পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sae ঘত দিন সে-সব আলোচনার সুফল না ফলে তত দিন পুনরালোচনার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এখানে সে-সষ সমস্যার কথা না ব'লে বর্তমানে অর্থসঙ্কটের * ফলে যে-সব সমস্তার উদ্ভব হয়েছে দেই সব বিষয়েষ্ট কিছু নিবেদন করতে চাই । বর্তমান অর্থসঙ্কটের কারণ সম্বন্ধে নানা মুনির নানা মত । কিন্তু ফল সবাই দেখতে পাচ্ছেন। জিনিষপত্রের দাম অনেক ক’মে গিয়েছে । এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা বোধ হয় দরকার । সব জিনিষের দাম যদি সমান ভাবে কমে, তবে কারুর কিছু আসে যায় না । ধরুন, আমার মাহিনী অৰ্দ্ধেক হ’ল। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি-ভাড়া অর্ধেক হ’ল, চাল, ডাল, তেল, মন, কাঠের দাম অৰ্দ্ধেক হ’ল, ট্যাক্স অৰ্দ্ধেক হ’ল, ছেলেমেয়েদের ইস্কুলের বেতন, তাদের মাষ্টার-মশায়ের বেতন অৰ্দ্ধেক হ’ল—সব কিছুরই দাম অৰ্দ্ধেক হ’ল। এতে ক’রে আমার অর্থনৈতিক অবস্থার কোনই তারতম্য হবে না । কারণ যদিও দৃশ্যতঃ অল্পসংখ্যক টাকা পেলাম, সেই টাকা দিয়েই ঠিক আগেকার

  • fasts forfano (goods and services)

পাওয়া যাচ্ছে । স্বতরাং এতে ক’রে আমার আর ক্ষতি-বুদ্ধি কি ? কিন্তু ৰাস্তবিক কি তাই ঘটেছে ? সব জিনিষপত্রের দাম কি সমান ভাযে কমেছে ? চাবীর বিপদ ত এইখানেই । ষে-সব জিনিষ সে বেচে সেগুলির দাম যত কমেছে, যেগুলি সে কেনে তা’র দাম তত কমে নি । পাটের দাম মণকরা দশ টাকা থেকে তিন টাকায় দাড়াল। শাড়ীর দামও জোড়া-পিছু পাচ টাকা থেকে তিন টাকা হ’ল। আগে আধ মণ পাট বেচে এক জোড়া শাড়ী কেনা যেত। এখন TJTIF TFTfs, monotary crisisgu ^ffTATS RT 1 bjTf* নুনাধিক্য, বা প্রচলন-অগ্রচলনের প্রভাৰ-অস্বীকার করছি নে, কিন্তু টাকাই আমাদের অর্থনৈতিক জীবন সৰ্ব্বতোভাবে নিয়মিত ক’বৃছে, এটা शान्गुड ब्रiबौ बंश् ! † es zA WF GMTET AF 1 ( Calcutta Index Number of Wholesale Prices Seriosa) oaks town to e on wsw-Rotra (index numbor) Rw 2 »»» Pittww stortī – মাসের অনুযায়ী সংখ্যার তুলনা করেছি। • wółê «stië q«Ħva economic crisisq# «wtw $Nరి8R কিন্তু এক মৰ্ণ না বেচলে শাড়ীজোড়া পাওয়া যায় না। আধ মণ বেচে মাত্র একখানি শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে। “পুরাতন ভূত্য” “একথানা দিলে নিমেষ ফেলিতে তিনখানা” আনৃতে পারত, কিন্তু বর্তমানে একখানা দিলে ছুইখানা করার সঙ্কেত বঙ্গবন্ধুরা জানেন না । সুতরাং তাদের হঃখ মিটুবে কেমন ক’ৱে ? আবার শুধু এই নয়। জিনিষ-কেনা ছাড়া টাকার অন্ত অনেক প্রয়োজন আছে। টাকা দিয়ে খাজনা দিতে হয়, ঋণ শোধ দিতে হয়, ঋণের সুদ দিতে হয়, অন্তান্ত বাজে খরচ করতে হয় । শস্ত বেচে আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ টাকা পাচ্ছি বলে খাজনা, ঋণের ভার, সুদের পরিমাণ যত দিন তিন ভাগের এক ভাগ না হচ্ছে তত দিন কষ্টের শেষ হবে কেমন ক’রে ? জিনিষপত্র এত প্রচুর ও সস্তা ব’লেই চাষীর প্রাণাস্ত ঘটার উপক্রম হয়েছে । ডানকানের হত্যার পরে ম্যাকবেথের প্রাসাদের দ্বারবান দরজায় করাঘাত শুনে বলেছিল, “প্রাচুর্য হবে এই ভেবে যে-চাষী উদ্বন্ধনে আত্মহত্যা করেছে সে-ই এই নরকপুরীতে আসছে।" বাস্তবিক প্রাচুর্য এবং অভাব অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্বন্ধ হওয়া প্ৰহেলিকাময় ঠেকলেও নতুন মোটেই নয়। এই আলোচনা থেকে কৃষিসঙ্কট সম্বন্ধে দুটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে । একটি হচ্ছে এই যে, জিনিষপত্রের দাম ক’মে যাওয়াতে খাজনা, ঋণ বা মুদের দরুন অনেক বেশী পরিমাণে জিনিষ খরচ করতে হচ্ছে । এটি সকলের সম্বন্ধেই প্রযোজ্য, শুধু চাষীদের সম্বন্ধে নয়। সুতরাং এই প্রসঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করতে চাই নে। অন্ত তথ্যটা হচ্ছে এই যে, কৃষিজীবীর উৎপন্ন শস্তের দাম যে-পরিমাণে কমেছে অন্ত জিনিষের দাম সেই অনুপাতে কমে নি। প্রকৃত প্রস্তাবে সেই সঙ্কটটাই হচ্ছে কৃষিসঙ্কট । এ সঙ্কটটা কিন্তু জগদ্ব্যাপী। অত্যুৎপাদনের (overproduction) ফলেই কি তবে এরূপ ঘটেছে ? আগেকার চেয়ে বেশী উৎপাদন হলেই অত্যুৎপাদন বলা যায় না। মোটামুটি বলা যেতে পারে লোকসংখ্যার অনুপাতে বেশী

  1. शांकप्तथ, विठोब्र जक, छूठौद्र पृछ ।