের তাড়া, টুকরা যেখানে যা পাইল খুলিয়া পড়িতে লাগিল, যদি কোন সন্ধান পাইয়া যায়, বীপের গুপ্তধনও থাকিতে পারে, অসম্ভব কি ? একেবারে কোণের কুঠুরিতে ভাজ-করা একটু তুলেটি কাগজ পাইল। তাছাই খুশিয় আলোর সামনে ধরিয়া পড়িতে আরম্ভ করিল । পড়া শেষ হইলে বিভূতি স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রছিল। তাছাতে লেখা ছিল, “তোমার পুঞ্জের চলাটে ‘সন্ন্যাসযোগ’ দেখিতেছি ।